আখ এক বিরাটকায় ঘাস
আখ এক বিরাটকায় ঘাস
অস্ট্রেলিয়ার সচেতন থাক! সংবাদদাতা কর্তৃক
চিনি না থাকলে আমাদের কী হতো? চিনি না থাকলে পৃথিবীর গতি থেমে যেত বললে বাড়িয়েই বলা হবে কিন্তু আবার এটাও ঠিক যে, চিনি না থাকলে খাদ্য তালিকায় রাতারাতি পরিবর্তন আনতে হতো। হ্যাঁ, আজকে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশেই চিনি রোজকার জীবনের এক অপরিহার্য খাবার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এর ফলে চিনি উৎপাদন সারা পৃথিবীতে এক শিল্পে পরিণত হয়েছে।
কিউবা থেকে ভারত এবং ব্রাজিল থেকে আফ্রিকার লাখ লাখ লোকেরা আখ চাষ করে। সত্যি বলতে কী, একসময় চিনি উৎপাদনই বিশ্বের এক নম্বর ও সবচেয়ে লাভজনক ব্যাবসা হয়ে উঠেছিল। অর্থাৎ বলা যায় যে আখ যেভাবে সারা বিশ্বের ওপর আধিপত্য বিস্তার করেছিল অন্য আর কোন উদ্ভিদ সেভাবে পারেনি।
এই বিশেষ উদ্ভিদ সম্বন্ধে কি আপনি আরও জানতে চান না? যদি চান, তাহলে আসুন আমরা অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড থেকে একটু ঘুরে আসি যেখানে আখ উৎপাদন করা হয়। যদিও এই এলাকায় খুব বেশি আখ জন্মায় না কিন্তু উন্নত চাষ পদ্ধতি ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য এই দেশ বিশ্বে এক নম্বর অশোধিত চিনি রপ্তানিকারী দেশ হয়ে উঠেছে।
আখের দেশ থেকে ঘুরে আসা
এখানকার বায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র। ক্রান্তীয় অঞ্চলে পরিপক্ব আখ খেতের ওপর কড়া রোদ পড়ে। গম সংগ্রহকারী মেশিনের মতো একটা বড় মেশিন ধীরে ধীরে লম্বা লম্বা আখ গাছের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছে এবং পরিপক্ব আখ কেটে ওই মেশিনের ট্রেইলারের মধ্যে রাখছে। কিছুক্ষণের মধ্যে কাটা আখ থেকে মিষ্টি রস ফোঁটায় ফোঁটায় মাটিতে পড়ছে আর এক মিষ্টি, আর্দ্র সুবাস চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এই অসাধারণ ঘাসের সুস্বাদু রসের যাত্রা খেত থেকে শুরু হয় এবং আপনার টেবিলে রাখা চিনির পাত্রে গিয়ে শেষ হয়।
কিছুদিন আগেও অস্ট্রেলিয়াতে হাত দিয়ে আখ কাটা হতো। অনেক দেশে এখনও এভাবেই আখ কাটা হয় আর তা খুবই পরিশ্রমের। এই দৃশ্যটা একটু কল্পনা করুন। চাষীরা হাত দিয়ে একটা একটা করে আখ কাটছে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সারি বেঁধে তারা ধীরে ধীরে আখ খেতের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যায়। সৈনিকদের মতো প্রায় সমান তালে এগিয়ে গিয়ে চাষীরা এক হাত দিয়ে এক গুচ্ছ আখ জড়িয়ে ধরে এবং খুব শক্তি দিয়ে সেগুলোকে মাটি থেকে শেকড় সহ টেনে তুলে এক পাশে রেখে দেয়। চারিদিকে শাঁই শাঁই শব্দ শোনা যায়। যে কাণ্ডগুলো মাটিতে শক্তভাবে আটকে থাকে সেগুলোকে কাটার জন্য চাষীরা খুব দক্ষভাবে তাদের বড় বড় ছুরি চালায়। সেগুলোকে এক পাশে সারি করে রেখে তারা পরের ঝাড় বা গুচ্ছের দিকে এগিয়ে যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় এই অবস্থা ধীরে ধীরে পালটে যাচ্ছে কারণ এখন অনেক দেশেই এই কাজগুলো মেশিন দিয়ে করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার আখ উৎপাদনকারী অঞ্চল মূলত উপকূলে অবস্থিত, যা প্রায় ২,১০০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে রয়েছে। আর এর বেশির ভাগ জায়গাই বিখ্যাত গ্রেট ব্যারিয়ার রীফ বরাবর অবস্থিত। (১৯৯১ সালের ৮ই জুন সংখ্যার ইংরেজি সচেতন থাক! এর “গ্রেট ব্যারিয়ার রীফ থেকে ঘুরে আসা” প্রবন্ধটা দেখুন।) এখানকার আবহাওয়া সারা বছরই উষ্ণ ও আর্দ্র থাকে আর এই কারণেই এখানে প্রচুর পরিমাণে আখ জন্মায়। এখানকার প্রায় ৬,৫০০ জন চাষী তাদের পরিবার নিয়ে আখ চাষ করেই জীবন চালায়। থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা আঙুরের মতো ছোট ছোট খামারগুলো উপকূলবর্তী এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
