জাদুবিদ্যা—আপনার এ সম্বন্ধে কী জানা উচিত
জাদুবিদ্যা—আপনার এ সম্বন্ধে কী জানা উচিত
আজকের দিনের জাদুবিদ্যা যে আসলে কী তা বোঝানো খুবই মুশকিল। আর তার কারণ হল, আজকে লোকেরা বিভিন্নভাবে জাদুবিদ্যা অভ্যাস করে। তাদের কোন বই নেই, তাদের শিক্ষায় কোন মিল নেই আর তারা তাদের খুশি মতো চলতে পারে। তাদের বিশ্বাস, জাদু করার ধরন ও রীতি-রেওয়াজ সবকিছুই আলাদা। আর তারা আলাদা আলাদা দেবদেবীর পুজো করে। একজন লেখিকা বলেন: ‘এত ধরনের জাদুবিদ্যা আছে যে যার যেমন খুশি সে সেভাবে জাদুবিদ্যা অভ্যাস করতে পারে।’ আরেকজন লেখিকা বলেন: ‘আসলে জাদুবিদ্যা অভ্যাস করার একটা উপায় আরেকটার থেকে একেবারেই উলটো হতে পারে।’
জাদুবিদ্যা নিয়ে এই যে মতের অমিল, অনেকের কাছে এটা কোন সমস্যাই নয়। যারা জাদুবিদ্যা শিখতে চান তাদের জন্য একটা বই বলে: “যদিও নানারকমভাবে জাদুবিদ্যা অভ্যাস করা হয় কিন্তু তা দেখে আপনার বিভ্রান্ত হয়ে পড়ার কোন দরকার নেই। জাদুবিদ্যার বই পড়ার পর সেই উপায়টাই বেছে নিন, যা আপনার মন আপনাকে করতে বলে যেটা আপনার ভাল লাগে, যা আপনার ঠিক বলে মনে হয়।”
কিন্তু, অনেকের জন্য মতের এই অমিল সত্যিই এক সমস্যা কারণ তারা সত্য জানতে চান। আর তারা জানেন যে শুধু তাদের ভাল লাগে বলে বা শুধু তাদের সত্যি মনে হয় বলে কোন বিষয়কে সত্য বলা যায় না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একসময়ে ডাক্তাররা মনে করতেন, যদি কারও নিউমোনিয়া হয়, তাহলে একটা মুরগীকে দুটুকরো করে কেটে রোগীর বুকের ওপর রেখে দিলে তার রোগ সেরে যাবে। আর নিশ্চয়ই অনেক রোগীরা বিশ্বাস করতেন যে এই চিকিৎসা তাদের রোগ সারিয়ে দেবে। কিন্তু, তাদের এই বিশ্বাস সত্যি ছিল না কারণ এতে তাদের নিউমোনিয়া সারেনি। তাই এর থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে কোন বিষয়কে সত্যি বলে মেনে নিলেই তা সত্য হয়ে যায় না। সত্য সবসময়ই সত্য আর আপনাকে তা খুঁজে পেতে হবে।
আধ্যাত্মিক বিষয়ে সত্য আমরা বাইবেলে পাই। যীশু খ্রীষ্ট যখন পৃথিবীতে ছিলেন তখন একবার তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায় বলেছিলেন: “তোমার বাক্যই সত্যস্বরূপ।” (যোহন ১৭:১৭) প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন যে বাইবেল “ঈশ্বর-নিশ্বসিত।” (২ তীমথিয় ৩:১৬) কিন্তু, যারা জাদুমন্ত্র করে তারা বাইবেল যা বলে, তা মানে না বরং বাইবেল ছেড়ে তারা পুরাকাহিনী, প্রাচীন ধর্ম আর বিজ্ঞানের কল্পকথায় বিশ্বাস করে। কিন্তু আমরা যদি সত্য জানতে চাই, তাহলে আমাদের বাইবেলে তা খুঁজে দেখা দরকার। তাই বাইবেল থেকে এটা খোঁজা আপনার জন্যও কি ভাল নয়? কারণ বাইবেল এমন একটা বই যেটাকে সারা পৃথিবীর লোকেরা একটা পবিত্র গ্রন্থ বলে মনে করে। শুধু তাই নয়, এটা পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো ধর্মশাস্ত্র, যা আজ পর্যন্ত রয়েছে। পুরো বাইবেল লিখতে ১৬০০-র বেশি বছর সময় লেগেছে কিন্তু এতে দেওয়া বিষয়বস্তুর মধ্যে কোন গড়মিল নেই। তাহলে আসুন আমরা এখন তুলনা করে দেখি যে বাইবেলের শিক্ষা ও আজকালকার জাদুবিদ্যার মধ্যে কী পার্থক্য আছে।
কারা আত্মিক জগতে বাস করে?
