আপনি কীভাবে বুঝতে পারবেন?
“নিখিলবিশ্ব শূন্য থেকে আপনা-আপনি সৃষ্ট হওয়া সম্ভব এবং এটাই হয়েছে।”—পদার্থবিদ স্টিভেন হকিং ও লেনার্ড মলোডিনোভ।
“আদিতে ঈশ্বর আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি করিলেন।”—বাইবেল, আদিপুস্তক ১:১.
সত্যিই কি এই নিখিলবিশ্ব এবং প্রাণীজগৎ শূন্য থেকে এসেছে, না কি এই সবই একজন ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন? এই বিষয়ে বাইবেলের প্রথম বইয়ের প্রথম পদে যা বলা হয়েছে এবং দু-জন বিজ্ঞানী যা বলেছেন, তার মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। অনেক লোক বাইবেলের কথায় বিশ্বাস করে। আবার অনেক লোক বিজ্ঞানীদের কথায়ও বিশ্বাস করে। অন্যদিকে অনেকে রয়েছে, যারা কোনটাতে বিশ্বাস করবে, তা বুঝতে পারে না। এই বিষয়ে লোকেরা এমনকী বিভিন্ন জনপ্রিয় বইয়ে এবং টিভি প্রোগ্রামে যুক্তিতর্ক তুলে ধরে।
স্কুলের শিক্ষকেরা হয়তো এই বিষয়ে জোর দিয়ে বলেন, নিখিলবিশ্ব আপনা-আপনি এসেছে এবং কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই। কিন্তু, তারা কি এই বিষয়ে কোনো প্রমাণ দিতে পেরেছেন যে, ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই? অন্যদিকে, ধর্মীয় শিক্ষকেরা এই বিষয়ে শিক্ষা দেন, এক জন সৃষ্টিকর্তা আছেন। কিন্তু, তারা কি এর পক্ষে কোনো প্রমাণ তুলে ধরেন, না কি ঈশ্বর আছেন বা শাস্ত্রে এটাই লেখা রয়েছে বলে তারা শেখান আর তা-ই মেনে নিতে বলেন?
আপনি হয়তো নিশ্চয়ই এই বিষয়ে চিন্তা করেছেন এবং ভেবেছেন যে, ঈশ্বর আছেন কি না, এই ব্যাপারে কেউই নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারে না। আবার আপনার এও মনে হতে পারে: ঈশ্বর আছেন কি না, তা জানা কি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ?
এমন বেশ কয়েকটা তথ্য রয়েছে, যেগুলোর কারণে অনেকে বিশ্বাস করেছে যে, ঈশ্বর আছেন। প্রথমত, সজাগ হোন! পত্রিকার এই সংখ্যায় সেই সম্বন্ধে তুলে ধরা হয়েছে। আর তারপর এটা এও তুলে ধরবে যে, এই নিখিলবিশ্ব এবং পৃথিবীতে জীবনের আরম্ভ সম্বন্ধে জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ।