বিবর্তন কি বাস্তব?
বিবর্তন কি বাস্তব?
“বিবর্তন সূর্য থেকে নির্গত তাপের মতোই এক বাস্তব বিষয়,” একজন খ্যাতনামা বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানী অধ্যাপক রিচার্ড ডকিন্স দাবি করেন। অবশ্য, পরীক্ষানিরীক্ষা ও সরাসরিভাবে করা পর্যবেক্ষণই প্রমাণ করে যে, সূর্য প্রচণ্ড উত্তপ্ত। কিন্তু পরীক্ষানিরীক্ষা এবং সরাসরি পর্যবেক্ষণ কি একইরকম বিতর্কহীনভাবে প্রমাণ করে যে, বিবর্তনের শিক্ষা বাস্তব?
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে, একটা বিষয় স্পষ্ট করা দরকার। অনেক বিজ্ঞানী উল্লেখ করেছে যে, সময়ের প্রবাহে সজীব বস্তুগুলোর বংশধররা সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। চার্লস ডারউইন এই প্রক্রিয়াকে “পরিবর্তিত বৈশিষ্ট্যসহ বংশপর্যায়” বলে অভিহিত করেন। এই পরিবর্তনগুলো সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, পরীক্ষানিরীক্ষায় নথিবদ্ধ করা হয়েছে এবং উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজননবিদদের দ্বারা যুক্তিযুক্তভাবেই ব্যবহৃত হয়েছে। * এই পরিবর্তনগুলোকে বাস্তব বলে বিবেচনা করা যেতে পারে। কিন্তু, বিজ্ঞানীরা এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিবর্তনকে “অণুবিবর্তন (মাইক্রোইভোলুশন)” বলে থাকে। এমনকি নামটা থেকেই অনেক বিজ্ঞানী যা দাবি করে, সেটার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আর তা হল, এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিবর্তন একত্রে মিলে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক বৈশিষ্ট্যের প্রমাণকে জোরালো করে, যা কেউ পর্যবেক্ষণ করেনি আর সেটাকে তারা বৃহৎবিবর্তন (ম্যাক্রোইভোলুশন) বলে থাকে।
আপনি লক্ষ করেছেন যে, ডারউইন এই ধরনের পর্যবেক্ষণযোগ্য পরিবর্তনগুলোকে বাদ দিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি তার বিখ্যাত দি অরিজিন অভ্ স্পিশিজ বইয়ে লিখেছিলেন: “আমি সমস্ত প্রাণীকে কোনো বিশেষ ধরনের সৃষ্টি বলে নয় কিন্তু কিছু অল্প সংখ্যক জীবের বংশধারায় সরাসরি এসেছে বলে মনে করি।” ডারউইন বলেছিলেন যে, বিগত দীর্ঘ সময়ের ধারায় মূল “কিছু অল্প সংখ্যক জীব” বা তথাকথিত জীবের ছোট আকার,—“অতি সামান্য পরিবর্তনগুলোর” মাধ্যমে—পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ ধরনের জীবে ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়েছে। বিবর্তনবাদীরা শিক্ষা দেয় যে, এই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলো পুঞ্জীভূত হয়েছিল এবং মাছকে উভচর প্রাণী ও লেজহীন বানরকে মানুষে রূপান্তরিত করতে প্রয়োজনীয় বড় বড় পরিবর্তন ঘটিয়েছিল। প্রকল্পিত এই বড় বড় পরিবর্তনকে বৃহৎবিবর্তন (ম্যাক্রোইভোলুশন) বলে উল্লেখ করা হয়। অনেকের কাছে এই দ্বিতীয় দাবিটা যুক্তিসংগত বলে মনে হয়। তারা ভেবে থাকে, ‘একটা প্রজাতির মধ্যে যদি ছোট ছোট পরিবর্তন ঘটতে পারে, তা হলে দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে বড় বড় পরিবর্তন বিবর্তনের মাধ্যমে কেন ঘটতে পারবে না?’ *
বৃহৎবিবর্তনের শিক্ষার ভিত্তি, তিনটে প্রধান ধারণা:
১. নতুন নতুন প্রজাতি সৃষ্টি করার জন্য পরিব্যক্তি কাঁচামাল সরবরাহ করে থাকে। *
২. প্রাকৃতিক নির্বাচন নতুন নতুন প্রজাতি উদ্ভব করার দিকে পরিচালিত করে।
৩. জীবাশ্ম নথি উদ্ভিদ ও প্রাণীদের মধ্যে ঘটিত বৃহৎবিবর্তনের পরিবর্তনগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখে।
বৃহৎবিবর্তন সম্বন্ধীয় প্রমাণ কি এতটাই জোরালো যে, এটাকে বাস্তব বলে বিবেচনা করা উচিত?