অনেকটা পথ গাড়ি চালিয়ে এসে আমরা দূর থেকে কুইন্সল্যান্ডের মধ্য উপকূলীয় অঞ্চলের চিনি উৎপাদনকারী শহর বেন্ডেনবার্গ দেখতে পাই। একটা ছোট পাহাড়ে উঠে আমরা এক অপূর্ব দৃশ্য দেখি। যত দূর চোখ যায় শুধু আখ আর আখ, যেখানে পাতাগুলোতে ঢেউ তুলে হাওয়া বয়ে চলেছে! কী বিচিত্র রঙের খেলা! কিছু খেতের আখ এখনও কাঁচা আবার কিছু খেতের আখ পরিপক্ব হয়েছে, আবার কিছু কিছু খেত থেকে এই বছর বা কয়েকদিন আগে আখ কাটা হয়েছে ফলে সেগুলো খালি পড়ে আছে আর দূর থেকে সেগুলোকে বাদামি রঙের বলে মনে হচ্ছে। কাঁচা-পাকা আখের সবুজ ও সোনালি রং আর বাদামি রঙের টুকরো জমি সব মিলিয়ে এক অপূর্ব দৃশ্য তৈরি হয়েছে।
এখানে জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা পড়ে আর এই মাস থেকেই আখ কাটার ও রস বের করার মরশুম শুরু হয়। আর এই আখ কাটা ও রস বের করা ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতে থাকে। কেটে আনা আখগুলো দিয়ে কী করা হয়, তা দেখার জন্য আমরা চিনিকলে যেতে চাই। কিন্তু আমাদেরকে বলা হয় যে, সেখানে যাওয়ার আগে আমরা যেন আখ সম্বন্ধে কিছু জেনে নিই। তাই আমরা প্রথমে সেখানকার চিনি গবেষণা কেন্দ্রে যাব বলে ঠিক করি। এখানে বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন জাতের আখ উৎপাদন করেন এবং আখ চাষ ও উৎপাদন কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়ে গবেষণা করেন।
এর উৎপত্তি ও চাষ পদ্ধতি
চিনি গবেষণা কেন্দ্রে একজন হাসিখুশি কৃষিবিদ আমাদেরকে আখ এবং এটা কীভাবে জন্মায় সেই সম্বন্ধে জানান। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং নিউ গিনির বৃষ্টিবহুল অরণ্যে প্রথম আখ পাওয়া যায়। আখ হল ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ পরিবারের মধ্যে এক বিরাটকায় ঘাস। এছাড়াও সাধারণ ঘাস, খাদ্যশস্য এবং বাঁশ এই পরিবারের সদস্য। এই উদ্ভিদগুলো সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় পাতার মধ্যে চিনি উৎপন্ন করে। কিন্তু আখ এদের চেয়ে কিছুটা আলাদা। এটা প্রথমে পাতার মধ্যে প্রচুর চিনি উৎপন্ন করে কিন্তু পরে সেই চিনি ছোবড়াযুক্ত লম্বা কাণ্ডে মিষ্টি রসের আকারে জমা করে রাখে।
প্রাচীন ভারতে প্রচুর আখ চাষ করা হতো। সা.কা.পূ. ৩২৭ সালে আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেটের সৈন্যরা দেখেছিলেন যে সেখানকার লোকেরা “এক অদ্ভুত ধরনের লাঠি চিবোয়, যেটাতে কোন মৌমাছি ছাড়াই এক ধরনের মধু হয়।” ১৫শ শতাব্দীতে যখন নতুন নতুন দেশ আবিষ্কারের নেশায় মানুষ বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে পড়ে ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে অনেক উন্নতি করে তখন আখ উৎপাদনও দাবানলের মতো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আজকে হাজার হাজার প্রজাতির আখ রয়েছে। আর প্রতি বছর ৮০টারও বেশি দেশে প্রায় একশ কোটি টন আখ উৎপন্ন হয়।
বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে আখ রোপণ খুবই খাটুনির কাজ। পরিপক্ব আখের কাণ্ডগুলোকে প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার লম্বা করে ছোট ছোট টুকরো করা হয় এবং নালায় ১.৫ মিটার দূরত্বে সারি সারি করে বোনা হয়। একেকটা টুকরো বা বীজখণ্ডে ৮ থেকে ১২টা আখের কাণ্ড বের হয় যেগুলো ১২ থেকে ১৬ মাসের মধ্যে কাটার উপযোগী হয়। ঘন আখ খেতের মধ্যে দিয়ে হাঁটার সময় গা কেমন শিরশির করে। আখের কাণ্ড ও পুরু পাতার ঝাড় প্রায় চার মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। খেতের মধ্যে যে ঝিরঝির শব্দ হচ্ছে তা কী শুধু হাওয়া বয়ে যাওয়ার শব্দ, নাকি কোন
সাপ বা ইঁদুর শব্দ করছে? বিপদ আসার আগে এখনই খোলা জায়গায় চলে যাওয়া নিরাপদ!আখের ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন করার জন্য গবেষণা করা হচ্ছে। গবেষণা করার ফলে অনেক পোকামাকড় ও রোগবালাইকেই দমন করা গেছে কিন্তু সবগুলোকে দমন করা সম্ভব হয়নি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১৯৩৫ সালে আখের ক্ষতিকারক মাজরা পোকাকে দমন করার জন্য উত্তর কুইন্সল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ হাওয়াই থেকে একধরনের ব্যাং নিয়ে আসে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যে, এই ব্যাংগুলো মাজরা পোকা না খেয়ে অন্য খাবার খেতে শুরু করে ও দ্রুত বংশবিস্তার করে আর এর ফলে নিজেরাই সমস্ত উত্তর অস্ট্রেলিয়ার জন্য এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
কাটার আগেই পুড়িয়ে ফেলা হয়?
যখন চারিদিকে অন্ধকার নেমে এসেছিল তখন আমরা এক আজব ব্যাপার দেখতে পাই। সেখানকার একজন কৃষক পরিপক্ব আখের খেতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ছোট খেতে আগুন ধরে যায় আর রাতের আকাশে আগুনের শিখা দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। আখ খেতে আগুন ধরানোর ফলে অবাঞ্ছিত পাতা ও অন্যান্য বস্তু পুড়ে যায়, যেগুলো আখ কাটার ও কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করার সময় অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। তবে বেশির ভাগ চাষীরাই এখন আখের খেতে আগুন না জ্বালিয়েই আখ কাটে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় সবুজ আখ কাটা। এটা শুধু চিনির উৎপাদনই বাড়ায় না সেইসঙ্গে মাটির ওপর একধরনের মিশ্র সারের আবরণ তৈরি করে, যা মাটিক্ষয় রোধ করতে ও আগাছা দমন করতে সাহায্য করে।
যদিও অনেক দেশে এখনও হাতেই আখ কাটা হয় কিন্তু বেশ কিছু দেশে আখ কাটার বড় বড় মেশিন দিয়ে আখ কাটা হচ্ছে। এই বড় বড় মেশিনগুলো খেতের মধ্যে লম্বা লম্বা আখ কাটতে কাটতে এগিয়ে চলে, আগা ছেঁটে কাণ্ড থেকে পাতাগুলোকে ফেলে দেয় আর তারপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আখগুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে। এরপরই এগুলো কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করার জন্য তৈরি হয়ে যায়। একজন চাষী হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে যেখানে সারাদিনে মাত্র ৫ টন আখ কাটতে পারে সেখানে আখ কাটার মেশিন দিয়ে খুব সহজেই দিনে ৩০০ টন আখ কাটা যায়। পর পর কয়েক বছর, বছরে একবার করে আখ কাটা যায়। কিন্তু, চিনির উৎপাদন কমে গেলে আবারও নতুন করে চারা লাগাতে হয়।
