সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

বন্যপ্রাণীদের ওপর নজর রাখা

বন্যপ্রাণীদের ওপর নজর রাখা

বন্যপ্রাণীদের ওপর নজর রাখা

কল্পনা করুন যে, আপনার পিঠে একটা রেডিও ট্রান্সমিটার যুক্ত করা আছে, যাতে আপনার প্রত্যেকটা পদক্ষেপ লক্ষ ও বিশ্লেষণ করা যায়। ভ্রমণশীল পাখি আ্যলবেট্রসের জীবন ঠিক এইরকম, যে-পাখিটার নামকরণ করেছিলেন মিসেস গিবসন। এর শরীরে লাগানো ক্ষুদ্র ট্রান্সমিটারের সাহায্যে ও উপগ্রহ ব্যবহার করে গবেষকরা এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে এবং সেইসঙ্গে একইভাবে সজ্জিত পাখিদের সংকেতগুলোকে ধারণ করতে এবং এরপর এগুলো পৃথিবীতে প্রেরণ করতে পারেন। উদ্ভূত উপাত্ত এই অপূর্ব পাখিদের বিষয়ে কিছু চমৎকার তথ্য জুগিয়েছে, যেগুলো এদের সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে আশা করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় লা ট্রব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বিবৃতি অনুসারে, গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, ভ্রমণশীল আ্যলবেট্রসরা দিনে গড়ে ৩০০ কিলোমিটার পথ উড়তে পারে আর মাঝেমাঝে একদিনে ১,০০০ কিলোমিটারেও বেশি পথ ওড়ে। এর ডানার বিস্তার ৩৪০ সেন্টিমিটারেরও বেশি, যা যেকোন পাখির বিস্তারের মধ্যে সবচেয়ে বড় আর নজরকাড়া এই পাখিগুলো এই ডানা দিয়ে কয়েক মাসে বৃত্তাকারে ঝাঁকে ঝাঁকে ৩০,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ ওড়ে। যুক্তরাষ্ট্রে করা একই গবেষণা প্রকাশ করে যে, লাইসান দ্বীপের একটা আ্যলবেট্রস এর একটা বাচ্চার জন্য খাবার নিয়ে আসতে, টার্ন দ্বীপ, হোনুলুলুর উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত, আ্যলুসান দ্বীপের ওপর দিয়ে ৬,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথে চার বার ভ্রমণ করেছিল।

উচ্চ প্রযুক্তিগত এই গবেষণাগুলো হয়তো এও প্রকাশ করেছে যে, কেন ভ্রমণশীল পুরুষ আ্যলবেট্রসদের চেয়ে স্ত্রী আ্যলবেট্রসদের সংখ্যা দ্রুত হারে কমে গেছে। ওড়ার পথগুলো দেখিয়েছে যে, জন্ম নেওয়া পুরুষ পাখিগুলো আ্যন্টার্কটিকার কাছে মাছ ধরতে যায় আর জন্ম নেওয়া স্ত্রী পাখিগুলো সাধারণত খাদ্যের অন্বেষণে আরও উত্তরে, যেখানে অনেক মাছ ধরার নৌকা রয়েছে, সেদিকে যায়। নৌকার পিছনে পাখিগুলো টোপ দিতে গিয়ে ধরা পড়ে আর এরপর এগুলো ডুবে যায়। কিছু নবজাতদের মধ্যে পুরুষদের সংখ্যা স্ত্রীদের তুলনায় বেশি হয় অর্থাৎ ১টা স্ত্রী পাখি হলে ২টো পুরুষপাখি হয়। আ্যলবেট্রসের অন্যান্য প্রজাতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বস্তুতপক্ষে, ১৯৯০ সালের মাঝামাঝিতে প্রায় ৫০,০০০টা পাখি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সমুদ্রগুলোতে ডুবে যায় আর তা বিভিন্ন প্রজাতিকে নির্মূল করে ফেলার ক্ষেত্রে ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। সত্যি বলতে কী, ভ্রমণশীল আ্যলবেট্রসকে অস্ট্রেলিয়ার বিপন্ন প্রজাতি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই আবিষ্কারগুলো মাছ ধরার পন্থায় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এবং ভ্রমণশীল আ্যলবেট্রসের মৃত্যুর ঝুঁকিকে কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু প্রজনন স্থানে এই প্রজাতি ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