পরিব্যক্তি দ্বারা কি নতুন নতুন প্রজাতির উদ্ভব হতে পারে?
কোনো উদ্ভিদ বা কোনো প্রাণীর বিস্তারিত বিবরণ এর জিন-সংকেতে অর্থাৎ প্রতিটা কোষের নিউক্লিয়াসে সঞ্চিত ব্লুপ্রিন্টের নির্দেশনার দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে। * গবেষকরা আবিষ্কার করেছে যে, জিন-সংকেতে পরিব্যক্তি—বা অনির্দিষ্ট পরিবর্তনগুলো—উদ্ভিদ ও প্রাণীর বংশধরদের মধ্যে পরিবর্তনগুলো ঘটাতে পারে। ১৯৪৬ সালে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং জিন পরিব্যক্তি বিদ্যার প্রতিষ্ঠাতা হারম্যান জে. মুলার দাবি করেছিলেন: “মানুষের দ্বারা প্রণোদিত প্রাণী ও উদ্ভিদের উন্নতিসাধনের প্রধান উপায় শুধু এই বিরল ও মূলত সামান্য পরিবর্তনগুলোর সঞ্চিতকরণ নয় কিন্তু প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে ঘটিত প্রাকৃতিক বিবর্তনের ফলে যে-উন্নতিসাধন হয়েছে তা এর চেয়ে বেশি।”
বাস্তবিকই, বৃহৎবিবর্তনের শিক্ষা এই দাবির ওপর ভিত্তি করে যে, পরিব্যক্তি দ্বারা কেবল নতুন নতুন প্রজাতিরই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে উদ্ভিদ ও প্রাণীর সম্পূর্ণ নতুন গোত্রও উদ্ভব হতে পারে। এই জোরালো দাবিকে প্রমাণ করার কি কোনো উপায় রয়েছে? এর জন্য, জিন সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর করা প্রায় ১০০ বছরের গবেষণা যা প্রকাশ করেছে, তা বিবেচনা করুন।
১৯৩০ এর দশকের শেষের দিকে, বিজ্ঞানীরা উদ্যমের সঙ্গে এই ধারণাকে গ্রহণ করে নিয়েছিল যে, অনির্দিষ্ট পরিব্যক্তি দ্বারা প্রাকৃতিক নির্বাচন যদি নতুন নতুন প্রজাতির উদ্ভিদ উদ্ভব করতে পারে, তা হলে কৃত্রিম বা মানুষের দ্বারা প্রণোদিত পরিব্যক্তি সেই কাজ আরও কার্যকরভাবে করতে পারবে। “অধিকাংশ জীববিজ্ঞানী এবং বিশেষ করে জীনতত্ত্ববিদ ও প্রজননবিদদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে,” জার্মানির ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যান্ট ব্রিডিং রিসার্চ এর একজন বিজ্ঞানী ভল্ফ-ইকিহার্ড লনিগ, সচেতন থাক! পত্রিকার নেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন। উত্তেজনার কারণটা কী? লনিগ, যিনি প্রায় ২৮ বছর ধরে উদ্ভিদের জিন পরিব্যক্তি নিয়ে গবেষণা করেছেন, তিনি বলেছিলেন: “এই গবেষকরা ভেবেছিল যে, উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রজনন ঘটানোর পরম্পরাগত পদ্ধতির মধ্যে আমুল পরিবর্তন করার সময় এসে গিয়েছে। তারা ভেবেছিল যে, অনুকূল পরিব্যক্তি প্রণোদিত ও নির্বাচন করার মাধ্যমে তারা নতুন এবং আরও ভাল প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী উদ্ভব করতে পারবে।” *
যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া এবং ইউরোপের বিজ্ঞানীরা বিবর্তনকে ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি দেয় এমন পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছিল, যেগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ তহবিল রয়েছে। ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গবেষণার পর ফল কী হয়েছিল? “প্রচুর টাকাপয়সা খরচ হওয়া সত্ত্বেও,” গবেষক পিটার ফন জেংবুশ বলেন, “রশ্মিপাতের মাধ্যমে ক্রমবর্ধিষ্ণুভাবে উৎপাদনশীল প্রকরণ উৎপন্ন করার প্রচেষ্টা অনেকটাই ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছিল।” লনিগ বলেছিলেন: “১৯৮০-র দশকের মধ্যে, বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিদ্যমান আশা ও উত্তেজনা লুপ্ত হয়েছিল। পশ্চিমা দেশগুলোতে পরিব্যক্তি প্রজননকে গবেষণার একটা ভিন্ন শাখা হিসেবে বাতিল করা হয়েছিল। প্রায় সমস্ত পরিব্যক্তিশীল প্রজাতি ‘নেতিবাচক নির্বাচন মূল্যকে’ প্রদর্শন করেছিল অর্থাৎ সেগুলো মারা গিয়েছিল বা প্রাকৃতিক প্রকরণগুলোর চেয়ে আরও দুর্বল ছিল।” *
এমনকি, বর্তমানে সাধারণভাবে প্রায় ১০০ বছরের পরিব্যক্তি সংক্রান্ত গবেষণা থেকে সংগৃহীত তথ্য এবং বিশেষ করে ৭০ বছরের পরিব্যক্তিশীল প্রজনন, বিজ্ঞানীদের এই সিদ্ধান্তে আসতে সাহায্য করে যে, পরিব্যক্তি দ্বারা নতুন প্রজাতি উদ্ভব করা যায়। প্রমাণগুলো পরীক্ষা করার পর, লনিগ উপসংহারে বলেছিলেন: “পরিব্যক্তি [উদ্ভিদ বা প্রাণীর] মূল প্রজাতিকে সম্পূর্ণভাবে একটা নতুন প্রজাতিতে রূপান্তরিত করতে পারে না। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সমস্ত অভিজ্ঞতার এবং বিংশ শতাব্দীতে করা পরিব্যক্তি সংক্রান্ত গবেষণার ফলাফলের ও সেইসঙ্গে সম্ভাব্যতার নিয়মের মিল রয়েছে। তাই, পুনরুদিত প্রকরণের নিয়ম ইঙ্গিত করে যে, যেসমস্ত প্রজাতি অন্যান্য প্রজাতি থেকে জীনগতভাবে আলাদা সেগুলোর প্রকৃতপক্ষে সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যেটা একজন আকস্মিক পরিব্যক্তির দ্বারা বিলুপ্ত বা লঙ্ঘন করতে পারে না।”
উপরোক্ত তথ্যগুলোর তাৎপর্য বিবেচনা করুন। উচ্চ প্রশিক্ষিত বিজ্ঞানীরা যদি কৃত্রিমভাবে অনুকূল পরিব্যক্তি প্রণোদিত ও নির্বাচন করার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রজাতি উদ্ভব করতে সমর্থ না হয়, তা হলে বুদ্ধিবিহীন এক প্রক্রিয়ার এর চেয়েও ভাল করার কি কোনো সম্ভাবনা রয়েছে? যদি গবেষণা দেখায় যে, পরিব্যক্তি মূল প্রজাতিকে সম্পূর্ণ নতুন এক প্রজাতিতে রূপান্তরিত করতে পারে না, তা হলে বৃহৎবিবর্তন ঠিক কীভাবে ঘটেছিল বলে মনে হয়?
প্রাকৃতিক নির্বাচন কি নতুন নতুন প্রজাতি সৃষ্টি হওয়ার দিকে পরিচালিত করে?