জাদুবিদ্যা কী তা বোঝার জন্য এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া জরুরি। পাশ্চাত্য দেশগুলোতে যারা জাদুবিদ্যা অভ্যাস করে তারা প্রকৃতির বিভিন্ন শক্তিকে পুজো করে। কিছুজন এক দেবীর পুজো করে যাকে তারা মাতা বলে। আর তার তিনটে রূপ আছে বলে মনে করা হয়। কুমারী, মা আর বুড়ি স্ত্রীলোক। এই তিনটে রূপ জীবনের তিনটে পর্বকে বোঝায়। এই দেবীর প্রেমিক এক দেবতা যার শিং আছে। অনেক জাদুকরিরা এই দেবী ও দেবতা দুজনেরই পুজো করে। একজন লেখক বলেন যে “এই দেবী ও দেবতাকে প্রকৃতির নারী ও পুরুষ শক্তি মনে করা হয়। এদের প্রত্যেকের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে আর দুজনের মিলনে জীবনের সৃষ্টি হয়।” অন্য একজন লেখিকা বলেন: “জাদুবিদ্যার সবচেয়ে ভাল বিষয়টা হল, এতে এমন নিয়ম নেই যে আপনাকে শুধু একটা দেবতারই পুজো করতে হবে। . . . আপনি আপনার নিজের পছন্দ মতো যে কোন দেবী বা দেবতার পুজো করতে পারেন।”
কিন্তু বাইবেল এই ধারণাগুলোর কোনটাকেই মেনে নেয় না। বাইবেল বলে যে যিহোবাই হলেন ‘একমাত্র সত্য ঈশ্বর’ আর যীশু খ্রীষ্ট তাঁর পুরো জীবন যিহোবার সেবা করে কাটিয়ে দিয়েছিলেন। (যোহন ১৭:৩) বাইবেল বলে: “সদাপ্রভু মহান্ ও অতি কীর্ত্তনীয়, তিনি সমস্ত দেবতা অপেক্ষা ভয়ার্হ। কেননা জাতিগণের সমস্ত দেবতা অবস্তুমাত্র।”—১ বংশাবলি ১৬:২৫, ২৬.
এখন শয়তান সম্বন্ধে কী বলা যায়? একটা ইংরেজি ডিকশনারি বলে যে জাদুবিদ্যার মানে হল “শয়তানের সঙ্গে যোগাযোগ করা।” কিন্তু আজকে জাদুকরিরা এ কথা মানে না কারণ অনেক জাদুকরি বিশ্বাস করে যে শয়তান বলে জগতে কেউ নেই। দি আইরিশ টাইমস পত্রিকায় এক যুবতীর সম্বন্ধে বলা হয়েছিল, যে খুবই বড় জাদুকরি ছিল আর আয়ারল্যান্ডে এক বিখ্যাত জাদুকরিদের আড্ডার নেত্রী ছিল। এই যুবতী বলে: “শয়তান আছে বলে বিশ্বাস করার মানে হল খ্রীষ্টান ধর্মে বিশ্বাস করা। . . . যদি ঈশ্বর না থাকেন, তাহলে শয়তানও থাকতে পারে না।”
কিন্তু, বাইবেল পরিষ্কারভাবে বলে যে শয়তান আছে আর এই জগতের দুঃখকষ্ট ও অশান্তির মূলে সে-ই রয়েছে। (প্রকাশিত বাক্য ১২:১২) যীশু কেবল এটুকুই শেখাননি যে শয়তান আছে কিন্তু তিনি সাবধান করেছিলেন যে নিজের অজান্তে শয়তানের ইচ্ছা মতো চলা খুব সহজ। শয়তানের ইচ্ছা মতো চলার এক উদাহরণ হল প্রথম শতাব্দীর ধর্মীয় নেতারা, যারা নিজেদের খুব ধার্মিক বলে মনে করত। তারা নিজেদেরকে ঈশ্বরের সন্তান বলে মনে করত আর দাবি করত যে তারা ঈশ্বরের ইচ্ছা মেনে চলে কিন্তু যীশু জানতেন যে তাদের হৃদয়ে কী আছে আর তারা আসলে ঈশ্বরের পথে নয় কিন্তু শয়তানের পথে চলছে। সেইজন্য তিনি তাদের পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছিলেন: “তোমরা আপনাদের পিতা দিয়াবলের, এবং তোমাদের পিতার অভিলাষ সকল পালন করাই তোমাদের ইচ্ছা।” (যোহন ৮:৪৪) এছাড়াও বাইবেলের প্রকাশিত বাক্যের বই বলে যে শয়তান “সমস্ত নরলোকের ভ্রান্তি জন্মায়।”—প্রকাশিত বাক্য ১২:৯.
কোন কোন ধরনের জাদু কি ভাল?
