তরুণ-তরুণীদের জন্য
১২: লক্ষ্য
এটার অর্থ
লক্ষ্য বলতে শুধু স্বপ্ন দেখা বোঝায় না, যা ঘটবে বলে তুমি আশা করো। সত্যিকারের লক্ষ্যের সঙ্গে পরিকল্পনা ও মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা জড়িত। এক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে, কোনো সহজ পথ নেই।
লক্ষ্যের পরিধি বিভিন্নরকম হতে পারে, যেমন স্বল্প (অর্জন করতে কয়েক দিন অথবা সপ্তাহ লাগে), মধ্যম (কয়েক মাস লাগে) ও দীর্ঘ (এক বা একাধিক বছর লাগে)। ছোটো ছোটো লক্ষ্য অর্জন করার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যগুলোতে পৌঁছানো যেতে পারে।
যে-কারণে এটা গুরুত্বপূর্ণ
লক্ষ্যে পৌঁছানোর ফলে তুমি আরও আত্মবিশ্বাসী হতে, বন্ধুত্বের সম্পর্ক দৃঢ় করতে ও নিজের আনন্দ বৃদ্ধি করতে পারো।
আত্মবিশ্বাস: তুমি যখন ছোটো ছোটো লক্ষ্য স্থাপন করে সেগুলোতে পৌঁছাও, তখন তুমি আরও বড়ো লক্ষ্য স্থাপনের জন্য আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠো। এ ছাড়া, তুমি রোজকার বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতা, যেমন সঙ্গীসাথির কাছ থেকে আসা চাপের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য, নিজেকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী মনে করো।
বন্ধুত্ব: লোকেরা এমন ব্যক্তিদের সান্নিধ্য পছন্দ করে, যারা বাস্তবসম্মতভাবে লক্ষ্যের প্রতি স্থির থাকে অর্থাৎ তারা কী চায়, তা জানে ও সেটার জন্য কাজ করতে ইচ্ছুক থাকে। এ ছাড়া, বন্ধুত্বের সম্পর্ক দৃঢ় করার সবচেয়ে ভালো উপায় হল, একই লক্ষ্য রয়েছে এমন ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করা।
আনন্দ: তুমি যখন লক্ষ্য স্থাপন করে সেগুলোতে পৌঁছাতে পারো, তখন তুমি কোনো কিছু সম্পাদন করার অনুভূতি লাভ করো।
“আমি লক্ষ্য স্থাপন করতে ভালোবাসি। এগুলো আমাকে ব্যস্ত রাখে আর আমি সেগুলোতে পৌঁছানোর জন্য প্রচেষ্টা করে চলতে পারি। তুমি যখন কোনো লক্ষ্যে পৌঁছাও, তখন পিছনে তাকিয়ে তোমার খুব ভালো লাগে আর তুমি নিজেকে বলো, ‘ওয়াও, আমি সত্যিই পেরেছি! যা চেয়েছিলাম, সেটাই করতে পেরেছি।’”—ক্রিস্টোফার।
বাইবেলের নীতি: “যে লোক উপযুক্ত বাতাসের জন্য অপেক্ষা করে তার বীজ বোনা হয় না; যে লোক উপযুক্ত আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে তার ফসল কাটা হয় না।”—উপদেশক ১১:৪, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারশন।
তুমি যা করতে পারো
লক্ষ্য স্থাপন করার ও সেগুলোতে পৌঁছানোর জন্য এই পদক্ষেপগুলো নাও।
শনাক্ত করো। সম্ভাব্য লক্ষ্যের তালিকা তৈরি করো ও গুরুত্ব অনুযায়ী সেগুলো সাজাও অর্থাৎ যেগুলো তুমি আগে অর্জন করতে চাও সেগুলো বেছে নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এভাবে ক্রমানুযায়ী সাজাও।
পরিকল্পনা করো। প্রতিটা লক্ষ্যের জন্য, নীচে উল্লেখিত বিষয়গুলো করো:
-
বাস্তবসম্মত সময়সীমা নির্ধারণ করো।
-
লক্ষ্যের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে পরিকল্পনা করো।
-
কোন কোন বাধা আসতে পারে তা বোঝার চেষ্টা করো এবং কীভাবে সেগুলো কাটিয়ে ওঠা যায়, তা চিন্তা করো।
কাজ করো। শুরু করার আগে খুঁটিনাটি সমস্ত কিছুর জন্য অপেক্ষা কোরো না। নিজেকে জিজ্ঞেস করো, ‘আমার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সবচেয়ে প্রথমে আমি কোন কাজটা করতে পারি?’ এরপর সেটা করো। প্রতিটা ধাপ শেষ করার পর তোমার কতটা উন্নতি হয়েছে, তা পরীক্ষা করো।
বাইবেলের নীতি: “পরিশ্রমীর পরিকল্পনার ফলে নিশ্চয়ই প্রচুর ধনলাভ হয়।”—হিতোপদেশ ২১:৫, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারশন।