“ঈশ্বরের বাক্য . . . কার্য্যসাধক”
“ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও কার্য্যসাধক।”—ইব্রীয় ৪:১২.
১. কী আপনাকে এই বিষয়ে নিশ্চিত করে, ঈশ্বরের বাক্যের শক্তি রয়েছে? (শুরুতে দেওয়া ছবিটা দেখুন।)
যিহোবার লোকেরা এই বিষয়ে নিশ্চিত, তাঁর বাক্য অর্থাৎ মানুষের জন্য তাঁর বার্তা হল “জীবন্ত ও কার্য্যসাধক।” (ইব্রীয় ৪:১২) আমরা আমাদের নিজেদের ও অন্যদের জীবনে বাইবেলের এই কার্যসাধনের শক্তির প্রভাব দেখেছি। সাক্ষি হওয়ার আগে কেউ কেউ চোর অথবা মাদকাসক্ত ছিল কিংবা যৌন অনৈতিকতায় লিপ্ত ছিল। আবার অন্যদের খ্যাতি অথবা টাকাপয়সা ছিল ঠিকই কিন্তু তারা এমনটা অনুভব করেছিল যেন তাদের জীবনে কিছু-একটার অভাব রয়েছে। (উপ. ২:৩-১১) আনন্দের বিষয় হল, অনেকে যারা আগে আশাহীন ও দিশেহারা অবস্থায় ছিল, তারা এখন আশা ও নির্দেশনা খুঁজে পেয়েছে। আমরা প্রহরীদুর্গ পত্রিকায় “বাইবেল জীবনকে পরিবর্তন করে” শিরোনামের ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলোতে এইরকম অনেক অভিজ্ঞতা পড়েছি ও উপভোগ করেছি। আর এমনকী খ্রিস্টান হওয়ার পরও লোকেদের অবশ্যই বাইবেলের সাহায্যে যিহোবার সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে ক্রমাগত দৃঢ় করতে হবে।
২. কীভাবে প্রথম শতাব্দীতে ঈশ্বরের বাক্যের শক্তি লোকেদের প্রভাবিত করেছিল?
২ এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, অনেকে যখন সত্য সম্বন্ধে শেখে, তখন তারা নিজেদের জীবনে বড়ো বড়ো পরিবর্তন করে। আমাদের প্রথম শতাব্দীর স্বর্গীয় আশা সম্পন্ন ভাই ও বোনেরাও এইরকম পরিবর্তন করেছিল। (পড়ুন, ১ করিন্থীয় ৬:৯-১১.) পৌল যখন এমন ব্যক্তিদের সম্বন্ধে কথা বলেছিলেন, যারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাবে না, তখন তিনি এই কথাগুলো যুক্ত করেছিলেন: “তোমরা কেহ কেহ সেই প্রকার লোক ছিলে।” ঈশ্বরের বাক্য ও তাঁর পবিত্র আত্মা সেই ব্যক্তিদের পরিবর্তিত হতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু, এমনকী খ্রিস্টান হওয়ার পরও কেউ কেউ এমন গুরুতর ভুল করেছিল, যেগুলো যিহোবার সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছিল। উদাহরণ স্বরূপ, বাইবেলে এমন একজন অভিষিক্ত ভাইয়ের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, যাকে সমাজচ্যুত করতে হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তিনি নিজের জীবনে পরিবর্তন করেছিলেন, যাতে তিনি আবারও খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর অংশ হয়ে উঠতে পারেন। (১ করি. ৫:১-৫; ২ করি. ২:৫-৮) এটা খুবই উৎসাহজনক যে, আমাদের ভাই ও বোনেরা ঈশ্বরের বাক্যের শক্তির কারণে নিজেদের জীবনে এত বড়ো বড়ো পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে।
৩. এই প্রবন্ধে আমরা কী নিয়ে আলোচনা করব?
