সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

গ্লকোমা যে-রোগটা আপনার দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয়

গ্লকোমা যে-রোগটা আপনার দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয়

গ্লকোমা যে-রোগটা আপনার দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয়

এক মুহূর্তের জন্য আপনার চোখ দুটোকে এই বাক্যের শেষ শব্দটার ওপর কেন্দ্রীভূত রাখুন। আপনার চোখ আশেপাশে না ঘুরিয়ে আপনি কি এই পত্রিকাটির ওপর, নিচ এবং দুপাশের কিছু অংশ দেখতে পাচ্ছেন? খুব সম্ভবত আপনি দেখতে পাচ্ছেন, আর তা পারছেন প্রান্তিক দৃষ্টিশক্তির কারণে। এই প্রান্তিক দৃষ্টিশক্তি আপনার দিকে পাশ থেকে এগিয়ে আসা কোনো সন্দেহজনক ব্যক্তির সম্বন্ধে অবগত করে। এটা আপনাকে মেঝেতে পড়ে থাকা বস্তুগুলো এড়িয়ে চলতে বা হাঁটার সময় দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লাগা এড়াতে সাহায্য করে। আর গাড়ি চালানোর সময় প্রান্তিক দৃষ্টিশক্তি আপনাকে সতর্ক করতে পারে যে, কোনো পথিক গাড়ি চলাচলের রাস্তায় হেঁটে আসছে।

কিন্তু এমনকি এই পৃষ্ঠাটা পড়ার সময়ও, আপনার প্রান্তিক দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে—এমনকি আপনি বুঝে ওঠার আগেই। বিশ্বব্যাপী, প্রায় ৬ কোটি ৬০ লক্ষ লোক চোখের নানা রোগে ভুগে থাকে, যেগুলোকে সমষ্টিগতভাবে বলা হয় গ্লকোমা। সেই সংখ্যার মধ্যে ৫০ লক্ষেরও বেশি পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গেছে, যা গ্লকোমাকে স্থায়ী অন্ধত্বের তৃতীয় বৃহত্তম কারণ করেছে। “অথচ উন্নত দেশগুলোতে যেখানে গ্লকোমা নিয়ে জনসাধারণের শিক্ষামূলক কর্মসূচি রয়েছে, সেই দেশগুলোর অর্ধেক লোকের গ্লকোমা রোগ রয়েছে, যা নির্ণয়ই করা হয়নি,” চিকিৎসা বিষয়ক পত্রিকা দ্যা ল্যানসিট বলে।

কার গ্লকোমা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে? এটা কীভাবে শনাক্ত করা হয় এবং কীভাবে এর চিকিৎসা করা হয়?

গ্লকোমা কী?

গ্লকোমা কী তা বোঝার জন্য প্রথমে আমাদের চোখ সম্বন্ধে কিছু জানতে হবে। গ্লকোমা ফাউন্ডেশন অফ অস্ট্রেলিয়া দ্বারা প্রকাশিত একটি ব্রোশার ব্যাখ্যা করে: “চোখের আকার গঠিত হয় চাপের দ্বারা—চোখের নরম কলাগুলো কোনো গাড়ির টায়ার বা কোনো বেলুনের মতো ‘স্ফীত হয়।’” চোখের ভিতরে পক্ষ্মল অঙ্গক (সিলিয়ারি বডি) নামে পরিচিত পাম্পটা, নেত্ররস (এক্যুইস হিউমর) নামের তরল পদার্থকে রক্তসংবহন নালী থেকে চোখের মধ্যে প্রবাহিত করে। “নেত্ররস চোখের একেবারে গভীরে ছড়িয়ে পড়ে, চোখের সজীব কাঠামোগুলোর পুষ্টিবিধান করে এবং ট্র্যাবিকিউলার মেশওয়ার্ক নামে এক ছাঁকনির মতো কাঠামোর মধ্যে দিয়ে রক্তপ্রবাহের মধ্যে ফিরে যায়।”

এই মেশওয়ার্ক যদি কোনো কারণে বাধাপ্রাপ্ত ও সংকুচিত হয়, তা হলে চোখের ভিতরের চাপ বৃদ্ধি পাবে এবং শেষ পর্যন্ত চোখের পিছনের সূক্ষ্ম স্নায়ুতন্তুগুলোর ক্ষতি করতে শুরু করবে। এই অবস্থাকে বলা হয় মুক্ত-কোণ গ্লকোমা এবং প্রায় ৯০ শতাংশ রোগের জন্য এটা দায়ী।

আপনার চোখের গোলকের মধ্যেকার চাপ (ইন্ট্রাঅকুলার প্রেশার) নামে পরিচিত চাপ ঘন্টায় ঘন্টায় ওঠানামা করতে পারে এবং এটা আপনার হৃৎস্পন্দন, যে-পরিমাণ তরল আপনি পান করেন এবং আপনার দেহভঙ্গিসহ বিভিন্ন কারণের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। এই স্বাভাবিক তারতম্যগুলো আপনার চোখের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। চোখের উচ্চচাপ মানেই গ্লকোমা নয় কারণ চোখের “স্বাভাবিক” চাপ একেক ব্যক্তির বেলায় একেকরকম হয়ে থাকে। তা সত্ত্বেও, চোখের গোলকের ভিতরের উচ্চচাপ হল, গ্লকোমার কয়েকটা লক্ষণগুলোর একটা।

এই রোগের এক বিরল প্রকারকে বলা হয় বিষম বা কোণ-সংবার গ্লকোমা। মুক্ত-কোণ গ্লকোমার বিপরীতে, এই ধরনের গ্লকোমার সঙ্গে আকস্মিক চোখের চাপ বৃদ্ধি পাওয়া জড়িত। এর ফলে চোখে প্রচণ্ড ব্যথা হয় ও সেইসঙ্গে দৃষ্টি ঝাঁপসা হয়ে যায় ও বমি হয়। এই লক্ষণগুলো শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে যদি চিকিৎসা করা না হয়, তা হলে এটা প্রায়ই অন্ধত্বের কারণ হয়ে থাকে। আরেক প্রকারকে বলা হয় গৌণ গ্লকোমা। নাম থেকে যেমন বোঝা যাচ্ছে যে, এই প্রকারের গ্লকোমা চোখের অন্যান্য বিষয় যেমন টিউমার, ছানি বা চোখে আঘাত পাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। অল্প কিছু লোক চতুর্থ ধরনের গ্লকোমার দ্বারা আক্রান্ত হয়, যা জন্মগত গ্লকোমা হিসেবে পরিচিত। এই প্রকারটা জন্মের সময় বা অল্প কিছুদিন পরে হয়ে থাকে এবং শিশুর চোখের অক্ষিগোলক যদি বড় থাকে ও আলোর প্রতি অতিরিক্ত স্পর্শকাতর হয়ে থাকে, তা হলে বোঝা যায়।

এটা যেভাবে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি করে

আপনার অজান্তেই গ্লকোমা আপনার একটা চোখের দৃষ্টিশক্তির প্রায় ৯০ শতাংশ কেড়ে নিতে পারে। সেটা কীভাবে সম্ভব? আমাদের সকলেরই প্রত্যেকটা চোখের পিছনে স্বাভাবিকভাবে স্থাপিত অন্ধ বিন্দু রয়েছে। অক্ষিপটের এই বিন্দু, যেখানে আপনার স্নায়ুতন্তুগুলো দর্শন স্নায়ু গঠন করার জন্য একত্রে সংযুক্ত, সেখানে আলোক প্রতিক্রিয়াশীল কোনো কোষ থাকে না। তবে, আপনি এই অন্ধ বিন্দু সম্বন্ধে অবগত নন কারণ কোনো চিত্রের বাদ পড়া অংশটুকুকে “রঞ্জিত” করার ক্ষমতা আপনার মস্তিষ্কের রয়েছে। অবাক হওয়ার বিষয় যে, মস্তিষ্কের এই ক্ষমতাই গ্লকোমাকে এতটা সূক্ষ্ম করে তোলে।

