কীভাবে আপনি আপনার নতুন মণ্ডলীতে মানিয়ে নিতে পারেন?
অজয় * নামে একজন ভাই বলেন, ‘এখানে চলে আসার কথা ভেবে আমি বেশ ঘাবড়ে ছিলাম। আমি জানতাম না, আমি কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারব কি না অথবা কেউ আমাকে গ্রহণ করবে কি না।’ অজয় এমন একটা নতুন মণ্ডলীর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন, যেটা তার বাড়ি থেকে ১,৪০০ কিলোমিটারেরও (প্রায় ৯০০ মাইল) বেশি দূরে অবস্থিত।
আপনি যদি কোনো নতুন মণ্ডলীতে চলে গিয়ে থাকেন, তা হলে আপনিও হয়তো কিছুটা ঘাবড়ে রয়েছেন। কী আপনাকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সাহায্য করতে পারে? আপনি যদি দেখেন যে, আপনি যতটা আশা করেছিলেন, সেটার চেয়ে মানিয়ে নেওয়া আরও কঠিন, তা হলে আপনি কী করতে পারেন? অন্যদিকে, আপনি যদি আপনার মণ্ডলীতে থেকেই সেবা করেন, তা হলে কীভাবে আপনি হয়তো আপনার মণ্ডলীতে চলে আসা নতুন ভাই-বোনদের সাহায্য করতে পারেন, যেন তারা পরিবর্তনের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নিতে পারে?
কীভাবে আপনি মানিয়ে নিতে এবং উন্নতি করতে পারেন?
এই উদাহরণটা নিয়ে চিন্তা করুন: যখন কোনো গাছকে এক জায়গা থেকে নিয়ে গিয়ে অন্য জায়গায় লাগানো হয়, তখন সেটা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। গাছটাকে সহজেই অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মাটি থেকে সেটা তোলার সময় বেশিরভাগ শিকড় কেটে ফেলা হয়। গাছটাকে অন্য জায়গায় লাগানোর পর, সেটাকে দ্রুত নতুন নতুন শিকড় বিস্তার করতে হয়। একইভাবে, একটা নতুন মণ্ডলীতে চলে যাওয়ার ফলে আপনি হয়তো কঠিন পরিস্থিতি বা চাপের সম্মুখীন হয়েছেন। আপনার আগের মণ্ডলীতে, আপনি প্রেমময় বন্ধুত্ব গড়ে তোলার এবং নিয়মিতভাবে যিহোবার উপাসনা করার এক তালিকার মধ্যে অভ্যস্ত হওয়ার মাধ্যমে ‘শিকড়’ বিস্তার করেছিলেন। এখন আপনাকে নতুন এক পরিবেশে ফল উৎপন্ন করার অর্থাৎ উন্নতি করার জন্য নতুন শিকড় বিস্তার করতে হবে। কী আপনাকে তা করতে সাহায্য করবে? বিভিন্ন শাস্ত্রীয় নীতি প্রয়োগ করা। আসুন, আমরা কয়েকটা নীতি বিবেচনা করি।
যে-ব্যক্তি নিয়মিতভাবে ঈশ্বরের বাক্য পড়েন, তিনি ‘জলস্রোতের তীরে রোপিত বৃক্ষের সদৃশ হইবেন, যাহা যথাসময়ে ফল দেয়, যাহার পত্র ম্লান হয় না; আর তিনি যাহা কিছু করেন, তাহাতেই কৃতকার্য্য হইবেন।’ —গীত. ১:১-৩.
ঠিক যেমন একটা গাছকে তরতাজা থাকার জন্য অবশ্যই নিয়মিতভাবে কোনো জলাশয় থেকে জল শোষণ করতে হয়, তেমনই একজন খ্রিস্টানকে ঈশ্বরের সঙ্গে এক দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য অবশ্যই নিয়মিতভাবে ঈশ্বরের বাক্য থেকে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। তাই, প্রতিদিন বাইবেল পড়া এবং নিয়মিতভাবে মণ্ডলীর সভায় যোগ দেওয়া চালিয়ে যান। পারিবারিক উপাসনা ও ব্যক্তিগত অধ্যয়নের বিষয়ে আপনার উত্তম অভ্যাস বজায় রাখুন। যিহোবার সঙ্গে এক দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য আপনার আগের এলাকায় আপনি যা-কিছু করতেন, সেগুলো আপনাকে আপনার নতুন এলাকায়ও করে যেতে হবে।
“জল-সেচনকারী আপনিও জলে সিক্ত হয়।” —হিতো. ১১:২৫.