ডারউইন বিশ্বাস করতেন যে, তিনি যেটাকে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলছেন, সেটা সেই সজীব বস্তুগুলোর জন্য উপকারজনক হবে, যেগুলো পরিবেশের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মানিয়ে নেয় কিন্তু কম উপযুক্ত সজীব বস্তুগুলো শেষ পর্যন্ত বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আধুনিক বিবর্তনবাদীরা শিক্ষা দেয় যে, প্রজাতিগুলো ছড়িয়ে পড়ার এবং পৃথক হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক নির্বাচন সেই প্রজাতিগুলোকে বেছে নেয়, যাদের জিন পরিব্যক্তি তাদেরকে তাদের নতুন পরিবেশের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত করে তুলেছে। ফলে বিবর্তনবাদীরা দাবি করে যে, এই পৃথকীকৃত গোত্রগুলো শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে বিবর্তিত হয়ে নতুন প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়।
পূর্বোল্লিখিত কথা অনুযায়ী, গবেষণা থেকে প্রাপ্ত প্রমাণ জোরালোভাবে ইঙ্গিত করে যে, পরিব্যক্তি সম্পূর্ণ নতুন ধরনের উদ্ভিদ বা প্রাণীর উদ্ভব করতে পারে না। তবে, নতুন নতুন প্রজাতি উদ্ভব করার জন্য প্রাকৃতিক নির্বাচন উপকারজনক পরিব্যক্তিগুলো বেছে নেয়, এমন দাবিকে সমর্থন করতে বিবর্তনবাদীরা কী প্রমাণ দেখায়? ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আ্যকাডেমি অভ্ সায়েন্সেস (এনএএস) এর দ্বারা প্রকাশিত একটি ব্রোশার বলে: “প্রজাতি উদ্ভবের [নতুন নতুন প্রজাতির বিবর্তন], বিশেষ করে এক জোরালো উদাহরণ হচ্ছে ১৩ প্রজাতির ফিঞ্চ পাখি, যেগুলোর ওপর ডারউইন গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জে গবেষণা করেছিলেন, যে-পাখিটা বর্তমানে ডারউইনস্ ফিঞ্চেস্ নামে পরিচিত।”
১৯৭০ এর দশকে পিটার ও রোজমেরি গ্র্যান্টের নেতৃত্বে এক গবেষণা দল এই ফিঞ্চ পাখিগুলো নিয়ে গবেষণা শুরু করে এবং আবিষ্কার করে যে, এক বছরের খরার পর ছোট ঠোঁটবিশিষ্ট ফিঞ্চ পাখিগুলোর চেয়ে যে-ফিঞ্চ পাখিগুলোর ঠোঁট সামান্য লম্বা ছিল, সেগুলো সহজে বেঁচে ছিল। যেহেতু ১৩ প্রজাতির ফিঞ্চ পাখিগুলো নির্ণয়ের প্রধান উপায়গুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে পাখির ঠোঁটের দৈর্ঘ্য ও আকার, তাই এই আবিষ্কারগুলো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। “পিটার ও রোজমেরি গ্র্যান্ট অনুমান করেছিল যে,” সেই ব্রোশারটি বলে চলে, “যদি সেই দ্বীপপুঞ্জে প্রতি ১০ বছর পর একবার খরা হয়, তা হলে মাত্র প্রায় ২০০ বছরের মধ্যে এক নতুন প্রজাতির ফিঞ্চ পাখির উদ্ভব হবে।”
কিন্তু, এনএএস ব্রোশারটি কিছু তাৎপর্যপূর্ণ কিন্তু বিব্রতকর তথ্য উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়। খরার পরবর্তী বছরগুলোতে ছোট ঠোঁটবিশিষ্ট ফিঞ্চ পাখিগুলোর সংখ্যা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছিল। তাই, পিটার গ্র্যান্ট এবং গ্র্যাজুয়েট হওয়া ছাত্র লিল গিবস্ ১৯৮৭ সালে
প্রকৃতি (ইংরেজি) নামের বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় লিখেছিল যে, তারা “প্রাকৃতিক নির্বাচনের এক বিপরীত গতি” দেখেছে। ১৯৯১ সালে, গ্র্যান্ট লিখেছিলেন যে, প্রতিবার জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে “প্রাকৃতিক নির্বাচনের বশীভূত পাখিগুলোর সংখ্যা কমছে ও বাড়ছে।” গবেষকরা এও লক্ষ করেছিল যে, ফিঞ্চ পাখির ভিন্ন “প্রজাতি”-র কয়েকটা আন্তঃপ্রজনন ঘটাচ্ছে এবং সেই ধরনের বংশধর উদ্ভব করছে, যা তাদের বাবামার চেয়েও আরও বেশি সময় বেঁচে ছিল। পিটার ও রোজমেরি গ্র্যান্ট এই উপসংহারে পৌঁছেছিল যে, আন্তঃপ্রজনন যদি চলতেই থাকে, তা হলে ২০০ বছরের মধ্যে দুটো “প্রজাতির” মিশ্রণ ঘটে শুধু একটা প্রজাতিতে রূপান্তরিত হতে পারে।