৩ ঈশ্বরের বাক্য খুবই শক্তিশালী। যেহেতু যিহোবা আমাদের এটি দিয়েছেন, তাই আমরা এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাই যে, আমরা এটিকে ভালোভাবে ব্যবহার করছি। (২ তীম. ২:১৫) এই প্রবন্ধে আলোচনা করা হবে, কীভাবে আমরা বাইবেলের শক্তিকে এই ক্ষেত্রগুলোতে ব্যবহার করতে পারি: (১) আমাদের নিজেদের জীবনে, (২) আমাদের পরিচর্যায় এবং (৩) প্ল্যাটফর্ম থেকে শিক্ষা দেওয়ার সময়। আমরা এই প্রবন্ধে যা শিখব, তা আমাদের স্বর্গীয় পিতার প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা দেখাতে সাহায্য করবে, যিনি আমাদের উপকারজনক শিক্ষা প্রদান করেন।—যিশা. ৪৮:১৭.
আমাদের নিজেদের জীবনে
৪. (ক) ঈশ্বরের বাক্যের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার জন্য আমরা কী করতে পারি? (খ) কীভাবে আপনি বাইবেল পড়ার জন্য সময় বের করে নেন?
৪ আমরা যদি ঈশ্বরের বাক্যের দ্বারা প্রভাবিত হতে চাই, তা হলে আমাদের এটি নিয়মিতভাবে পড়তে হবে। আমাদের এটি প্রতিদিন পড়ার জন্য চেষ্টা করা উচিত। (যিহো. ১:৮) আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকের জীবনই অনেক ব্যস্ত কিন্তু আমরা যেন কোনো কিছুকেই, এমনকী আমাদের বিভিন্ন দায়িত্বকেও, বাইবেল পড়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে না দিই। (পড়ুন, ইফিষীয় ৫:১৫, ১৬.) আমরা হয়তো ভোর বেলায়, দিনের মাঝে কোনো সময়ে অথবা রাতের বেলায় সময় বের করে নিতে পারি। আমরা গীতরচকের সঙ্গে একমত, যিনি লিখেছিলেন: “আমি তোমার ব্যবস্থা কেমন ভালবাসি! তাহা সমস্ত দিন আমার ধ্যানের বিষয়।”—গীত. ১১৯:৯৭.
৫, ৬. (ক) কেন আমাদের ধ্যান করতে হবে? (খ) কীভাবে আমরা কার্যকরী উপায়ে ধ্যান করতে পারি? (গ) কীভাবে বাইবেল পড়া ও সেটি নিয়ে ধ্যান করা আপনাকে সাহায্য করেছে?
৫ তবে, কেবল বাইবেল পড়াই যথেষ্ট নয়। আমরা যা পড়ি, তা নিয়ে আমাদের ধ্যান করতে বা সতর্কতার সঙ্গে ও গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। (গীত. ১:১-৩) একমাত্র এমনটা করার মাধ্যমেই আমরা বাইবেলের প্রজ্ঞাকে আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে পারব। তাই, আমরা ছাপানো বাইবেল অথবা ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যেখান থেকেই বাইবেল পড়ি না কেন, আমরা যেন ঈশ্বরের বাক্যকে আমাদের পরিবর্তন ও অনুপ্রাণিত করার সুযোগ দিই।
৬ কীভাবে আমরা কার্যকরী উপায়ে ধ্যান করতে পারি? বাইবেল পড়ার সময় আমাদের থেমে নিজেদের জিজ্ঞেস করা উচিত: ‘এই অংশটা যিহোবা সম্বন্ধে আমাকে কী জানায়? আমি যা পড়লাম, তা ইতিমধ্যেই কীভাবে নিজের জীবনে কাজে লাগাচ্ছি? আমাকে এখনও কোন কোন ২ করি. ১০:৪, ৫.
পরিবর্তন করতে হবে?’ আমরা যখন ঈশ্বরের বাক্য নিয়ে ধ্যান করব এবং যা পড়ি, সেটা নিয়ে প্রার্থনা করব, তখন আমরা সেটা কাজে লাগাতে অনুপ্রাণিত হব। তারপর, আমরা নিজেদের জীবনে ঈশ্বরের বাক্যের পরাক্রম বা শক্তি দেখতে পাব।—আমাদের পরিচর্যায়
৭. কীভাবে আমরা আমাদের পরিচর্যায় ভালোভাবে ঈশ্বরের বাক্য ব্যবহার করতে পারি?