পাখিকে বেড়ি দেওয়া

যদিও ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলো গবেষকদের নির্দিষ্ট কয়েক প্রজাতির পাখিদের ওপর নজর রাখতে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু অনেক বছর ধরে সস্তা ও আরও সাধারণ পদ্ধতিগুলো ব্যবহৃত হয়ে আসছে। একটা হল পাখিকে বাঁধা, যার মধ্যে সতর্কভাবে পাখির গোড়ালির চারিদিকে ব্রেসলেটের মতো ছোট ধাতব বা প্লাস্টিকের তৈরি বেড়ি পরানো হয়।

স্মিথসোনিয়ান পত্রিকা বলে, প্রাক্তন গবেষণা যন্ত্র হিসেবে পাখিকে বেড়ি পরানো ১৮৯৯ সালে শুরু হয়েছিল, যখন ড্যানিশ স্কুলশিক্ষক হানস্‌ ক্রিস্টেন মরটেনসেন “নিজে ধাতব বেড়ি তৈরি করে, তাতে তার নাম ও ঠিকানা খোদাই করেন ও সেগুলো ১৬৫টা বাচ্চা পাখিকে পরিয়ে দেন।” আজকে বিশ্বের প্রায় সব জায়গায়ই পাখির পায়ে বেড়ি পরানোর রীতি রয়েছে, যাকে ইউরোপে রিঙিং বলা হয় আর তা ভৌগলিক সীমা ও এগুলোর ভ্রমণ অভ্যাস, স্বভাব, সামাজিক গঠন, মোট সংখ্যা এবং এর জীবনযাপন ও বংশবৃদ্ধির হার সম্বন্ধে মূল্যবান তথ্য জোগায়। যেখানে শিকার করার অনুমতি রয়েছে, সেখানে বেড়ি পরানোর মাধ্যমে সরকার খেলায় ব্যবহৃত পাখির জন্য দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থাপনায় আইনপ্রণয়নে সাহায্য করে। বেড়ি পরানো এও প্রকাশ করে যে, কীভাবে পাখিরা বিভিন্ন রোগ ও রাসায়নিক বিষক্রিয়া দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আসলে কিছু কিছু পাখি মানুষের রোগ বহন করতে পারে যেমন এনসেফ্যালিটি ও লাইম রোগ, তাই পাখির জীববিজ্ঞান ও অভ্যাসের ওপর তথ্য আমাদের স্বাস্থ্যকেও রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

বেড়ি পরানো কি নিষ্ঠুর?

বিশেষ করে যেসব দেশে পাখিকে বেড়ি পরানো প্রচলিত, সেখানে এই ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম ধার্য করা হয়েছে আর বেড়ি যারা পরায় তাদের সাধারণত লাইসেন্স থাকতেই হবে। অস্ট্রেলিয়ার প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা বলে, “যারা বেড়ি পরায় তাদের খুব যত্নের সঙ্গে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যে, পাখিকে কীভাবে ধরতে হবে, এগুলোকে কোনরকম আহত না করে কীভাবে বেড়ি পরাতে হবে। প্রশিক্ষণে সাধারণত দুবছর সময় লাগে আর অনেক অনুশীলনের দরকার হয়।” ইউরোপ ও সেইসঙ্গে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলোতেও একইরকম আইন রয়েছে।

পাখির বেড়ির আকার, আকৃতি, রং ও বস্তু বিভিন্ন হয়। বেশির ভাগ বেড়িগুলো সাধারণত হালকা বস্তু যেমন আ্যলুমিনিয়াম বা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয় কিন্তু দীর্ঘজীবি পাখি বা যেগুলো লবণাক্ত জলের পরিবেশে থাকে, সেগুলোর জন্য স্টেইনলেস স্টিল বা ক্ষয় হয় না এমন বস্তু ব্যবহার করা হয়। রঙের প্রলেপ দেওয়া বেড়িগুলোর মাধ্যমে পাখিদের অনেক দূর থেকে চেনা যায়। এর জন্য যদিও বেশ কিছু সংখ্যক বেড়ি পরাতে হয় কিন্তু এটা পাখিদের চেনার জন্য আবারও ধরার যন্ত্রণা থেকে রেহাই দেয়।