১৯৬৬ সালে, বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানী জর্জ ক্রিস্টোফার উইলিয়ামস্ লিখেছিলেন: “আমার কাছে এটাকে দুঃখজনক বলে মনে হয় যে, প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদকে প্রথমে মূলত বিবর্তন সংক্রান্ত পরিবর্তনগুলো ব্যাখ্যা করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রাকৃতিক নির্বাচনের মতবাদ, অভিযোজন বজায় রাখার বিষয়টাকে ব্যাখ্যা করার জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” বিবর্তনবাদী তত্ত্ব-সংগঠক জেফ্রি শুয়ার্টজ্ ১৯৯৯ সালে লিখেছিলেন যে, উইলিয়ামসের উপসংহারগুলো যদি সঠিক হয়, তা হলে প্রাকৃতিক নির্বাচন হয়তো প্রজাতিগুলোকে অস্তিত্বে থাকার জন্য পরিবর্তনশীল বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে কিন্তু “এটা নতুন কিছু সৃষ্টি করছে না।”
বাস্তবিকই, ডারউইনের ফিঞ্চ পাখিগুলো “নতুন কিছু” হয়ে উঠছে না। এগুলো এখনও ফিঞ্চ পাখিই। আর তারা যে আন্তঃপ্রজনন ঘটাচ্ছে, তা সেই পদ্ধতিগুলো সম্বন্ধে প্রশ্ন তোলে, যা কিছু কিছু বিবর্তনবাদী একটা প্রজাতিকে সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যবহার করে থাকে। এ ছাড়া, তারা এই তথ্যকে ফাঁস করে দেয় যে, এমনকি বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানগুলোও কোনো প্রমাণ রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে পক্ষপাতপূর্ণ হতে পারে।
জীবাশ্ম নথি কি বৃহৎবিবর্তনের ফলে ঘটিত পরিবর্তনগুলোর বিষয় প্রমাণ দেয়?
পূর্বোল্লিখিত এনএএস ব্রোশারটি পাঠকদের এই অনুভূতি প্রদান করে যে, বিজ্ঞানীদের দ্বারা প্রাপ্ত জীবাশ্মগুলো বৃহৎবিবর্তন সম্বন্ধে যথেষ্ট প্রমাণ জোগায়। এটি ঘোষণা করে: “মাছ ও উভচর প্রাণীর মধ্যবর্তী, উভচর প্রাণী ও সরীসৃপের মধ্যবর্তী, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যবর্তী এবং প্রাইমেট প্রাণীগুলোর বংশধারায় এত ধরনের অন্তর্বর্তী গঠন আবিষ্কার করা গিয়েছে যে, একটা প্রজাতি নির্দিষ্ট অন্য আরেকটা প্রজাতিতে কখন রূপান্তরিত হয়, সেগুলোকে শ্রেণীভুক্ত করে শনাক্ত করা প্রায়ই কঠিন।”
এই জোরালো উক্তিটি বেশ আশ্চর্যজনক। কেন? ২০০৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্র্যাফিক পত্রিকা জীবাশ্ম নথিকে ‘বিবর্তনের এক চলচিত্র’ বলে বর্ণনা করেছিল, “যেটার প্রতি ১,০০০টা ফ্রেম থেকে ৯৯৯টাই কাটিং রুম থেকে হারিয়ে গিয়েছে।” হাজারটা “ফ্রেমের” মধ্যে অবশিষ্ট একটা কি প্রকৃতপক্ষে বৃহৎবিবর্তনের প্রক্রিয়াকে প্রমাণ করে? জীবাশ্ম নথি আসলে কী দেখায়? নাইলজ্ এলড্রেজ নামে এক গোঁড়া বিবর্তনবাদী এটা স্বীকার করেন যে, নথি দেখায়, ‘অধিকাংশ প্রজাতির মধ্যে’ দীর্ঘসময় ধরে ‘কোনো ধরনের বিবর্তনমূলক পরিবর্তন সঞ্চিত হয় না বললেই চলে।’
বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীরা আজ পর্যন্ত প্রায় ২০ কোটি বড় বড় জীবাশ্ম এবং কোটি কোটি অণুজীবাশ্মকে মাটি খুঁড়ে বের করে তালিকাভুক্ত করেছে। অনেক গবেষক একমত যে, এই বিশাল ও বিস্তারিত নথি দেখায় যে, প্রধান প্রধান গোত্রের
সমস্ত প্রাণী আকস্মিকভাবে আবির্ভূত হয়েছে এবং সম্পূর্ণভাবে অপরিবর্তিত রয়েছে আর অনেক প্রজাতি যেমনভাবে আবির্ভূত হয়েছে সেইরূপে আকস্মিকভাবে বিলুপ্তও হয়ে গিয়েছে। জীবাশ্ম নথির প্রমাণ পুনর্বিবেচনা করার পর, জীববিজ্ঞানী জোনাথন ওয়েলস্ লেখেন: “রাজ্য, পর্ব ও শ্রেণী এই পর্যায়ে দেখলে এই ধারণাটা অবশ্যই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী বাস্তব নয় যে, বংশধররা কিছুটা পরিবর্তন হয়ে একই পূর্বপুরুষ থেকে এসেছে। জীবাশ্ম এবং আণবিক প্রমাণগুলো দিয়ে বিচার করা এমনকি এক সমর্থনযোগ্য মতবাদও নয়।”বিবর্তন—বাস্তব নাকি কাল্পনিক?
