উদ্ভিদ ওষুধপত্রের এক মূল্যবান উৎস
উদ্ভিদ ওষুধপত্রের এক মূল্যবান উৎস
বিশেষজ্ঞরা অনুমান করে বলে যে, লোকেরা যেসব আধুনিক ওষুধে নির্ভর করে সেগুলোর শতকরা ২৫ ভাগ, পুরোপুরি বা আংশিকভাবে এমন রাসায়নিক পদার্থ হিসেবে শুরু হয়েছিল, যা উদ্ভিদে পাওয়া যায়। এই সত্যটা প্রায়ই সেই লোকেরা উল্লেখ করে, যারা বিভিন্ন ভেষজ চিকিৎসাকে সমর্থন করে।
যে-উদ্ভিদের ঔষধি গুণ রয়েছে সেগুলোর ওপর করা বেশির ভাগ গবেষণা সক্রিয় যৌগগুলোকে পৃথক করতে পরিচালিত করেছে। এইরকম একটা যৌগের মুখ্য উদাহরণ হল আ্যসপিরিন, যেটা সাদা উইলো গাছের বাকল থেকে পাওয়া স্যালিসিন থেকে তৈরি করা হয়।
পৃথক করার পর, একটা উদ্ভিদে পাওয়া সক্রিয় যৌগগুলোকে পর্যাপ্ত ও আরও সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। একটা তথ্যগ্রন্থ বলে: “আ্যসপিরিন যে-উপকারগুলো জোগায় সেগুলো লাভ করার জন্য উইলোর বাকল যথেষ্ট পরিমাণে খাওয়া অথবা ডিজিটেলিসের পূর্ণ জীবনরক্ষাকারী কার্যকারিতা লাভ করার জন্য যথেষ্ট ফক্সগ্লোভ খাওয়া, প্রাকৃতিক উপাদানগুলো খাওয়ার চেয়ে একটা ওষুধের বড়ি খাওয়ার মাধ্যমে আরও সহজে সম্পাদিত হয়।”
অন্য দিকে, কোনো ঔষধি উদ্ভিদ থেকে সক্রিয় যৌগ পৃথক করার অসুবিধাগুলো থাকতে পারে। একটা অসুবিধা হল, এর ফলে হয়তো উদ্ভিদের অন্য উপাদানগুলোর দ্বারা জোগান পুষ্টিগত এবং সম্ভাব্য ঔষধি উপকারগুলো হারাতে পারে। সেইসঙ্গে, কিছু জীবাণু যেগুলো রোগ সৃষ্টি করে সেগুলো সেই ওষুধগুলোর প্রতিরোধক হয়ে ওঠে, যা তাদেরকে লক্ষ্যবস্তু করে।
কুইনাইন হল এমন এক উপাদান যা সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে পাওয়া যায় আর এটা ঔষধি উদ্ভিদ থেকে সক্রিয় যৌগ পৃথক করার মধ্যে যে-অনেক অসুবিধা রয়েছে, সেই উদাহরণ জোগায়। যদিও কুইনাইন ম্যালেরিয়া সৃষ্টিকারী পরজীবিদের ব্যাপক পরিমাণে ধ্বংস করে, তবুও যে-পরজীবিগুলোকে এটা ধ্বংস করতে পারে না, সেগুলো ক্রমে ক্রমে বাড়তে থাকে যখন অন্য পরজীবীগুলো মারা যায়। একটি তথ্যগ্রন্থ ব্যাখ্যা করে: “এই প্রতিবন্ধকতা ওষুধের ক্ষেত্রে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে।” (g০৩ ১২/২২)
[১৯ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]
সাদা উইলো গাছ থেকে আ্যসপিরিন সংগ্রহ করা হয়
[সৌজন্যে]
USDA-NRCS PLANTS Database/Herman, D.E. et al. ১৯৯৬. North Dakota tree handbook
[১৯ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]
সিঙ্কোরা গাছ, যেটা থেকে কুইনাইন সংগ্রহ করা হয়
[সৌজন্যে]
Courtesy of Satoru Yoshimoto