বিজ্ঞানীরা যা জানাতে পারেননি
এমনটা মনে হয় যেন বিজ্ঞানীরা এই নিখিলবিশ্বের সমস্ত কিছুর বিষয়েই গবেষণা করে ফেলেছেন। কিন্তু এখনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রয়েছে, যেগুলোর উত্তর তাদের কাছে নেই।
বিজ্ঞানীরা কি আসলেই জানেন যে, সম্পূর্ণ নিখিলবিশ্ব এবং জীবন কীভাবে অস্তিত্বে এসেছে? এক কথায় উত্তর হল, না! কেউ কেউ বলে যে, কসমোলজি নিয়ে যে-বিজ্ঞানীরা গবেষণা করেন, তারা নিখিলবিশ্বের উৎপত্তি সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করতে পারেন। তবে, ডার্টমথ কলেজের জ্যোতির্বিজ্ঞানের একজন প্রফেসর মার্সেলু গ্লেজের বলেন: “নিখিলবিশ্বের উৎপত্তি সম্বন্ধে আমরা কোনোরকম ব্যাখ্যা করিনি।” তিনি একজন অজ্ঞেয়বাদী (যিনি মনে করেন, ঈশ্বর আছেন কি না, তা জানা সম্ভব নয়)।
জীবনের আরম্ভ সম্বন্ধে সায়েন্স্ নিউজ নামে একটা ম্যাগাজিনের প্রবন্ধে একইরকম কথা লেখা রয়েছে: “পৃথিবীতে জীবন কীভাবে শুরু হয়েছে, তা নির্দিষ্টভাবে বলা হয়তো অসম্ভব হবে: বেশিরভাগ শিলা ও জীবাশ্ম (ফসিল) অনেক সময় আগেই লোপ পেয়ে গিয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে পৃথিবীর শুরুর দিনগুলোতে কী ঘটেছিল, তা বোঝা যেত।” এই তথ্যগুলো থেকে বোঝা যায় যে, বিজ্ঞান এখনও পর্যন্ত এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি যে, সমস্ত নিখিলবিশ্ব এবং জীবন কীভাবে শুরু হয়েছে।
কিন্তু, আপনার হয়তো মনে হতে পারে, ‘এই পৃথিবীতে জীবন যদি অনেক পরিকল্পনা করার পর তৈরি করা হয়ে থাকে, তা হলে এটা কে তৈরি করেছে?’ আপনার মনে হয়তো এই ধরনের প্রশ্নও এসেছে: ‘যদি একজন বিজ্ঞ ও প্রেমময় সৃষ্টিকর্তা অস্তিত্বে থাকেন, তা হলে কেন তিনি মানুষকে দুঃখকষ্ট ভোগ করতে দিয়েছেন? কেন এত ধরনের ধর্ম রয়েছে? কেন লোকেরা এত খারাপ কাজ করে?’
বিজ্ঞান এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারে না। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, এগুলোর কোনো উত্তর নেই। আসলে, অনেকেই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর বাইবেল থেকে খুঁজে পেয়েছে।
কিছু বিজ্ঞানী রয়েছেন, যারা বাইবেল অধ্যয়ন করেছেন এবং বিশ্বাস করেন যে, একজন সৃষ্টিকর্তা রয়েছেন। আপনি যদি জানতে চান, তারা কেন এমনটা বিশ্বাস করেন, তা হলে jw.org ওয়েবসাইটে যান এবং “জীবনের উৎস সম্বন্ধে দৃষ্টিভঙ্গি” খুঁজুন।