কেন বহু বিখ্যাত বিবর্তনবাদী এই ব্যাপারে নাছোড়বান্দা যে, বৃহৎবিবর্তন এক বাস্তব বিষয়? রিচার্ড ডকিন্সের কিছু যুক্তি নিয়ে সমালোচনা করার পর প্রভাবশালী বিবর্তনবাদী রিচার্ড লিয়নটিন লিখেছিলেন যে, অনেক বিজ্ঞানী সেই বৈজ্ঞানিক দাবিগুলো মেনে নিতে ইচ্ছুক, যেগুলো সাধারণ জ্ঞানের বিপরীত “কারণ পূর্বেই আমরা এক অঙ্গীকার করেছি, জড়বাদের * প্রতি অঙ্গীকার।” অনেক বিজ্ঞানী এমনকি একজন বুদ্ধিমান নকশাবিদ থাকার সম্ভাবনাকে বিবেচনা করতেও অস্বীকার করে, যেমন লিয়নটিন লেখেন, “একজন ঈশ্বর আছেন, এই সম্ভাবনাকেও এমনকি বিজ্ঞান গ্রহণ করতে পারে না।”
এই ক্ষেত্রে, সমাজবিজ্ঞানী রডনি স্টার্কের কথাগুলো সায়েন্টিফিক আ্যমেরিকান পত্রিকায় এভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে: “প্রায় ২০০ বছর ধরে এই ধারণাটা প্রচারিত হয়ে এসেছে যে, আপনি যদি একজন বৈজ্ঞানিকমনা ব্যক্তি হতে চান, তা হলে আপনার মনকে ধর্মের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত রাখতে হবে।” তিনি আরও বলেন যে, গবেষণা করার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে “ধর্মমনা লোকেরা তাদের মুখ বন্ধ রাখে” অথচ “ধর্মবিদ্বেষী লোকেরা ধর্মমনা লোকেদের বিরুদ্ধে বৈষম্য প্রদর্শন করে।” স্টার্কের কথা অনুসারে, “[বৈজ্ঞানিকমহলের] উচ্চশ্রেণীর লোকেদের মধ্যে ধর্মবিদ্বেষী হওয়ার ফলে একজন ব্যক্তি পুরস্কৃত হয়।”
যদি আপনি বৃহৎবিবর্তন শিক্ষাকে সত্য বলে গ্রহণ করেন, তা হলে আপনাকে বিশ্বাস করতেই হবে যে, অজ্ঞবাদী বা নাস্তিকবাদী বিজ্ঞানীরা তাদের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলোর ব্যাখ্যায় তাদের ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে প্রভাব ফেলতে দেয় না। একশো বছরের গবেষণা, কোটি কোটি পরিব্যক্তি নিয়ে অধ্যয়ন যেগুলো দেখায় যে, পরিব্যক্তি এমনকি একটা নির্দিষ্ট প্রজাতিকেও সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতিতে রূপান্তরিত করতে পারেনি এই তথ্যটি সত্ত্বেও আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে, পরিব্যক্তি এবং প্রাকৃতিক নির্বাচন সমস্ত ধরনের জটিল জীব উদ্ভব করেছে। জীবাশ্ম নথি জোরালোভাবে ইঙ্গিত করে যে, অধিকাংশ বড় বড় জাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী আকস্মিকভাবে আবির্ভূত হয়েছে এবং কোটি কোটি বছর সময়ের ব্যবধানেও অন্য জাতিতে বিবর্তিত হয়নি, এই তথ্যটি সত্ত্বেও আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে, সমস্ত প্রাণী ধীরে ধীরে একজন পূর্বপুরুষ থেকেই বিবর্তিত হয়েছে। এই ধরনের বিশ্বাসের ভিত্তি কি বাস্তব নাকি কাল্পনিক বলে মনে হয়? (g ৯/০৬)
[পাদটীকাগুলো]