৭ আমরা যখন প্রচার করি ও শিক্ষা দিই, তখন ঈশ্বরের বাক্য বার বার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। একজন ভাই বলেছিলেন, “আপনি যদি ঘরে ঘরে প্রচার করার সময় স্বয়ং যিহোবার সঙ্গে কাজ করতেন, তা হলে আপনি কি নিজেই সমস্ত কথা বলতেন, না কি তাঁকে কথা বলতে দিতেন?” আমরা যখন কারো কাছে বাইবেল থেকে কোনো শাস্ত্রপদ পড়ে শোনাই, তখন আমরা আসলে যিহোবাকে তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দিই। ভালোভাবে বাছাই করা একটা শাস্ত্রপদ আমাদের বলা যেকোনো কথার চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী। (১ থিষল. ২:১৩) আপনি যখন পরিচর্যায় থাকেন, তখন আপনি কি প্রতিটা সুযোগে বাইবেল থেকে শাস্ত্রপদ পড়ার চেষ্টা করেন?
৮. কেন আমাদের প্রচার করার সময় কেবল শাস্ত্রপদ পড়ার চেয়ে আরও বেশি কিছু করতে হবে?
৮ তবে, আমরা যাদের কাছে প্রচার করি, তাদের কাছে কেবল বাইবেল থেকে একটা শাস্ত্রপদ পড়াই যথেষ্ট নয়। বেশিরভাগ লোক বাইবেলের শাস্ত্রপদের অর্থ বুঝতে পারে না। প্রথম শতাব্দীর লোকেদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টা সত্য ছিল আর বর্তমানের লোকেদের ক্ষেত্রেও এটা সত্য। (রোমীয় ১০:২) আমাদের এমনটা ধরে নেওয়া উচিত নয় যে, গৃহকর্তা নিজে থেকেই শাস্ত্রপদের অর্থ বুঝে যাবেন। আমরা শাস্ত্রপদ থেকে প্রধান শব্দ অথবা ধারণাগুলো পুনরায় উল্লেখ করার এবং তারপর সেগুলো ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে তাকে সাহায্য করতে পারি। এভাবে, ঈশ্বরের বাক্য লোকেদের মন ও হৃদয় স্পর্শ করবে।—পড়ুন, লূক ২৪:৩২.
৯. আমরা কোনো শাস্ত্রপদ পড়ার আগে যা বলি, কীভাবে সেটার মাধ্যমে বাইবেলের প্রতি লোকেদের সম্মান গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারি? একটা উদাহরণ দিন।
৯ আমরা কোনো শাস্ত্রপদ পড়ার আগে যা বলি, ১ করি. ৯:২২, ২৩.
সেটাও গৃহকর্তাকে বাইবেলের প্রতি সম্মান গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ আমরা হয়তো বলতে পারি, “আসুন আমরা দেখি, আমাদের সৃষ্টিকর্তা এই বিষয়ে কী বলেন।” অথবা আমরা যদি এমন কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলি, যিনি খ্রিস্টান নন, তা হলে আমরা বলতে পারি, “আসুন আমরা দেখি, পবিত্র শাস্ত্র আমাদের কী বলে।” আমাদের যদি এমন কোনো ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, যার ধর্মের প্রতি আগ্রহ নেই, তা হলে আমরা জিজ্ঞেস করতে পারি, “আপনি কি কখনো এই প্রাচীন উক্তিটা শুনেছেন?” আমরা যদি মনে রাখি যে, প্রতিটা ব্যক্তির নিজস্ব পটভূমি ও বিশ্বাস রয়েছে, তা হলে আমরা আমাদের ভূমিকাকে আরও আগ্রহজনক করে তোলার জন্য যথাসাধ্য করব।—১০. (ক) একজন ভাইয়ের কোন অভিজ্ঞতা হয়েছিল? (খ) কীভাবে আপনি আপনার পরিচর্যায় ঈশ্বরের বাক্যের শক্তিকে কাজ করতে দেখেছেন?