আপনি যদি পরিচর্যায় পূর্ণরূপে অংশ নেন, তা হলে আপনি উদ্দীপিত হতে এবং খুব তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারবেন। কৌশিক নামে একজন খ্রিস্টান প্রাচীন বলেন, ‘যে-বিষয়টা আমাকে ও আমার স্ত্রীকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল, তা হল আমাদের নতুন মণ্ডলীতে আসার পর পরই সহায়ক অগ্রগামীর কাজ শুরু করা। আমরা খুব দ্রুত ভাইদের, অগ্রগামীদের ও এলাকার সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠেছিলাম।’ ভাই রবি, যিনি তার নিজের এলাকা থেকে ১,৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি (১,০০০ মাইলের বেশি) দূরে অবস্থিত একটা এলাকায় চলে গিয়েছেন, বলেন: “কোনো নতুন মণ্ডলীর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সর্বোত্তম উপায় হল যত বেশি সম্ভব ক্ষেত্রের পরিচর্যায় অংশ নেওয়া। এ ছাড়া প্রাচীনদের জানান, আপনি যেকোনো উপায়ে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত, হতে পারে কিংডম হল পরিষ্কার করার মাধ্যমে, অন্য ভাইয়ের জায়গায় সভার কোনো অংশ তুলে ধরার মাধ্যমে অথবা কাউকে সভায় নিয়ে আসতে সাহায্য করার মাধ্যমে। ভাই-বোনেরা যখন দেখে, কোনো নতুন ব্যক্তি আত্মত্যাগমূলক মনোভাব দেখাচ্ছেন, তখন তারা আরও সহজে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে।”
‘তোমরা প্রশস্ত হও।’—২ করি. ৬:১৩.
ভ্রাতৃপ্রেম দেখানোর ক্ষেত্রে প্রশস্ত হোন। বোন মীনা ও তার পরিবার একটা নতুন মণ্ডলীতে চলে যাওয়ার পর, তারা নতুন ব্যক্তিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সভার আগে ও পরে কিংডম হলে ভাই-বোনদের সঙ্গে মেলামেশা করতাম। এর ফলে, আমরা কেবল সাধারণভাবে সম্ভাষণ
জানানোর চেয়ে আরও বেশি কথা বলার সময় পেতাম।’ এ ছাড়া, এমনটা করার ফলে সেই পরিবার আরও সহজে নতুন ব্যক্তিদের নাম মনে রাখতে পেরেছিল। এর পাশাপাশি, তারা আতিথেয়তা দেখানোর মাধ্যমে প্রশস্ত হয়েছিলেন, যেটার ফলে নতুন ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একে অন্যের ফোন নম্বর নিয়েছিলাম, যাতে ভাই-বোনেরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে এবং মণ্ডলীর ও অন্যান্য কাজকর্মে আমাদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।’আপনি যদি নতুন ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করার বিষয়টা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হন, তা হলে আপনি ছোটো ছোটো পদক্ষেপ নিতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ, হাসুন—এমনকী যদি প্রথম প্রথম আপনার তা করার ইচ্ছা না-ও থাকে। আপনি যদি হাসেন, তা হলে অন্যেরা আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে। সত্যিই বলতে কী, “চক্ষুর জ্যোতিঃ চিত্তকে আনন্দিত করে।” (হিতো. ১৫:৩০) রেণু নামে একজন বোন, যিনি তার বাড়ির এলাকা থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছেন, বলেন, ‘আমি খুবই লাজুক স্বভাবের। মাঝে মাঝে, আমার নতুন মণ্ডলীর ভাই-বোনদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমাকে অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করতে হয়। আমি এমন কোনো ব্যক্তিকে খুঁজে বের করি, যিনি কারো সঙ্গে কথা না বলে চুপচাপ কিংডম হলে বসে আছেন। সেই ব্যক্তি হয়তো ঠিক আমার মতোই লাজুক।’ প্রতিটা সভার আগে ও পরে নতুন কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার লক্ষ্য স্থাপন করুন না কেন?