অস্ট্রেলিয়ার একজন স্বনামধন্য চক্ষু চিকিৎসক ইভান গোল্ডবার্গ সচেতন থাক!-কে বলেছিলেন: “গ্লকোমাকে বলা হয় দৃষ্টিশক্তির ছিঁচকে চোর কারণ আপনি এর কোনো লক্ষণই বুঝতে পারেন না। গ্লকোমার সবচেয়ে পরিচিত ধরনটা ধীর অথচ গতিশীল এবং কোনো সতর্কবাণী ছাড়াই এটা স্নায়ু কাঠামোর ক্ষতি করে, যা চোখকে মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযুক্ত করে। আপনার চোখ দিয়ে জল পড়ুক বা না পড়ুক, চোখ শুকনো থাকুক বা না থাকুক, স্পষ্টভাবে পড়তে ও লিখতে পারেন বা না পারেন, এর সঙ্গে গ্লকোমার কোনো সম্পর্ক নেই। আপনার চোখ একেবারে ভাল হতে পারে কিন্তু সেইসঙ্গে আপনার গুরুতর গ্লকোমা থাকতে পারে।”

গ্লকোমা শনাক্ত করা

দুঃখের বিষয় হচ্ছে, গ্লকোমা রয়েছে কি না, তা নির্ণয়ের জন্য সর্বসাকুল্যে কোনো পরীক্ষাই নেই। টোনোমিটার নামে পরিচিত একটা যন্ত্র ব্যবহার করে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ হয়তো প্রথমে আপনার চোখের তরল পদার্থের চাপ পরীক্ষা করতে পারেন। এই যন্ত্রটা কর্নিয়া বা চোখের সামনের অংশকে মৃদুভাবে প্রসারিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই কাজটা করার জন্য যতখানি বল প্রয়োজন তা পরিমাপ করা হয় এবং এভাবে আপনার চোখের ভিতরের চাপ নির্ণয় করা যায়। চক্ষু বিশেষজ্ঞ হয়তো সেই যন্ত্রগুলো ব্যবহার করার দ্বারা গ্লকোমার লক্ষণগুলো খোঁজার চেষ্টা করতে পারেন, যা স্নায়ু কাঠামোর ক্ষতিগ্রস্ত কলা যা চোখকে মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযুক্ত করে, সেটাকে শনাক্ত করে। ডাক্তার গোল্ডবার্গ বলেন: “আমরা দেখি যে, স্নায়ুতন্তুগুলো বা চোখের পিছনে রক্তসংবহন নালীগুলোর গঠন অস্বাভাবিক কি না, কারণ সেটা একটা ইঙ্গিত হতে পারে যে, স্নায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

এ ছাড়া, দৃষ্টিক্ষেত্রকে পরীক্ষা করার দ্বারাও গ্লকোমা নির্ণয় করা হয়। ডাক্তার গোল্ডবার্গ ব্যাখ্যা করেন: “সাদা আলোময় একটা গামলার দিকে একজন ব্যক্তি তাকান ও সেখানে অতি উজ্জ্বল এক সাদা আলো থাকে, যা সেই গামলার ভিতরে একটা ছোট বিন্দুর মতো জ্বলজ্বল করে। সেই ব্যক্তি যখন ছোট্ট সাদা আলো দেখতে পান, তখন তিনি একটা বোতাম টিপে সাড়া দেন।” যখন এটা আপনার দৃষ্টিক্ষেত্রের বহিস্থ প্রান্তে থাকে, তখন সেই সাদা আলোকে শনাক্ত করতে না পারা গ্লকোমা থাকার ইঙ্গিত হতে পারে। নতুন নতুন যন্ত্র আবিষ্কার করা হচ্ছে, যা হয়তো এই কষ্টকর পদ্ধতিকে সহজতর করবে।

কার গ্লকোমা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে?