যে-ধরনের বেড়িই ব্যবহার করা হোক না কেন, গবেষকরা মন দিয়ে লক্ষ্য রাখেন যে, পাখিরা যেন বিরক্ত না হয় বা কোন কিছু যেন তাদের স্বভাবের শারীরবৃত্তি, দীর্ঘজীবিতা, সামাজিক জীবন, বাস্তুসংস্থান বা বেঁচে থাকার ওপর প্রভাব না ফেলে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, উজ্জ্বল রঙের চিহ্ন যেমন পাখার নিচে ঝোলানো কোন ট্যাগ কিছু বাঁধা পাখিকে শিকারির বা সঙ্গীর নজরে বেশি পড়তে সাহায্য করে। কিছু প্রজাতি তাদের পায়ের ওপর মলত্যাগ করে তাই এই পাখিদের বেড়ি পরানো সংক্রামক রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ঠাণ্ডা অঞ্চলে বেড়ির ওপর বরফ জমতে পারে এবং বিশেষ করে জলচর পাখিগুলোর জন্য সম্ভাব্য বিপদ নিয়ে আসতে পারে। পাখিকে চিহ্নিত করার মধ্যে এই সামান্য কিছু বিষয় জড়িত। কিন্তু তা সত্ত্বেও, সেগুলো পাখির জীববিদ্যা ও স্বভাব সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান তুলে ধরে, যা কার্যকারী এবং একই সময়ে মানবীয় হওয়া উচিত।

বেড়ি পরানো বা ট্যাগ লাগানো প্রাণী খুঁজে পেলে কী হবে?

মাঝেমাঝে বেড়ি বা ট্যাগের মধ্যে টেলিফোন নম্বর বা খোদাই করা ঠিকানা থাকে, যা আপনাকে মালিক বা বেড়ি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভবপর করে। * তা হলে আপনি কখন ও কোথায় ট্যাগটা পাওয়া গেছে ও সেইসঙ্গে হয়তো আরও কিছু বিষয় মালিককে জানাতে পারবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মাছের ক্ষেত্রে একজন জীববিজ্ঞানী নির্ধারণ করতে পারেন যে, বেড়ি বাঁধার ও মুক্ত করার পর থেকে এটা কত দূর ও কত দ্রুত ভ্রমণ করেছে।

সারা পৃথিবীর গবেষক এবং বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরা, যারা ট্যাগ বা বেড়ির বিষয়ে নিয়মিত খবর দেন তাদের কল্যাণে বন্য প্রাণীর বিষয়ে বিস্ময়কর সব তথ্য জানা যায়। যেমন গাংশালিক পরিবারের ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম ওজনের রেড নট পাখির কথা বিবেচনা করুন। বিজ্ঞানীরা এখন জানেন যে, কিছু কিছু রেড নট পাখি প্রতি বছর কানাডার সুদূর উত্তর থেকে দক্ষিণ আমেরিকার একেবারে প্রান্তে যায় ও এরপর ফিরে আসে, এভাবে প্রায় ৩০,০০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।

একটা বুড়ো কিন্তু স্বাস্থ্যবান রেড নট পাখির বেড়ি থেকে জানা গিয়েছিল যে, এটা হয়তো ১৫ বছর ধরে একই কাজ করে আসছে। হ্যাঁ, এই ছোট্ট পাখিটা হয়তো ৪,০০,০০০ কিলোমিটার পথ উড়েছে—পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্বের চেয়েও আরও দূরে! এই ছোট্ট সুন্দর পাখিটাকে তার হাতের ওপর রেখে, প্রকৃতি লেখক স্কট ওয়াইডেনসল বলেছিলেন: “আমি শুধু এই ভ্রমণকারীদের প্রতি বিস্ময়ের সঙ্গে মাথা নত করতে পারি, যারা এই বিশাল পৃথিবীকে এক সূত্রে গেঁথে দিয়েছে।” সত্যিই, পৃথিবীর অনেক সৃষ্টি সম্বন্ধে আমরা যত বেশি জানি, যিনি “নির্ম্মাণ করিয়াছেন আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী . . . ও তাহার মধ্যে যাহা কিছু আছে,” সেই যিহোবা ঈশ্বরের প্রতি আমাদের বিস্ময় ও সম্মান আরও বেড়ে যায়।—গীতসংহিতা ১৪৬:৫, ৬.(g০২ ৩/২২)

[পাদটীকা]

^ বেড়িগুলো বা ট্যাগ এতটাই পুরনো হয়ে যেতে পারে যে সেখানে দেওয়া, বিশদ বর্ণনা অস্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এসিড ব্যবহার করে আপাতদৃষ্টিতে অদৃশ্য লেখাগুলোকে প্রায়ই পড়া যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে পাখির পায়ে বেড়ি পরানোর গবেষণাগারে, প্রতি বছর শত শত বেড়িতে কী লেখা আছে তা পড়া হয়।

[২৭ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্রগুলো]

