সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

প্রচ্ছদ বিষয় | অলৌকিক বিষয়গুলোর আড়ালে কী রয়েছে?

অলৌকিক বিষয়গুলোর প্রতি কৌতূহল!

অলৌকিক বিষয়গুলোর প্রতি কৌতূহল!

“ভ্যাম্পায়ার, ওয়েরউল্ফ আর জোম্বিদের দিন শেষ —এখন জনপ্রিয় বিষয় হল, ভূতে ধরা আর ভূত ছাড়ানো।” —দি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

যেকোনো বয়সের জাদুকর, মোহময়ী ডাইনি এবং সুন্দর চেহারার ভ্যাম্পায়ার—এগুলো হল কয়েকটা অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন চরিত্র, যেগুলো নিয়ে বিভিন্ন বই লেখা হয়েছে এবং সিনেমা ও ভিডিও গেম তৈরি করা হয়েছে। কোন বিষয়টা এগুলোকে এতটা আকর্ষণীয় করে তোলে? a

‘আগে আমেরিকায় প্রতি দশ জনের মধ্যে এক জন ভূতে বিশ্বাস করত কিন্তু এখন সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি তিন জনের মধ্যে এক জন। সেখানে বয়স্কদের তুলনায় দ্বিগুণ অল্পবয়সি পরামর্শ নেওয়ার জন্য গুণিনদের কাছে যায়, ভূতপ্রেত ও ভূতুড়ে বাড়ির অস্তিত্বে বিশ্বাস করে।’—সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্লড ফিশার।

তাই, এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে, মানুষের উপর মন্দ আত্মা ভর করে এমন গল্পগুলো আবারও ব্যাপকভাবে ফিরে আসছে। দি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সংবাদপত্রে মাইকেল ক্যালিয়া লেখেন, “বর্তমানে ভৌতিক বিষয়গুলো আবারও জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পিছনে কিছুটা হলেও দায়ী গত দশক থেকে জোম্বি, ওয়েরউল্ফ ও ভ্যাম্পায়ার নিয়ে লোকেদের মধ্যে বাড়তে থাকা আগ্রহ।”

একটা রিপোর্ট বলে, “বিশ্বের যেকোনো জায়গায় ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ ব্যক্তি ভূতে বিশ্বাস করে আর অধিকাংশ সংস্কৃতির সাহিত্যে ভৌতিক বিষয়গুলো ফলাও করে তুলে ধরা হয়।” সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার বাডার ও কার্সন মেঙ্কএন যুক্তরাষ্ট্রে এক সমীক্ষা করেছিলেন। এই সমীক্ষা অনুযায়ী, “৭০ থেকে ৮০ শতাংশ আমেরিকাবাসী কোনো-না-কোনো ধরনের অলৌকিক শক্তিতে বিশ্বাস করে।”

প্রেতচর্চা ও অলৌকিক বিষয়ে জড়িত হওয়া কি নিছক মজার বিষয়?

a অলৌকিক: এটা এমন কিছু যা, “বিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক নিয়মের দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।”—মেরিয়াম-ওয়েবস্টারস্‌ লার্নারস্‌ ডিকশনারি।