পলের বয়স ৪০ এর কোঠার প্রথমদিকে এবং তার স্বাস্থ্য ভাল। তিনি বলেন: “আমি নতুন চশমা নেওয়ার জন্য চোখ পরীক্ষা করাতে চোখের ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম আর তখন তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে, আমার পরিবারে কারও গ্লকোমা ছিল কি না। এই বিষয়ে কিছু খোঁজখবর নিয়ে আমি জানতে পারি যে, আমার এক মাসি ও মামার এই রোগ ছিল। আমাকে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হয়েছিল, যিনি পরে নিশ্চিত করেছিলেন যে, আমার গ্লকোমা হয়েছে।” ডাক্তার গোল্ডবার্গ ব্যাখ্যা করেন: “যদি আপনার মা অথবা বাবার গ্লকোমা হয়ে থাকে, তা হলে আপনারও গ্লকোমা হওয়ার ঝুঁকি তিন থেকে পাঁচ গুণ বেশি রয়েছে। আর আপনার ভাই বা বোনের যদি গ্লকোমা থেকে থাকে, তা হলে এটা হওয়ার ঝুঁকি পাঁচ থেকে সাত গুণ বেশি রয়েছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের গ্লকোমা ফাউন্ডেশন এর ডাক্তার কিভিন গ্রিনিজ ঝুঁকির অন্যান্য বিষয় তুলে ধরেছিলেন, এই কথা বলে: “যদি আপনার বয়স ৪৫ এর ওপর হয় এবং আপনি আফ্রিকার বংশোদ্ভূত হয়ে থাকেন কিংবা ঝুঁকির এই কারণগুলোর কোনো একটা আপনার থেকে থাকে—পরিবারের কারও গ্লকোমা থাকে, দূরের দৃষ্টিহীনতা, ডায়াবিটিস, পূর্বে চোখে কোনো আঘাত পেয়ে থাকেন বা নিয়মিত করটিসোন/স্টেরয়িড সামগ্রী গ্রহণ করে থাকেন—তা হলে প্রতি বছর আপনার চোখ পরীক্ষা করানো উচিত।” এমনকি আপনার যদি ঝুঁকির কোনো কারণ না-ও থাকে এবং বয়স ৪৫ বছরের নিচে, তবুও ফাউন্ডেশন সুপারিশ করে যে, আপনার গ্লকোমা আছে কি না, তা জানার জন্য প্রতি চার বছর পর পর চোখ পরীক্ষা করানো উচিত। আপনার বয়স যদি ৪৫ এর ওপর হয়, তা হলে আপনার প্রতি দুবছর পর পর চোখ পরীক্ষা করানো উচিত।

চিকিৎসা করুন ও নিয়ন্ত্রণ করুন

পলের গ্লকোমার চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন একবার চোখের এক বিশেষ ড্রপ ব্যবহার করতে হয়। পল বলেন: “যে-ড্রপগুলো আমি ব্যবহার করে থাকি, তা চোখের অক্ষিগোলকে নেত্ররস উৎপাদন দমন করে।” এ ছাড়া, পল এমন এক চিকিৎসাও করিয়েছিলেন, যেটাতে চোখের সামনে যেখানে স্বাভাবিক নিষ্কাশনের ছিদ্র থাকে, সেখানে দশটা ক্ষুদ্র ছিদ্র “উৎপাদনের” জন্য লেসার রশ্মি ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি বলেন: “লেসার রশ্মির দ্বারা প্রথম যখন আমার চোখের চিকিৎসা করানো হয়েছিল, তখন আমি বেশ চাপের মধ্যে ছিলাম ও ঘাবড়ে গিয়েছিলাম আর এটা আমার অস্বস্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু, কয়েক দিন পর যখন আমার দ্বিতীয় চোখের চিকিৎসা করানো হয়, তখন আমি জেনে গিয়েছিলাম যে, কী করা হবে। আমি অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছিলাম আর আমি ঠিকমতো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডাক্তার অপারেশনটা করে ফেলেছিলেন।” এই চিকিৎসা পলের চোখের চাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করেছিল।