১০ অনেকে লক্ষ করেছে যে, পরিচর্যায় ঈশ্বরের বাক্য ব্যবহার করা লোকেদের উপর জোরালো প্রভাব ফেলে। উদাহরণ স্বরূপ, একজন ভাই এমন একজন বৃদ্ধ ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেছিলেন, যিনি অনেক বছর ধরে আমাদের পত্রিকা পড়েছেন। একবার, সেই ভাই কেবল প্রহরীদুর্গ পত্রিকার সাম্প্রতিক সংখ্যাটা অর্পণ করার পরিবর্তে একটা শাস্ত্রপদ পড়ারও সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ২ করিন্থীয় ১:৩, ৪ পদ পড়েন, যেটা বলে: “করুণা-সমষ্টির পিতা এবং সমস্ত সান্ত্বনার ঈশ্বর . . . আমাদের সমস্ত ক্লেশের মধ্যে আমাদিগকে সান্ত্বনা করেন।” এই কথাগুলো সেই বৃদ্ধ ব্যক্তির হৃদয়কে এতটাই স্পর্শ করে যে, তিনি ভাইকে আবারও শাস্ত্রপদগুলো পড়তে বলেন। এরপর সেই ব্যক্তি বলেন, তার ও তার স্ত্রীর সত্যিই সান্ত্বনার প্রয়োজন রয়েছে। এই শাস্ত্রপদের কারণে তিনি বাইবেল সম্বন্ধে আরও জানতে চান। আমাদের পরিচর্যায় প্রভু যিহোবার বাক্য ব্যবহার করা কতই-না জোরালো প্রভাব ফেলতে পারে!—প্রেরিত ১৯:২০.
প্ল্যাটফর্ম থেকে শিক্ষা দেওয়ার সময়
১১. যে-ভাইয়েরা প্ল্যাটফর্ম থেকে শিক্ষা দেয়, তাদের কোন দায়িত্ব রয়েছে?
১১ আমরা আমাদের সভা ও সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে ভালোবাসি। আমরা যে-প্রধাণ কারণে এগুলোতে উপস্থিত থাকি, তা হল যিহোবার উপাসনা করা। এ ছাড়া, আমরা যা শিখি, তা থেকেও উপকার লাভ করি। এই কারণে যে-ভাইয়েরা প্ল্যাটফর্ম থেকে আমাদের শিক্ষা দেন, তাদের এক বিশেষ সুযোগ ও গুরুদায়িত্ব রয়েছে। (যাকোব ৩:১) তাদের এই বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন তাদের শিক্ষার ভিত্তি ঈশ্বরের বাক্য হয়। আপনার যদি এই সুযোগ থেকে থাকে, তা হলে কীভাবে আপনি বাইবেলের শক্তিকে আপনার শ্রোতাদের হৃদয় স্পর্শ করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন?
১২. কীভাবে একজন বক্তা এই বিষয়টা নিশ্চিত করতে পারেন যে, তার বক্তৃতার ভিত্তি হল পবিত্র শাস্ত্র বাইবেল?