^ কুকুর প্রজননবিদরা তাদের পশুগুলোকে ভাল করে বেছে তাদের মধ্যে মিলন ঘটাতে পারে, যাতে পর্যায়ক্রমে তাদের বংশধরদের তাদের পূর্বসূরিদের চেয়ে খাটো পা অথবা লম্বা লোম হয়। তবে, কুকুর প্রজননবিদরা যে-পরিবর্তনগুলো ঘটাতে পারে, সেগুলো প্রায়ই জিনের কার্যাবলি হ্রাস পাওয়ার ফলে হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ডাকশুন্ড প্রজাতির কুকুরের আকার ছোট হওয়ার কারণ হচ্ছে তরুণাস্থির স্বাভাবিক বৃদ্ধির ব্যর্থতা, যার ফলে বামুন আকৃতির কুকুরের জন্ম হয়।
^ যদিও এই প্রবন্ধে “প্রজাতি” শব্দটি বার বার ব্যবহৃত হয়েছে কিন্তু এটা লক্ষণীয় যে, এই শব্দটি বাইবেলের বই আদিপুস্তকে পাওয়া যায় না, যেখানে আরও অনেক ব্যাপক অর্থবহ শব্দ “জাতি” ব্যবহৃত হয়েছে। প্রায়ই বিজ্ঞানীরা যেটাকে কোনো একটা নতুন প্রজাতির বিবর্তন বলে থাকে, তা শুধুমাত্র একটা ‘জাতির’ মধ্যে সামান্য পার্থক্যকে বোঝায়, যে-অর্থে এই শব্দটি আদিপুস্তকের বিবরণে ব্যবহৃত হয়েছে।
^ “জীবকে যেভাবে শ্রেণীবিন্যাস করা হয়” বাক্সটা দেখুন।
^ গবেষণা দেখায় যে, কোষের সাইটোপ্লাজম, এর ঝিল্লি এবং অন্যান্য গঠনও একটা জীবকে আকার দেওয়ার ক্ষেত্রে এক ভূমিকা পালন করে থাকে।
^ এই প্রবন্ধে দেওয়া লনিগের মন্তব্যগুলো তার নিজস্ব মতামত আর সেগুলো ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যান্ট ব্রিডিং রিসার্চ এর মতামতকে প্রতিনিধিত্ব করে না।
^ প্রতিবারই পরিব্যক্তি সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা থেকে জানা গিয়েছিল যে, পরিব্যক্তিশীল নতুন প্রজাতির সংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পেয়েছিল কিন্তু একই প্রকারের পরিব্যক্তিশীল প্রজাতি বার বার আবির্ভূত হয়েছিল। লনিগ এই ঘটনা থেকে “পুনরুদিত প্রকরণের নিয়ম” এর বিষয় অনুমান করেছিলেন। এ ছাড়া, এক শতাংশের চেয়েও কম পরিব্যক্তিশীল উদ্ভিদকে আরও গবেষণার জন্য বাছাই করা হয়েছিল আর এগুলোর এক শতাংশের চেয়েও কম উদ্ভিদকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত বলে মনে হয়েছিল। প্রাণীদের মধ্যে পরিব্যক্তি প্রজননের ফলাফল উদ্ভিদের চেয়েও কম সফল হয়েছিল আর সেই প্রক্রিয়াকে পুরোপুরিভাবে বাতিল করা হয়েছিল।
^ জড়বাদ এই অর্থে সেই মতবাদকে নির্দেশ করে যে, ভৌত বিষয় হচ্ছে একমাত্র অথবা মূল বাস্তবতা অর্থাৎ সব ধরনের জীবনসহ নিখিলবিশ্বের সমস্তকিছু এই প্রক্রিয়ায় কোনো অতিপ্রাকৃতিক কারো হস্তক্ষেপ ছাড়া অস্তিত্বে এসেছে।
[১৫ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]
“পরিব্যক্তি [উদ্ভিদ বা প্রাণীর] মূল প্রজাতিকে সম্পূর্ণভাবে একটা নতুন প্রজাতিতে রূপান্তরিত করতে পারে না”
[১৬ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]
ডারউইনের ফিঞ্চ পাখিগুলো বড় জোর এটাই দেখায় যে, একটা প্রজাতি পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে
[১৭ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]
জীবাশ্ম নথি অনুসারে, প্রধান প্রধান গোত্রের সমস্ত প্রাণী আকস্মিকভাবে আবির্ভূত হয়েছে এবং সম্পূর্ণভাবে অপরিবর্তিত রয়েছে
[১৪ পৃষ্ঠার তালিকা]
(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)
জীবকে যেভাবে শ্রেণীবিন্যাস করা হয়
জীবকে পর্যায়ক্রমে নির্দিষ্ট প্রজাতি থেকে শুরু করে নানা রাজ্যে, ব্যাপক দলে শ্রেণীবিন্যাস করা হয়। * উদাহরণস্বরূপ, মানুষ ও ফ্রুট ফ্লাইয়ের শ্রেণীবিন্যাসের তুলনা করুন, যা নীচে তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে।
মানুষ ফ্রুট ফ্লাই
প্রজাতি স্যাপিয়েন্স মিলানোগাস্টার
গণ হোমো ড্রসোফিলা
গোত্র হোমিনিড ড্রসোফিলিডস্
বর্গ প্রাইমেট ডিপটেরা
শ্রেণী স্তন্যপায়ী প্রাণী পতঙ্গ
পর্ব কর্ডাটা অর্থ্রোপোডা
রাজ্য প্রাণী প্রাণী
[পাদটীকা]
^ নোট: আদিপুস্তক ১ অধ্যায় বলে যে, উদ্ভিদ ও প্রাণী “স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী” জন্ম দেবে। (আদিপুস্তক ১:১২, ২১, ২৪, ২৫) কিন্তু, বাইবেলের “জাতি” শব্দটি কোনো বৈজ্ঞানিক শব্দ নয় আর তাই এটাকে বৈজ্ঞানিক শব্দ ‘প্রজাতির’ সঙ্গে মিশিয়ে ফেলা উচিত নয়।
[সৌজন্যে]
এই তালিকাটা জোনাথন ওয়েলস্ এর দ্বারা রচিত বিবর্তনের প্রতিমূর্তি—বিজ্ঞান নাকি কাল্পনিক? বিবর্তন সম্বন্ধে আমরা যা যা শিক্ষা দিই, যেকারণে সেগুলোর অধিকাংশই ভুল (ইংরেজি) বইয়ের ওপর ভিত্তি করে
[১৫ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]
একটা পরিব্যক্তিশীল ফ্রুট ফ্লাই (ওপরে), যদিও বিকৃতভাবে গঠিত কিন্তু তবুও একটা ফ্রুট ফ্লা-ই
[সৌজন্যে]
© Dr. Jeremy Burgess/Photo Researchers, Inc.
[১৫ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]
উদ্ভিদের পরিব্যক্তি সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা থেকে প্রতি বারই জানা গিয়েছিল যে, বেশ কিছু সংখ্যক নতুন নতুন পরিব্যক্তিশীল উদ্ভিদ দ্রুত হ্রাস পেয়েছিল যদিও একই ধরনের পরিব্যক্তিশীল উদ্ভিদ নিয়মিতভাবে দেখা গিয়েছিল (যে-পরিব্যক্তিশীল উদ্ভিদকে দেখানো হয়েছে, সেটার ফুলগুলো বড়)
[১৩ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]
From a Photograph by Mrs. J. M. Cameron/ U.S. National Archives photo
[১৬ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]
ফিঞ্চ পাখির মাথাগুলো: © Dr. Jeremy Burgess/ Photo Researchers, Inc.
[১৭ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]
ডাইনোসর: © Pat Canova/Index Stock Imagery; জীবাশ্ম: GOH CHAI HIN/AFP/Getty Images