শুনুন এবং শিখুন
শুনুন এবং শিখুন
“আমরা যা কিছু শিখেছি এর ৮৫ ভাগ শুনেই শিখেছি,” টরেন্টো স্টার খবরের কাগজের একটা রিপোর্ট বলে। যদিও আমাদের জীবনের অনেকটা সময়ই আমরা শোনার জন্য ব্যয় করি কিন্তু আমরা নানা বিষয় চিন্তা করি অথবা অন্যমনস্ক হই বা যা শুনি এর ৭৫ ভাগই ভুলে যাই। এই লক্ষণীয় পরিসংখ্যান দেখায় যে, শোনার ক্ষেত্রে আমাদের উন্নতি করা দরকার।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘শোনার ক্ষেত্রে দক্ষ না হওয়ার জন্যই মূলত সমাজে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে।’ রিবিকা শাফির নামে একজন রোগ বিশারদ ও ভাববিনিময় সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞা বিশ্বাস করেন যে, এই কারণেই আত্মহত্যা, স্কুলে দৌরাত্ম্য, পরিবারে ভাঙন এবং নেশাকর ওষুধের অপব্যবহারের মতো ঘটনাগুলো প্রায়ই ঘটে থাকে।
সমাজ বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, লোকেদের শোনার ধরন বিভিন্ন। কেউ কেউ লোকেদের সম্বন্ধে শুনতে চায় এবং কোন একটা বিষয় সম্বন্ধে সমস্ত আগ্রহজনক বিবরণ বিস্তারিত শুনতে পছন্দ করে। অন্যেরা আবার কোন ঘটনা সম্বন্ধে শুনতে আগ্রহী এবং বক্তার কাছ থেকে শুধু মূল ঘটনাটাই জানতে চায়। স্টার পত্রিকা মন্তব্য করে, ‘অতএব আমরা বলতে পারি যে, লোকেদের সম্বন্ধে শুনতে আগ্রহী এমন ব্যক্তি এবং ঘটনা সম্বন্ধে শুনতে আগ্রহী এমন ব্যক্তি কথাবার্তা বললে তাতে কোন ফলই আসবে না।’
তাই উপযুক্ত কারণেই যীশু জোর দিয়ে বলেছিলেন, “দেখিও, তোমারা কিরূপে শুন।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (লূক ৮:১৮) মনোযোগ দিয়ে শোনাটা ভাল আচরণের প্রকাশ। গঠনমূলক কথাবার্তার ক্ষেত্রে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আলোচনার সময় কীভাবে শুনতে হয় সেই বিষয়ে ব্যবহারিক কিছু পরামর্শের মধ্যে রয়েছে যেকোন বিক্ষেপকে তুচ্ছ করা, কিছুটা সামনের দিকে হেলে আসা আর সরাসরি চোখের মাধ্যমে যোগাযোগ করে উত্তর দেওয়া ও মাথা নেড়ে সম্মতি জানানো। যেহেতু আমাদের শেখার বিষয়টা বলতে গেলে অনেকটাই মন দিয়ে শোনার ওপর নির্ভর করে, তাই মনোযোগ দেওয়া হল এমন কিছু যে-বিষয়টার জন্য আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।(g০২ ৪/৮)