চিরকাল ধরে আমাদের সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদগুলো উপভোগ করুন
সৃষ্টিকর্তা ভাববাদী অব্রাহামের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তার এক জন বংশধর ‘পৃথিবীর সকল জাতির’ জন্য আশীর্বাদ নিয়ে আসবেন। (আদিপুস্তক ২২:১৮) কে সেই বংশধর?
আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছর আগে সৃষ্টিকর্তা অব্রাহামের একজন বংশধর যিশুকে অলৌকিক কাজ করার ক্ষমতা দিয়েছিলেন। সেই অলৌকিক কাজগুলো ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, অব্রাহামের কাছে প্রতিজ্ঞা করা আশীর্বাদ যিশু খ্রিস্টের মাধ্যমে অন্যান্য জাতির লোকেরাও লাভ করবে।—গালাতীয় ৩:১৪.
যিশু যে-সমস্ত অলৌকিক কাজ করেছিলেন, সেগুলো দেখে লোকেরা বুঝতে পেরেছিল যে, মানবজাতিকে আশীর্বাদ করার জন্য সৃষ্টিকর্তা তাঁকেই মনোনীত করেছেন আর সেই অলৌকিক কাজগুলো দেখিয়েছিল, কীভাবে সৃষ্টিকর্তা মানবজাতিকে চিরকাল ধরে আশীর্বাদ করার জন্য তাঁকে ব্যবহার করবেন। লক্ষ্য করুন, যিশুর অলৌকিক কাজগুলো কীভাবে তাঁর আকর্ষণীয় গুণগুলো তুলে ধরেছিল।
কোমলতা—যিশু অসুস্থদের সুস্থ করেছিলেন।
একবার একজন কুষ্ঠ রোগী যিশুর কাছে বিনতি করেছিলেন, যেন তিনি তাকে সুস্থ করে দেন। তখন যিশু তাকে স্পর্শ করে বলেছিলেন: “আমার ইচ্ছা, তুমি শুচীকৃত হও।” সঙ্গেসঙ্গে তার কুষ্ঠ রোগ দূর হয়ে যায়।—মার্ক ১:৪০-৪২.
উদারতা—যিশু ক্ষুধার্তদের খাইয়েছিলেন।
যিশু চাননি লোকেরা ক্ষুধার্ত থাকুক। তিনি একাধিকবার কয়েকটা রুটি ও কয়েকটা ছোটো মাছ দিয়ে অলৌকিক উপায়ে হাজার হাজার লোককে খাইয়েছিলেন। (মথি ১৪:১৭-২১; ১৫:৩২-৩৮) খাবার খাওয়ার পর তারা সকলে পরিতৃপ্ত হয়েছিল এবং অনেকটা খাবার বেঁচে গিয়েছিল।
সমবেদনা—যিশু মৃতদের জীবিত করেছিলেন।
যিশু ‘করুণাবিষ্ট হইয়া’ একজন শোকার্ত বিধবার মৃত ছেলেকে জীবিত করেছিলেন। সেই ছেলে ছাড়া সেই বিধবার দেখাশোনা করার জন্য আর কেউ ছিল না।—লূক ৭:১২-১৫.