তাই পলের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। তিনি বলেন: “গ্লকোমার কারণে আমার অক্ষিপটগুলো সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আর আনন্দের বিষয় হচ্ছে আমার এখনও পুরোপুরি প্রান্তিক দৃষ্টিশক্তি রয়েছে। যদি আমি প্রতিদিন মনে করে চোখের ড্রপ ব্যবহার করি, তা হলে খুব সম্ভবত আমার প্রান্তিক দৃষ্টিশক্তি এভাবেই থাকবে।”

“দৃষ্টিশক্তির ছিঁচকে চোর” কি আপনার দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছে? আপনি যদি কখনও গ্লকোমা আছে কি না, তা জানার জন্য চোখ পরীক্ষা না করিয়ে থাকেন—আর বিশেষভাবে আপনি যদি ঝুঁকিপূর্ণ দলগুলোর একটাতে থেকে থাকেন—তা হলে আপনার ডাক্তারকে গ্লকোমা পরীক্ষা করাতে বলা বিজ্ঞতার কাজ হবে। ডাক্তার গোল্ডবার্গ যেমন বলেন, “গ্লকোমার বেশির ভাগ ক্ষতি সময়মতো ও সঠিক চিকিৎসার দ্বারা রোধ করা যেতে পারে।” হ্যাঁ, আপনি গ্লকোমার চিকিৎসা করাতে ও এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন!

[২৮ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

আপনার গ্লকোমা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, যদি

● আপনি আফ্রিকার বংশোদ্ভূত হয়ে থাকেন

● আপনার পরিবারের কারও গ্লকোমা হয়ে থাকে

● আপনার ডায়াবিটিস থেকে থাকে

● আপনার দূরের দৃষ্টিহীনতা হয়ে থাকে

● আপনি নিয়মিত, দীর্ঘদিন ধরে করটিসোন/স্টেরয়িড ব্যবহার করেন যেগুলো কিছু মলমে এবং হাঁপানি স্প্রেতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে

● পূর্বে আপনার চোখে আঘাত লেগে থাকে

● আপনার বয়স যদি ৪৫ বছরের ওপর হয়

[চিত্র]

নিয়মিত পরীক্ষা করানো গুরুতর দৃষ্টিহীনতাকে রোধ করতে পারে

[২৭ পৃষ্ঠার ডায়াগ্রাম/চিত্রগুলো]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

মুক্ত-কোণ গ্লকোমা

কর্নিয়া

আইরিশ

লেন্স

অক্ষিপট

অক্ষিচক্র বা অন্ধ বিন্দু হচ্ছে সেই স্থান যেখানে দর্শন স্নায়ু গঠন করার জন্য স্নায়ুতন্তুগুলো যুক্ত হয়

দর্শন স্নায়ু মস্তিষ্কে বীক্ষণ প্রবাহ বহন করে

সিলিয়ারি বডি, যেখানে তরল পদার্থ উৎপাদিত হয়

১ এক্যুইস হিউমর হচ্ছে স্বচ্ছ তরল পদার্থ যা লেন্স, আইরিশ এবং কর্নিয়ার ভিতরে পুষ্টিবিধান করে। এটা চোখের জলের মতো নয়, যা বহির্ভাগকে ভিজিয়ে দেয়

২ ট্র্যাবিকিউলার মেশওয়ার্ক তরল পদার্থকে নিষ্কাশন করে

৩ এই মেশওয়ার্ক যদি কোনো কারণে বাধাপ্রাপ্ত বা সংকুচিত হয়, তা হলে চোখের ভিতরের চাপ বৃদ্ধি পায়

৪ যদি চাপ বেড়ে যায়, তা হলে চোখের পিছনের সূক্ষ্ম স্নায়ুতন্তুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে গ্লকোমা হয় বা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়

[২৭ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

অক্ষিচক্র

আপনি যা দেখবেন

স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি

প্রাথমিক গ্লকোমা

অতিরিক্তমাত্রায় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত গ্লকোমা

[সৌজন্যে]

অক্ষিচক্রের ছবি: Courtesy Atlas of Ophthalmology