উগান্ডার বিভিন্ন ধরনের লোকেদের মধ্যে বৃদ্ধি
উগান্ডার বিভিন্ন ধরনের লোকেদের মধ্যে বৃদ্ধি
উগান্ডা, পূর্ব আফ্রিকার গ্রেট রিফ্ট ভ্যালির দুপাশের মাঝামাঝিতে এবং নিরক্ষরেখার দুদিকেই অবস্থিত, যেখানে নজরকাড়া সৌন্দর্য বিরাজ করছে। এখানে বৈচিত্র্যময় ভূদৃশ্য, প্রচুর গাছগাছালি এবং আগ্রহজনক প্রাণীজগৎ রয়েছে। দেশটি আফ্রিকার বিশাল সুউচ্চ মালভূমিতে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার জলবায়ু সহনীয় এবং এখানে শত শত কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এক চমৎকার পর্বতমালা রয়েছে।
খুব অল্প কয়েকটা দেশেই এত ক্ষুদ্র সীমার মধ্যে তুষারাচ্ছাদিত অঞ্চল থেকে শুরু করে ক্রান্তীয় অঞ্চল থাকে কিন্তু উগান্ডায় ঠিক এমনটাই বিদ্যমান। উগান্ডা মূলত মুন পর্বতমালা, পশ্চিমের রয়েঞ্জরি পর্বতমালার বরফে ঢাকা চূড়া থেকে পূর্বাঞ্চলের মোটামুটি শুষ্ক এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। আপনি দেশের সমভূমিতে হাতির পাল, মহিষ এবং অনেক সিংহ দেখতে পাবেন। বিভিন্ন পর্বতে এবং ঘন জঙ্গলগুলোতে গেরিলা, শিম্পাঞ্জি এবং ১,০০০রেরও বেশি প্রজাতির পাখি বাস করে। আফ্রিকা মহাদেশের অধিকাংশ এলাকায় অনাবৃষ্টি এবং দুর্ভিক্ষ বিদ্যমান কিন্তু উগান্ডায় বিভিন্ন নদী ও হ্রদ রয়েছে, যেমন পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা জলের ভিক্টোরিয়া হ্রদ এখানে অবস্থিত। ভিক্টোরিয়া হ্রদের উত্তরের নির্গমপথ নীল নদে মিশে গিয়েছে। তাই এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, উইনস্টন চার্চিল এই দেশকে “আফ্রিকার মুক্তো” বলে উল্লেখ করেছিলেন!
আজকে “মুক্তো” চকচক করছে
যাই হোক, উগান্ডার প্রধান আকর্ষণ হল এর লোকেরা—বন্ধুত্বপূর্ণ, অতিথিপরায়ণ এবং বিভিন্ন ধরনের। এই “খ্রিস্টান” প্রধান দেশকে বিভিন্ন জাতি, গোত্র, দল এবং সংস্কৃতির এক মিলনস্থল বলা যেতে পারে। এমনকি আজকেও এই বিভিন্ন ধরনের লোককে তাদের ঐতিহ্য ও পোশাকের দ্বারা পৃথক করা যায়।
সম্প্রতি, উগান্ডার অনেক লোক দিন দিন বাইবেলের সুসমাচারের প্রতি সাড়া দিচ্ছে, যে-সুসমাচার এমন এক সময় সম্বন্ধে জানায়, যখন পৃথিবীব্যাপী স্থায়ী শান্তি বিরাজ করবে। (গীতসংহিতা ৩৭:১১; প্রকাশিত বাক্য ২১:৪) প্রায় গ্রেট ব্রিটেনের আয়তনের সমান এমন একটা দেশে সকলের কাছে এই বার্তা নিয়ে যাওয়া এক কঠিন কাজ।
১৯৫৫ সালে স্থানীয় একজন অধিবাসী যিহোবার একজন উৎসর্গীকৃত সাক্ষি হিসেবে ভিক্টোরিয়া হ্রদে বাপ্তিস্ম নেওয়ার মাধ্যমে এক ক্ষুদ্র আরম্ভ হয় আর ১৯৯২ সালের মধ্যেই “যে ছোট” সে সহস্র হয়ে ওঠে। তখন থেকে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এটা ঈশ্বরের এই আশ্বাসদায়ক বাক্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ: “আমি সদাপ্রভু যথাকালে ইহা সম্পন্ন করিতে সত্বর হইব।”—যিশাইয় ৬০:২২.
ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করা
যদিও ইংরেজি হল এখানকার সরকারি ভাষা আর তা ব্যাপকভাবে, বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় কিন্তু তবুও এটা উগান্ডার অধিকাংশ লোকের মাতৃভাষা নয়। তাই, লোকেদের কাছে সুসমাচার পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা করার সময় যিহোবার সাক্ষিরা অন্যান্য প্রধান ভাষাও বিবেচনা করে থাকে। এটা অপরিহার্য বলে প্রমাণিত হয়েছে কারণ দেশের ২ কোটি ৫০ লক্ষ লোকের মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি লোক গ্রামাঞ্চলে বা ছোট শহরগুলোতে বাস করে, যেখানকার লোকেরা রোজকার কথাবার্তায় মূলত তাদের মাতৃভাষাই ব্যবহার করে থাকে। বিভিন্ন ভাষার এই দলগুলোর কাছে পৌঁছাতে এবং লোকেদের আধ্যাত্মিক চাহিদাগুলো মেটাতে ব্যাপক প্রচেষ্টার প্রয়োজন।
কিন্তু, যিহোবার সাক্ষিরা লোকেদের কাছে তাদের নিজের ভাষায় সাক্ষ্য দিয়ে এবং বিভিন্ন ভাষায় বাইবেল সাহিত্যাদি প্রস্তুত করে এই চাহিদাগুলো মেটানোর প্রচেষ্টা করেছে। অনুবাদ দলগুলো রাজধানী শহর কাম্পালায় শাখা অফিসে চারটে ভাষায় কাজ করে: আকোলি, লুকোন্জো, লুগান্ডা এবং রুনিয়ানকোরি। অধিকন্তু, দেশজুড়ে বিভিন্ন ভাষায় অনুষ্ঠিত খ্রিস্টীয় সম্মেলনগুলোতে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি দেখা গিয়েছে, যা উগান্ডায় যিহোবার সাক্ষিদের সংখ্যার চেয়ে দ্বিগুণ উপস্থিতি। এটা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, বিভিন্ন ভাষার দলের কাছে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা দ্রুত আধ্যাত্মিক বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। কিন্তু, শুধু এটাই একমাত্র কারণ নয়।
অগ্রগামীরা কাজের অগ্রভাগে
বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে পৌঁছানোর জন্য মণ্ডলীগুলো প্রতি বছর তিনমাস ব্যাপী অভিযানকে আনন্দের সঙ্গে সমর্থন করে থাকে। (প্রেরিত ১৬:৯) ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় উদ্যোগী যুবক-যুবতী অগ্রগামীরা অথবা পূর্ণসময়ের সুসমাচার প্রচারকরা এই কাজের অগ্রভাগে রয়েছে। তারা বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে ভ্রমণ করে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন এলাকায় যায় যেখানে পূর্বে কখনো সুসমাচার শোনা যায়নি।
* ব্রোশারটি দিয়েছিলাম, তাদের কেউ কেউ কিছুদিন পর ব্রোশারে দেওয়া প্রশ্নগুলোর উত্তর অনেকগুলো পৃষ্ঠার মধ্যে লিখে নিয়ে আমাদের ঘরে এসেছিল। তারা জানতে চেয়েছিল যে, তাদের উত্তরগুলো সঠিক হয়েছে কি না।” আজকে সেই শহরে নিজস্ব কিংডম হলসহ একটা মণ্ডলী রয়েছে।
দুজন সাক্ষি বোনকে পশ্চিম উগান্ডার একটা ছোট্ট শহর বুশেনইয়িতে তিন মাসের জন্য বিশেষ অগ্রগামী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। প্রচার এবং খ্রিস্টীয় সভাগুলো সংগঠিত করার জন্য তারা সেই এলাকায় থাকা একমাত্র সাক্ষি বোনের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। এক মাসের মধ্যে এই দুজন অগ্রগামী ৪০ জন ব্যক্তির সঙ্গে নিয়মিতভাবে বাইবেল আলোচনা করেছিল আর এদের মধ্যে ১৭ জন যিহোবার সাক্ষিদের সভাগুলোতে উপস্থিত হতে শুরু করেছিল। অগ্রগামীরা বলে: যাদের কাছে আমরা ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে কী চান?দুজন অগ্রগামী পশ্চিম উগান্ডার এমন একটা এলাকায় ভ্রমণ করেছিল, যেখানে পূর্বে কখনো সুসমাচার প্রচার করা হয়নি। তারা লিখেছিল: “লোকেরা বাইবেলের সত্যের জন্য আসলেই তৃষ্ণার্ত। আমরা যে-তিনমাস এখানে ছিলাম, সেই সময়ে আমরা ৮৬টা বাইবেল অধ্যয়ন শুরু ও পরিচালনা করতে পেরেছিলাম।” খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই এলাকায় সাক্ষিদের একটা দল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