বিভিন্ন ধরনের বেড়ি পরানো ও অনুসরণ পদ্ধতি

পাখি ছাড়া অন্যান্য অনেক প্রাণীকে গবেষণা করার জন্য বেড়ি পরানো হয়। বেড়ি পরানোর কলাকৌশল বৈজ্ঞানিক কাজ ও সেইসঙ্গে শারীরিক বৈশিষ্ট্য ও জীবজন্তুর অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। পায়ে বেড়ি পরানো ছাড়াও গবেষকরা পতাকা, বাতাসে আন্দোলিত ফিতা, ট্যাগ, রং, উলকি, রঞ্জক, মালিকানা চিহ্ন, কলার, বেতার অনুসরণকারী যন্ত্র, ছোট কম্পিউটার ও স্টেইনলেস স্টিল তীর (যার মধ্যে সংকেতলিপি বিশিষ্ট ট্যাগ আটকানো আছে) এবং সেইসঙ্গে পায়ের আঙুল, কান ও লেজের নমুনা বিশিষ্ট কিছু টুকরো এবং আরও অন্যান্য পদ্ধতি ও যন্ত্র ব্যবহার করেন। এগুলোর মধ্যে কয়েকটা খুবই সস্তা। অন্যগুলো বেশ দামি যেমন ১৫,০০০ মার্কিন ডলার মূল্যের ক্যামকর্ডার যুক্ত ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক যন্ত্র রয়েছে, যা সীল মাছের ডুব দেওয়ার স্বভাবকে গবেষণা করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

একটা বৈদ্যুতিক যন্ত্র যাকে অক্রিয় ইন্টিগ্রেটেড ট্রান্সপনডার বলা হয়, সেটা অজ্ঞান একটা জন্তুর চামড়ায় বা দেহে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এবং পরে বাইরে থেকে একটা বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে তা পড়া হয়। নীল টুনা মাছ সম্বন্ধে গবেষণা করার জন্য বিজ্ঞানীরা সেই মাছের ভিতর একটা ক্ষুদ্র কমপিউটার ঢুকিয়ে দেন, যাকে সংরক্ষণাগার ট্যাগ বা স্মার্ট ট্যাগ বলা হয়। প্রায় নয় বছর পর্যন্ত এই মাইক্রোচিপ ভিতরের আবহাওয়া, গভীরতা, আলোর পরিধি ও সময় সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করে ও সংরক্ষিত রাখে। এরপর যখন ট্যাগটাকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়, তখন এটা অনেক তথ্য প্রকাশ করে যার অন্তর্ভুক্ত হল সেই প্রাণীটা কতদূর পর্যন্ত ভ্রমণ করেছে, যা আলোর পরিধির সঙ্গে সময়ের তথ্যকে তুলনা করলেই জানা যায়।

সাপদের চিহ্নিত করা হয় নির্দিষ্ট কিছু আঁশের টুকরো দিয়ে; কচ্ছপকে তার খোলসের খাঁজের দ্বারা; টিকটিকিকে পায়ের আঙুলের টুকরো দ্বারা; বড় ও ছোট কুমিরকে পায়ের আঙুলের টুকরো বা লেজের হাড় (শক্ত প্লেট) দিয়ে। কয়েকটা প্রাণীর চেহারার মধ্যে প্রাকৃতিক কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যাদেরকে ছবির মাধ্যমে সহজেই চেনা যায়।

[চিত্রগুলো]

কালো ভল্লুকের কানে ট্যাগ ঝোলানো; স্প্যাগেটি ট্যাগ ধারী ড্যামসেল মাছ; কুমিরের লেজে ট্যাগ বাঁধা

ভ্রমণশীল বাজপাখির ওপর কৃত্রিম উপগ্রহ যন্ত্র

রংধনু রোহিতজাতীয় মাছে একটা অভ্যন্তরীণ টেলিমেট্রি যন্ত্র

[সৌজন্যে]

ভল্লুক: © Glenn Oliver/Visuals Unlimited; ডেমস্যাল মাছ: Dr. James P. McVey, NOAA Sea Grant Program; কুমির: Copyright © ২০০১ by Kent A. Vliet; ২ ও ২৫ পৃষ্ঠার বাজপাখি: Photo by National Park Service; মাছ নিয়ে কয়েকজন লোক: © Bill Banaszewski/Visuals Unlimited

[২৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

উজ্জ্বল চকচকে চামড়া বিশিষ্ট বাজপাখির পায়ে বেড়ি দেওয়া

[সৌজন্যে]

© Jane McAlonan/Visuals Unlimited