অন্যদিকে, আপনি হয়তো প্রথম কয়েকটা সপ্তাহ খুব উৎসুকভাবে নতুন ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করতে পারেন। কিন্তু, সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ‘নতুনত্ব’ হারিয়ে যেতে পারে। সেইসময়, আপনাকে হয়তো নতুন ব্যক্তিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।
মানিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেকে সময় দিন
কোনো কোনো গাছ একটা নতুন পরিবেশে দৃঢ়ভাবে শিকড় বিস্তার করার জন্য অন্যান্য গাছের চেয়ে বেশি সময় নেয়। একইভাবে, সকলেই একই গতিতে নতুন মণ্ডলীর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। যদি এমনটা হয় যে, আপনি বেশ কিছুসময় আগে একটা নতুন মণ্ডলীতে চলে এসেছেন, কিন্তু এখনও মানিয়ে নেওয়ার জন্য লড়াই করছেন, তা হলে বাইবেলের এই নীতিগুলো প্রয়োগ করা আপনাকে সাহায্য করতে পারে:
“আইস, আমরা সৎকর্ম্ম করিতে করিতে নিরুৎসাহ না হই; কেননা ক্লান্ত না হইলে যথাসময়ে শস্য পাইব।”—গালা. ৬:৯.
মানিয়ে নেওয়ার জন্য আপনার যতটা সময় লাগবে বলে আপনি আশা করেছিলেন, সেটার চেয়ে নিজেকে আরও বেশি সময় দিন। উদাহরণ স্বরূপ, গিলিয়েড স্কুলে প্রশিক্ষিত হওয়ার পর অনেক মিশনারি তাদের নিজেদের দেশে বেড়াতে যাওয়ার আগে বহু বছর ধরে বিদেশে তাদের কার্যভারের এলাকায় বসবাস করে। এমনটা করা তাদের কার্যভারের এলাকার স্থানীয় ভাইদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধন গড়ে তুলতে এবং একটা ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে।
আশিষ নামে একজন ভাই একাধিক বার বিভিন্ন মণ্ডলীতে গিয়ে সেবা করেছেন। তিনি উপলব্ধি করেছেন, মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করা যায় না। তিনি বলেন: “শেষ বার একটা মণ্ডলী ছেড়ে নতুন মণ্ডলীতে আসার পর আমার স্ত্রী বলেছিল, ‘আমার সমস্ত বন্ধু আমাদের আগের মণ্ডলীতে রয়েছে!’” তিনি তার স্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, দু-বছর আগে অন্য মণ্ডলী থেকে সেই মণ্ডলীতে চলে আসার সময়ও তার স্ত্রী ঠিক একই কথা বলেছিলেন। কিন্তু, সেই দু-বছরের মধ্যে তার স্ত্রী অন্যদের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিলেন এবং অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছিলেন।
“তুমি বলিও না, বর্ত্তমান কাল অপেক্ষা পূর্ব্বকাল কেন ভাল ছিল? কেননা এ বিষয়ে তোমার জিজ্ঞাসা করা প্রজ্ঞা হইতে উৎপন্ন হয় না।”—উপ. ৭:১০.
আপনার আগের মণ্ডলীর সঙ্গে নতুন মণ্ডলীর তুলনা করা এড়িয়ে চলুন। উদাহরণ স্বরূপ, আপনার নতুন মণ্ডলীর ভাইয়েরা হয়তো আপনার আগের মণ্ডলীর ভাইদের চেয়ে আরও বেশি চুপচাপ থাকতে পছন্দ করে কিংবা তারা হয়তো খুবই খোলাখুলিভাবে কথা বলে। তাদের ইতিবাচক গুণাবলির উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করুন, ঠিক যেমন আপনি চান যে, তারাও আপনার ইতিবাচক গুণাবলির উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করুক। নতুন মণ্ডলীতে গিয়েছে এমন কোনো কোনো ভাই-বোন এই বিষয়টা উপলব্ধি করে অবাক হয়ে গিয়েছিল যে, অন্য জায়গায় চলে আসার ফলে তারা নিজেদের এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে বাধ্য হয়েছিল, ‘আমি কি সত্যিই সমগ্র “ভ্রাতৃসমাজকে” ভালোবাসি?’—১ পিতর ২:১৭.
“যাচ্ঞা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে।”—
সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করে চলুন। ডেভিড নামে একজন প্রাচীন বলেন, ‘নিজের শক্তিতে আপনার পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যেগুলো আমরা কেবল যিহোবার সাহায্যেই করতে পারি। বিষয়টা নিয়ে প্রার্থনা করুন!’ আগে উল্লেখিত বোন রেণু এই বিষয়ে একমত হয়ে বলেন, ‘আমি ও আমার স্বামী যদি কখনো মনে করি, আমরা আসলে মণ্ডলীর অংশ নই, তা হলে আমরা নির্দিষ্টভাবে সেই বিষয় নিয়ে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করে বলি, “দয়া করে আমাদের জানতে সাহায্য করো যে, আমরা এমন কিছু করছি কি না, যেটা অন্যদের পক্ষে আমাদের প্রতি আকৃষ্ট হওয়াকে কঠিন করে তুলছে।” এরপর, আমরা ভাই-বোনদের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করি।’
বাবা-মায়েরা, আপনার সন্তানরা যদি মানিয়ে নেওয়াকে কঠিন বলে মনে করে, তা হলে তাদের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে প্রার্থনা করার জন্য সময় করে নিন। তারা যাতে নতুন ব্যক্তিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারে, সেইজন্য গঠনমূলক মেলামেশা করার ব্যবস্থা করুন।
মণ্ডলীতে আসা নতুন ভাই-বোনদের সাদরে গ্রহণ করুন
আপনার মণ্ডলীতে চলে আসা নতুন ভাই-বোনদের সাহায্য করার জন্য আপনি কী করতে পারেন? প্রথম থেকেই একজন প্রকৃত বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করুন। এরজন্য চিন্তা করার চেষ্টা করুন যে, আপনি যদি কোনো নতুন মণ্ডলীতে চলে যান, তা হলে আপনি কোন বিষয়গুলো লাভ করে কৃতজ্ঞ হবেন আর এরপর তাদের সেই একই বিষয়গুলো প্রদান করুন। (মথি ৭:১২) মণ্ডলীতে আসা নতুন ভাই-বোনেরা কি পারিবারিক উপাসনার জন্য অথবা JW ব্রডকাস্টিং-এর মাসিক কার্যক্রম দেখার জন্য আপনার পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে পারে? আপনি কি পরিচর্যায় আপনার সঙ্গে কাজ করার জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানাতে পারেন? আপনি যদি কোনো সাধারণ খাবার খাওয়ার জন্যও তাদের আমন্ত্রণ জানান, তা হলে তারা দীর্ঘসময় পর্যন্ত আপনার আতিথেয়তার বিষয়টা স্মরণে রাখবে। নতুন ব্যক্তিদের আপনি আর কোন ব্যাবহারিক উপায়ে সাহায্য করতে পারেন?
কিশোর নামে একজন ভাই বলেন, ‘আমরা যখন আমাদের নতুন মণ্ডলীতে গিয়েছিলাম, তখন একজন বোন আমাদের এমন কিছু দোকানের তালিকা দিয়েছিলেন, যেখানে ন্যায্যমূল্যে জিনিসপত্র পাওয়া যায়। সেটা আমাদের অনেক সাহায্য করেছিল।’ ভিন্ন জলবায়ুর এলাকা থেকে আসা ভাই-বোনেরা খুবই কৃতজ্ঞ হবে, যদি আপনি তাদের শেখান যে, আপনার এলাকায় গরম, ঠাণ্ডা কিংবা বৃষ্টির সময় কেমন ধরনের পোশাক পরতে হয়। এ ছাড়া, আপনি তাদের কাছে আপনার সমাজের ইতিহাস সম্বন্ধে বর্ণনা করার অথবা স্থানীয় লোকেদের ধর্মীয় বিশ্বাস সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে তাদের পরিচর্যায় আরও বেশি কার্যকারী হতে সাহায্য করতে পারেন।
মানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা করা সার্থক হয়
শুরুতে উল্লেখিত ভাই অজয় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তার নতুন মণ্ডলীতে সেবা করছেন। তিনি স্মরণ করে বলেন: “প্রথম প্রথম আমাকে ভাই-বোনদের সঙ্গে আলাপ করার জন্য অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করতে হতো। কিন্তু, এখন তারা অনেকটা আমার পরিবারের সদস্যের মতো আর তাই আমি খুব খুশি।” ভাই অজয় উপলব্ধি করেন যে, অন্য মণ্ডলীতে চলে আসার কারণে তিনি কোনো বন্ধু হারাননি। এর পরিবর্তে, তিনি এমন নতুন বন্ধুদের লাভ করেছেন, যারা সম্ভবত চিরজীবনের জন্য তার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবে।
^ অনু. 2 কিছু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।