ঈশ্বর কে?
অনেক লোক বলে, তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে। কিন্তু তাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয়, ঈশ্বর কে, তা হলে তাদের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন উত্তর পাওয়া যায়। কেউ কেউ বলে, যিনি সমস্ত কিছু তৈরি করেছেন, তিনিই হলেন ঈশ্বর। আবার অন্যেরা বলে, আপনি যাকে মানবেন, সেই হবেন ঈশ্বর। কেউ কেউ বলে, ঈশ্বরই আমাদের অস্তিত্বে এনেছেন আবার অন্যেরা বলে, আমাদের প্রতি ঈশ্বরের কোনো আগ্রহ নেই। তাই অনেকের মনে হতে পারে যে, ঈশ্বর কে, তা জানা একেবারেই অসম্ভব।
ঈশ্বরকে জানার কি প্রয়োজন রয়েছে? হ্যাঁ রয়েছে। ঈশ্বরকে ভালোভাবে জানলে আপনি আপনার জীবনের উদ্দেশ্য ও অর্থ খুঁজে পেতে পারেন। (প্রেরিত ১৭:২৬-২৮) আপনি যতই ঈশ্বরের নিকটবর্তী হবেন, ততই ঈশ্বর আপনাকে ভালোবাসবেন ও আপনাকে সাহায্য করবেন। (যাকোব ৪:৮) সবচেয়ে বড়ো বিষয় হল, ঈশ্বরকে ভালোভাবে জানলে আপনি অনন্তজীবন লাভ করতে পারবেন।—যোহন ১৭:৩.
কীভাবে আপনি ঈশ্বরকে জানতে পারেন? আপনার কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বিষয়ে চিন্তা করুন, যাকে আপনি ভালোভাবে জানেন। কীভাবে আপনি তার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছিলেন? সবচেয়ে প্রথমে আপনি তার নাম জিজ্ঞেস করেছিলেন। তারপর আপনি জেনেছিলেন, সে কী পছন্দ করে আর কী অপছন্দ করে। আপনি হয়তো তার অতীত সম্বন্ধে এবং ভবিষ্যতে সে কী করবে, তা তার কাছ থেকে জেনেছিলেন। তার সম্বন্ধে এই সমস্ত কিছু জানার মাধ্যমে আপনি তার ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন।
একইভাবে, নীচের বিষয়গুলো বিবেচনা করার মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরকে ভালোভাবে জানতে পারি:
উপরে উল্লেখিত সমস্ত প্রশ্নের উত্তর বাইবেল থেকে দেওয়ার জন্য এই পত্রিকা তৈরি করা হয়েছে। এই প্রবন্ধগুলো শুধুমাত্র ঈশ্বর কে, তা জানতে সাহায্য করবে না কিন্তু এটাও জানতে সাহায্য করবে যে, ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে কীভাবে আপনি উপকৃত হতে পারেন।