আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের থেকে
আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের থেকে
পোশাক আমি আপনাদের “আমরা যে ধরনের পোশাক পরি—তা কি ভেবে দেখার মতো একটা বিষয়?” (ফেব্রুয়ারি ৮, ১৯৯৯, ইংরেজি) নামের প্রবন্ধটার কথা বলার জন্যই লিখছি। “উপযুক্ত সময়ে খাদ্য” জোগানোর জন্য আপনারা যে কঠোর পরিশ্রম করেন তা আমি সত্যিই উপলব্ধি করি। (মথি ২৪:৪৫) কিন্তু ওই প্রবন্ধের কিছু কিছু মন্তব্যকে আমার কাছে ব্যক্তিগত মতামত বলে মনে হয়েছে। যেমন, এই মন্তব্যটা, “তুমি যদি তোমার প্রিয় কোন চিত্রতারকা বা খেলোয়াড়ের ছবি আছে এমন কোন টি-শার্ট পরো, . . . তাহলে তা ধীরে ধীরে তোমাকে নায়কদেরকে উপাসনা অর্থাৎ প্রতিমাপূজা করার দিকে নিয়ে যেতে পারে।” আর প্রতিমাপূজা ঠিক নয়। কিন্তু, বাইবেলের নীতিকে লংঘন না করেও একজন খেলোয়াড়কে শ্রদ্ধা করা যায়।
এম. ডি., ফ্রান্স
তোমার খোলাখুলি মন্তব্য শুনে আমরা খুশি হয়েছি। কিন্তু পোশাক সম্বন্ধে কোন নিয়ম তৈরি করা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। আমাদের প্রবন্ধ পাঠক-পাঠিকাদেরকে তাদের পোশাক বাছাই করার সময় ‘সুবুদ্ধি’ ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত করে। (১ তীমথিয় ২:৯, ১০) টি-শার্ট সম্বন্ধে যে মন্তব্য করা হয়েছে তা বিধিবদ্ধ কোন নিয়ম নয় কিন্তু আমরা এটুকুই বলতে চাই যে নির্দিষ্ট কোন ধাঁচের পোশাক পরা হয়তো ব্যক্তির ক্ষতি করতে পারে। কারও দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রশংসা করা দোষের কিছু নয়, তবে একজন খ্রীষ্টানের কি এমন কিছু পরা ঠিক হবে যাতে মনে হয় যে তিনি এমন একজন ব্যক্তির জীবনধারা ও নীতিকে সম্মান করেন যিনি বাইবেলের মানদণ্ড অনুযায়ী জীবনযাপন করেন না?—সম্পাদক।
বাবামাকে লেখা চিঠি “তাদের বাবামাকে লেখা এক বিশেষ চিঠি” প্রবন্ধটা পড়ে আমি অনেক অনেক উৎসাহ পেয়েছি। (মার্চ ৮, ১৯৯৯, ইংরেজি) আমার মনে হয়েছে যে আমার নিজের এইরকম চিঠি আমার বাবামাকে লেখা উচিত ছিল। সভায় যাওয়া, রোজ প্রচারে বের হওয়া এবং আতিথ্য দেখানোর ব্যাপারে তারা খুবই ভাল উদাহরণ ছিলেন। আমার বাবা একজন পরিচারক দাস ছিলেন; তিনি নিশ্চয়ই মণ্ডলীর নানা দায়িত্বে খুব ব্যস্ত ছিলেন। তারপরও তিনি প্রায়ই আমাদের আনন্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন আর এর ফলে আমরা কখনও আমাদের বন্ধুবান্ধবদের দেখে হিংসা করিনি। একবার এক সম্মেলন থেকে বাড়ি ফেরার সময় তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান আর এতে আমাদের জীবন একেবারে পালটে যায়। কিন্তু, তার জীবনে রাজ্যকে প্রথম স্থান দেওয়ার কথা এবং আমার মায়ের বিশ্বাসের কথা মনে রেখেই আমি এখনও যিহোবাকে সেবা করে যাচ্ছি।
এস. কে., জাপান
শিশুরা বিপদের মধ্যে এপ্রিল থেকে জুন, ১৯৯৯ সংখ্যার “শিশুরা বিপদের মধ্যে—কে তাদের রক্ষা করবে?” প্রবন্ধগুলোর জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আমি মনে করি যে শিশু অপব্যবহারের এই উল্লেখযোগ্য বিষয়টা লোকেদের জাগিয়ে তুলবে। শিশুদেরকে রক্ষা করা হল আমাদের কর্তব্য। আপনাদের এই ভাল কাজ চালিয়ে যান।
পি. পি., কাউন্সিলারস্ অফিস ফর চিলড্রেন, রোম, ইতালি
এটা খুবই দুঃখের বিষয় যে একবিংশ শতাব্দীর দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে অনেক শিশুকে এখনও শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো হচ্ছে এবং তাদেরকে দিয়ে খুন করানো হচ্ছে। এর চেয়েও দুঃখজনক হল যে বেশির ভাগ শিশুরই সুস্থ জীবনের কোন আশা নেই। আবারও একবার সচেতন থাক! পত্রিকা বিশ্বের শিশুদের অবস্থা ঠিক-ঠিকভাবে তুলে ধরেছে।
এস. আর. বি., ব্রাজিল
৩৬ বছর বিবাহিত জীবনের পর আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমি জানতে পেরেছিলাম যে আমার স্বামী বেশ কয়েক বছর ধরে আমার নিজের মেয়েদের ওপর যৌন নিপীড়ন করে এসেছে। (আমার স্বামী খ্রীষ্টান ছিলেন না।) আমি যখন তা জানতে পারি, আমি যেন আমার পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। যৌন নিপীড়নের কারণে নির্দোষ লোকেরা যে গুরুতর আঘাত পায় বা অবর্ণনীয় দুঃখ ভোগ করে তা যেন কেউই বোঝে না। তাই আমি যিহোবাকে ধন্যবাদ জানাই যে আপনারা এই মহামারীর বিষয়ে লিখেছেন।
এন. এম., যুক্তরাষ্ট্র