ক্ষেত্রের অন্যান্য উদ্যোগী কর্মী
উদ্যোগী অগ্রগামীদের মধ্যে কেউ কেউ অনেক বছর ধরে সেবা করে এসেছে। একজন যিহোবার সাক্ষি হওয়ার আগে, প্যাট্রিক উগান্ডার শাসক ইডি আমিনের বিমানবাহিনীর বাদকদলে বাঁশি বাজাতেন। ১৯৮৩ সালে বাপ্তিস্ম নেওয়ার ছয় মাস পর, প্যাট্রিক একজন পূর্ণসময়ের পরিচারক হয়েছিলেন। আজকে তিনি একজন ভ্রমণ অধ্যক্ষ হিসেবে সেবা করছেন, মণ্ডলীগুলোকে পরির্দশন ও উৎসাহিত করছেন।
মার্গারেট ১৯৬২ সালে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন। তার বয়স প্রায় ৮০-র কাছাকাছি এবং কোমরে ব্যথার কারণে তেমন চলাফেরা করতে পারেন না কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি তার প্রতিবেশীদের কাছে বাইবেলভিত্তিক প্রত্যাশার বিষয়ে জানানোর জন্য ৭০ ঘন্টা ব্যয় করে থাকেন। তিনি তার ঘরের বাইরে একটা বেঞ্চের ওপর সাহিত্যাদি রেখে দেন এবং পথচারীদের মধ্যে কেউ শান্তিপূর্ণ এক নতুন জগৎ সম্বন্ধে শুনতে চাইলে তার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন।
সাইমন নামে পূর্ব উগান্ডার একজন কৃষক ১৯৯৫ সালে যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত কিছু সাহিত্য পাওয়ার পর ১৬ বছর ধরে সত্য অনুসন্ধান করেছিলেন। তিনি যা পড়েছিলেন, তা ঈশ্বরের রাজ্য এবং পৃথিবীর জন্য যিহোবার অপূর্ব উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আরও বেশি করে জানার বিষয়ে তার আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধি করেছিল। তিনি যেখানে বাস করতেন সেই কামিউলিতে কোনো সাক্ষি ছিল না, তাই তাদের খোঁজ করার
জন্য সাইমন প্রায় ১৪০ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করে কাম্পালাতে এসেছিলেন। আজকে তার গ্রামে একটা মণ্ডলী রয়েছে।“আমরা এখানে থাকতে এসেছি”
আফ্রিকার অন্যান্য এলাকার মতো, এখানেও অনেকে আশা করে যে কোনো ধর্মীয় দলের উপাসনার জন্য একটা স্থান থাকবে। এটা যিহোবার সাক্ষিদের কিছু মণ্ডলীর জন্য একটা অপ্রতিরোধ্য সমস্যা বলে মনে হয়েছিল কারণ একটা উপযুক্ত কিংডম হল নির্মাণ করার জন্য তাদের টাকাপয়সার ঘাটতি ছিল। ১৯৯৯ সালে যখন বিশ্বব্যাপী দ্রুত কিংডম হল নির্মাণ কার্যক্রম গঠিত হয়েছিল, তখন ভাইদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা ছিল না। পরবর্তী পাঁচ বছরে উগান্ডাতে ৪০টা নতুন কিংডম হল নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছিল। আজকে প্রায় সব মণ্ডলীরই তাদের নিজস্ব সাধারণ অথচ উপযুক্ত কিংডম হল রয়েছে। এই ধরনের নির্মাণ কাজ স্থানীয় লোকেদের কাছে এই বার্তা প্রদান করেছিল যে, “আমরা এখানে থাকতে এসেছি।” এই বিষয়টা বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।
উত্তর উগান্ডার একটা ছোট্ট মণ্ডলীর সভাগুলো যথেষ্ট পাতা রয়েছে এমন কয়েকটা আম গাছের নীচে অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু যখন একটা জমি পাওয়া গিয়েছিল, কাজ দ্রুত এগিয়ে গিয়েছিল। নির্মাণ দলের ভাইয়েরা স্থানীয় সাক্ষিদের সঙ্গে কাজ করে একটা কিংডম হল তৈরি করতে শুরু করেছিল। সেই এলাকার একজন সাবেক বিশিষ্ট রাজনীতিবিদের ওপর এই কাজ খুবই ছাপ ফেলেছিল। যতদিন পর্যন্ত না কিংডম হলের কাজ শেষ হয়, ততদিন তিনি তাদের সভাগুলো করার জন্য তার গ্যারেজ ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি নির্মাণ স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে একজনের সাহায্যে বাইবেল অধ্যয়ন করতেও রাজি হয়েছিলেন। এখন তিনি একজন উদ্যোগী বাপ্তাইজিত প্রকাশক, সেই সুন্দর নতুন কিংডম হলে যিহোবাকে উপাসনা করতে পেরে তিনি আনন্দিত!
দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে একটা কিংডম হল নির্মাণ প্রকল্পের ভাইদের মধ্যে বন্ধুত্ব, ভালবাসা এবং সহযোগিতার মনোভাব দেখে একজন স্থানীয় রাজমিস্ত্রি এতটাই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন যে, তিনি স্বেচ্ছায় এই কাজে সাহায্য করেছিলেন। প্রকল্পের শেষ দিকে তিনি এমনকি সারারাত কাজ করেছিলেন, যাতে ভাইয়েরা পরদিন সকালে কিংডম হলকে উৎসর্গীকরণের জন্য প্রস্তুত করতে পারে। তিনি মন্তব্য করেছিলেন: “আপনারাই হলেন একমাত্র ব্যক্তি যারা শুধুমাত্র মুখেই বলেন না কিন্তু প্রকৃতই পরস্পরকে ভালবাসেন।”
সমস্যার মধ্যেও সম্ভাব্য বৃদ্ধি
যেহেতু উগান্ডায় নতুন এলাকাগুলোতে কাজ করা হয়েছে, তাই সাক্ষিদের সংখ্যা নিয়মিতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে এবং অনেক আগ্রহী ব্যক্তি মণ্ডলীগুলোর সঙ্গে মেলামেশা করছে। কিন্তু, একটা জরুরি চিন্তার বিষয় হল, উগান্ডায় দলে দলে বহু সংখ্যক শরণার্থী ছুটে এসেছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতে সংঘটিত গৃহযুদ্ধ যিহোবার লোকেদেরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। শরণার্থী শিবিরগুলোতে সাক্ষিরা যিহোবার ওপর অতুলনীয় আস্থা প্রদর্শন করেছে। কাছের একটা দেশের একজন সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, যিনি সাক্ষিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন তাদের তাড়না করেছিলেন, তিনি তার আয়েশি জীবনযাপনের বিষয়ে স্মরণ করেন। একটা শরণার্থী শিবিরে বাইবেল অধ্যয়ন করে একজন সাক্ষি হওয়ার পর তিনি মন্তব্য করেছিলেন: “এই জগতের বস্তুগত সমৃদ্ধি এবং এক উচ্চপদের প্রকৃত কোনো মূল্য নেই। যদিও আমি এখন দরিদ্র এবং অসুস্থ কিন্তু আমার জীবন আগের চেয়ে অনেক উত্তম। আমি যিহোবাকে জানি আর আমি প্রার্থনা করার বিশেষ সুযোগ লাভের জন্য কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতের জন্য এক দৃঢ় প্রত্যাশা থাকার সঙ্গে সঙ্গে আমি এও জানি যে, আজকে কেন আমাদের বিভিন্ন সমস্যা সহ্য করতে হয়। তাই এখন আমার সেই মনের শান্তি রয়েছে, যা আগে কখনো ছিল না।”
কথিত আছে যে, যদি আপনি উগান্ডার উর্বর ভূমিতে একটা গাছের ডাল বিকেলে পুঁতে রাখেন, তা হলে পরদিন সকালেই তাতে শিকড় জন্মাবে। এই দেশে সংঘটিত আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি ইঙ্গিত করে যে, এর আধ্যাত্মিক ভূমিও অত্যন্ত উর্বর। আমরা যিহোবা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই কারণ তিনি উগান্ডার বিভিন্ন ধরনের লোককে তাঁর রাজ্য সম্বন্ধে শেখার জন্য এখনও সময় দিচ্ছেন। যিশু এর মূল্যকে ‘মহামূল্য মুক্তার’ সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। উগান্ডার অধিক সংখ্যক লোক দিন দিন তা বুঝতে পারছে।—মথি ১৩:৪৫, ৪৬.
[পাদটীকা]
^ যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত।
[৮ পৃষ্ঠার মানচিত্রগুলো]
(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)
সুদান
উগান্ডা
নীল নদ
কামিউলি
টরোরো
কাম্পালা
বুশেনইয়ি
ভিক্টোরিয়া হ্রদ
কেনিয়া
তানজানিয়া
রুয়ান্ডা
[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]
অনেক উদ্যোগী অগ্রগামী পরিচারকের মধ্যে তিনজন
[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]
প্যাট্রিক
[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]
মার্গারেট
[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]
সাইমন
[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]
টরোরোতে জেলা সম্মেলন
[৮ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]
পটভূমি: © Uganda Tourist Board