আখ কাটা হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি রস বের করা জরুরি, তা
না হলে কাটা আখ থেকে চিনির পরিমাণ খুব তাড়াতাড়ি কমে যায়। তাড়াতাড়ি করে চিনিকলে পৌঁছানোর জন্য কুইন্সল্যান্ডের আখ উৎপাদনকারী অঞ্চলে প্রায় ৪,১০০ কিলোমিটার লম্বা সরু ট্রাম লাইন রয়েছে। এই লাইনের ওপর দিয়ে যখন ছোট ছোট ইঞ্জিনগুলো আখ বোঝাই করা বগিগুলোকে টেনে নিয়ে গ্রামের মধ্যে দিয়ে চলে তখন লাইনগুলোকে রঙিন দেখায়।চিনিকলে
চিনিকল ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা খুবই মজার। ঢুকতেই প্রথমে যে জিনিস চোখে পড়বে তা হল আখ বোঝাই করা সারি সারি বগি, যেগুলো এখনই খালি করে দিতে হবে। বড় বড় শ্রেডার ও রোলারগুলো আখ নিঙড়ে ছোবড়া থেকে রস বের করে। রস বের করে নেওয়ার পর যে ছোবড়াগুলো থেকে যায় সেগুলোকে শুকিয়ে পুরো চিনিকলের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত ছোবড়াগুলো কাগজ ও বিল্ডিংয়ের সরঞ্জামাদি তৈরির কারখানায় বিক্রি করে দেওয়া হয়।
এরপর রস থেকে ভেজাল দ্রব্যগুলোকে আলাদা করে পরিষ্কার রস বের করা হয়। ভেজাল দ্রব্যগুলোকে আবার শোধন করে মাড নামে একধরনের দ্রব্য পাওয়া যায়, যা সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে আরেকটা উপজাত দ্রব্য থাকে তা হল ঝোলাগুড়। আর এই গুড় পশুপাখির খাবার এবং মদ ও স্পিরিটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আখের এত গুণ ও চিনিকলের প্রক্রিয়াজাতকরণ সত্যিই আগ্রহজনক।
এরপর রস ফুটানো হয় আর এর ফলে রসের অতিরিক্ত জল বাষ্প হয়ে উড়ে গিয়ে ঘন সিরাপে পরিণত হয় ও এর থেকে চিনির দানা গঠিত হয়। যতক্ষণ না এগুলো নির্দিষ্ট আকারের হয় ততক্ষণ পর্যন্ত এগুলো বড় হতেই থাকে। এরপর এগুলোকে আলাদা করে শুকানো হয়। এর ফলে অশোধিত বাদামি রঙের চিনি উৎপন্ন হয়। অবশেষে এই বাদামি চিনিগুলোকে আরও পরিশোধন করার মাধ্যমে আজকে খাবার টেবিলে যে সাদা রঙের চিনি দেখা যায়, সেই চিনি পাওয়া যায়।
আখের দেশে মজার ভ্রমণ শেষে ও আখ সম্বন্ধে অনেক কিছু জানার পর আপনার চা বা কফি হয়তো আরেকটু বেশি মিষ্টি লাগবে। অবশ্য আপনার যদি ডায়াবিটিস থাকে, তাহলে আপনাকে চিনি খাওয়া বাদ দিয়ে চিনির বিকল্প কিছু খেতে হবে।
যিনি আখ নামের এই বিস্ময়কর বিরাটকায় ঘাস বানিয়েছেন ও তা প্রচুর পরিমাণে জন্মানোর ব্যবস্থা করেছেন, তাঁর দক্ষতা ও সৃজনশীল ক্ষমতা সত্যিই আমাদের মনে ছাপ ফেলে।
[২২ পৃষ্ঠার বাক্স]
বীট নাকি আখ?
সারা পৃথিবীতে মূলত দুটো শস্য থেকে চিনি উৎপাদন করা হয়। আখ প্রধানত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে জন্মে এবং সারা পৃথিবীতে যত চিনি লাগে তার শতকরা ৬৫ ভাগ চিনি উৎপাদন করে। বাকি ৩৫ ভাগ চিনি মিষ্টি বীট থেকে উৎপন্ন হয়, যা ঠাণ্ডা আবহাওয়া যেমন পূর্ব ও পশ্চিম ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় উৎপন্ন হয়। কিন্তু আখ ও বীট থেকে পাওয়া চিনির রাসায়নিক গঠন একইরকম।
[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]
আখ কাটার যন্ত্র। ট্র্যাক্টর একটা ট্রেইলারকে টেনে নিচ্ছে
[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]
কাটার আগে আখ আগুনে পোড়ানো হচ্ছে
[২১ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]
পৃষ্ঠা ২১-৪-এ দেওয়া চিত্রগুলো: Queensland Sugar Corporation