১২ পবিত্র শাস্ত্র বাইবেল যেন যেকোনো বক্তৃতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়। (যোহন ৭:১৬) তাই, এই বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকুন, আপনি যেভাবে বক্তৃতা দেন এবং আপনি যে-সমস্ত অভিজ্ঞতা অথবা দৃষ্টান্ত ব্যবহার করেন, সেগুলো যেন বাইবেলের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে না ওঠে। এ ছাড়া মনে রাখুন, বাইবেল থেকে পড়া এবং বাইবেল থেকে শিক্ষা দেওয়া এক বিষয় নয়। সত্যি বলতে কী, আপনি যদি অনেক বেশি শাস্ত্রপদ পড়েন, তা হলে বেশিরভাগ লোক সেগুলো মনে রাখবে না। তাই, সতর্কতার সঙ্গে বাছাই করুন যে, আপনি কোন কোন শাস্ত্রপদ ব্যবহার করতে চান। এরপর, সেগুলো পড়ার, ব্যাখ্যা করার, উদাহরণের সাহায্যে স্পষ্ট করার এবং সেগুলোর প্রয়োগ ভালোভাবে তুলে ধরার জন্য সময় করে নিন। (নহি. ৮:৮) একটা বক্তৃতা যখন কোনো আউটলাইনের উপর ভিত্তি করে হয়, তখন সেই আউটলাইন ও সেটাতে ব্যবহৃত শাস্ত্রপদগুলো নিয়ে ভালোভাবে অধ্যয়ন করুন। আউটলাইনের বিষয়বস্তু ও শাস্ত্রপদগুলো কীভাবে একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তা বোঝার চেষ্টা করুন। এরপর, সেই আউটলাইনে উল্লেখিত বিষয়গুলো সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সেই শাস্ত্রপদগুলোর মধ্যে কয়েকটা ব্যবহার করুন। (আপনি ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয়ের শিক্ষা থেকে উপকার লাভ করুন (ইংরেজি) শিরোনামের বইয়ের ২১ থেকে ২৩ পাঠে এবং আপনার কথা বলার ও শিক্ষাদানের ক্ষমতাকে যেভাবে উন্নত করা যায় শিরোনামের বুকলেটের ৬ ও ৮ পাঠে ভালো পরামর্শ খুঁজে পেতে পারেন।) আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যিহোবার কাছে অনুরোধ করুন যেন তিনি আপনাকে বাইবেল থেকে তাঁর মূল্যবান চিন্তাভাবনা তুলে ধরতে সাহায্য করেন।—পড়ুন, ইষ্রা ৭:১০; হিতোপদেশ ৩:১৩, ১৪.
১৩. (ক) একজন বোন যখন সভায় একটা শাস্ত্রপদ পড়তে শুনেছিলেন, তখন তিনি কীভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন? (খ) আমাদের সভায় যেভাবে বাইবেলকে ব্যবহার করা হয়, সেটা কীভাবে আপনাকে প্রভাবিত করেছে?
১৩ অস্ট্রেলিয়ার একজন বোনের প্রতি ছোটোবেলায় অনেক খারাপ বিষয় ঘটেছিল আর এমনকী যদিও তিনি পরবর্তী সময় যিহোবা সম্বন্ধে জানতে পেরেছিলেন, তা সত্ত্বেও তিনি পূর্ণরূপে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে, যিহোবা তাকে ভালোবাসেন। একবার একটা সভায় সেই বোন এমন একটা শাস্ত্রপদ পড়তে শুনেছিলেন, যেটা তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। তিনি সেই শাস্ত্রপদটা নিয়ে ধ্যান করেছিলেন ও গবেষণা করেছিলেন, যেটা তাকে বাইবেলের অন্যান্য শাস্ত্রপদ পড়তে পরিচালিত করেছিল। তিনি এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছিলেন যে, যিহোবা তাকে ভালোবাসেন। * আপনি কি কখনো কোনো সভায় অথবা সম্মেলনে এমন কোনো শাস্ত্রপদ পড়তে শুনেছেন, যেটা আপনাকে এইরকমভাবে প্রভাবিত করেছে?—নহি. ৮:১২.
১৪. কীভাবে আমরা দেখাতে পারি যে, আমরা যিহোবার বাক্যকে মূল্যবান বলে মনে করি ও এটিকে ভালোবাসি?
১৪ আমরা কি যিহোবার লিখিত বাক্য বাইবেলের জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ নই? তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, এটি চিরকাল টিকে থাকবে আর তিনি সেই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করেছেন। (১ পিতর ১:২৪, ২৫) তাই, আমরা এই বিষয়টা নিশ্চিত করতে চাই যেন আমরা নিয়মিতভাবে বাইবেল পড়ি, এটিকে নিজেদের জীবনে কাজে লাগাই এবং অন্যদের সাহায্য করার জন্য এটিকে ব্যবহার করি। আমরা যখন এমনটা করি, তখন আমরা দেখাই যে, এই ধন ও বিশেষভাবে এটির গ্রন্থকার যিহোবা ঈশ্বরের প্রতি আমাদের প্রকৃত ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা রয়েছে।
^ অনু. 13 “ আমার জীবন পুরোপুরি পালটে যায়” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।