তন্ত্রমন্ত্র ছাড়া জাদু হয় না। * আগেকার দিনে ও এখনও মনে করা হয় যে জাদুকরিরা সবসময় লোকেদের ক্ষতি করার জন্যই জাদু করে। বলা হয়ে থাকে যে জাদুকরিদের অন্যদের কষ্ট দেওয়ার ও মেরে ফেলারও শক্তি আছে। প্রাচীন কাল থেকেই মনে করা হয় যে জাদুকরিরা খুবই খারাপ আর তাই লোকেরা অসুস্থ হলে, মারা গেলে ও ফসল নষ্ট হয়ে গেলে তারা মনে করে যে এ সব কিছু জাদুকরিদেরই কাজ।
আজকে জাদুকরিরা এই কথাকে খুব জোরালোভাবে অস্বীকার করে। তারা বলে যে কিছু খারাপ জাদুকরি আছে কিন্তু বেশির ভাগ জাদুকরির জাদুতে কারও কোন ক্ষতি হয় না বরং
অনেক লাভ হয়। জাদুকরিরা বলে যে জাদু করে তিনগুণ লাভ পাওয়া যায় আর অভিশাপকে কাটানোর সবচেয়ে ভাল উপায় হল জাদু করা। লোকেরা মনে করে যে কিছু কিছু জাদু ভালর জন্য করা হয়। কিছু লোকেরা তাদের নিজেদেরকে বিপদ থেকে বাঁচানোর জন্য জাদু করে। কিছু লোকেরা বিশ্বাস করে যে যখন ভাড়াটিয়া ঘর ছাড়ে তখন ঘরকে শুদ্ধ করার জন্য জাদু করা ঠিক। এছাড়া প্রেমে পড়ানোর জন্য, রোগ দূর করার জন্য, স্বাস্থ্য ভাল করার জন্য, চাকরি বাঁচানো ও টাকাপয়সা পাওয়ার জন্যও জাদু করা হয়। লোকেরা মনে করে এই সমস্ত কিছুই আমাদের ক্ষতি নয় বরং লাভের জন্য করা হয়। যেহেতু জাদু করে এত লাভ পাওয়া যায়, তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই যে এখন অনেক বেশি লোকেরা জাদুবিদ্যা শিখতে চাইছে।কিন্তু, বাইবেল বলে ভাল করার জন্য জাদু করা বা খারাপ করার জন্য জাদু করা দুই-ই সমান খারাপ। আর বাইবেল আরও বলে যে সবরকমের জাদুই বিপদজনক। মোশির ব্যবস্থায় ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের এই ব্যাপারে স্পষ্টভাবে আজ্ঞা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন: “তোমরা . . . গণকের বিদ্যা ব্যবহার করিও না।” (লেবীয় পুস্তক ১৯:২৬) তিনি এই আজ্ঞাও দিয়েছিলেন: “তোমার মধ্যে যেন এমন কোন লোক পাওয়া না যায়, যে . . . মন্ত্র ব্যবহার করে, বা গণক, বা মোহক, বা মায়াবী, বা ঐন্দ্রজালিক, বা ভূতড়িয়া, বা গুণী বা প্রেতসাধক।”—দ্বিতীয় বিবরণ ১৮:১০, ১১.
ঈশ্বর কেন এই আজ্ঞা দিয়েছিলেন? তিনি আমাদের ভাল চান না বলে নয়। কিন্তু, যিহোবা এইজন্যই এই আজ্ঞা দিয়েছিলেন কারণ তিনি তাঁর লোকেদের ভালবাসতেন আর তিনি চাইতেন না যে তারা ভয় ও কুসংস্কারের ফাঁদে পড়ুক। বরং তিনি চাইতেন যে তারা তাদের সব প্রয়োজনীয় জিনিস যেন তাঁর কাছ থেকে চায় কারণ তিনি “সমস্ত উত্তম দান এবং সমস্ত সিদ্ধ বর” দেন। (যাকোব ১:১৭) প্রেরিত যোহন তার খ্রীষ্টান ভাইবোনদের বলেছিলেন: “যে কিছু যাচ্ঞা করি, তাহা [ঈশ্বরের] নিকটে পাই; কেননা আমরা তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন করি, এবং তাঁহার দৃষ্টিতে যাহা যাহা প্রীতিজনক, তাহা করি?”—১ যোহন ৩:২২.
মন্দ আত্মাদের সম্বন্ধে কী বলা যায়?
বাইবেল বলে যে মন্দ আত্মারা আছে। আর জাদুবিদ্যা অভ্যাস করে এমন অনেক লোকেরা এ কথাকে সত্যি বলে মনে করে। জাদুবিদ্যাকে উৎসাহ দেন এমন একজন ব্যক্তি এক প্রবন্ধে এভাবে সতর্ক করেছিলেন: “আমাদের এই জগতের মতো অদৃশ্য এক জগৎও আছে যেখানে ভুতপ্রেতরা থাকে। . . . ‘ভুত,’ ‘মন্দ আত্মা,’ ‘পিশাচ’ এই নামগুলোই তাদেরকে মানায়। তারা খুবই শক্তিশালী। . . . তাদের মধ্যে যেগুলো সবচেয়ে বেশি চালাক . . . তারা (কেউ যদি তাদের জন্য দরজা খুলে দেয় তাহলে) আমাদের জগতে ঢুকতে পারে। তারা আপনাদের শরীরে ঢুকে পড়তে পারে . . . , এমনকি আপনাদেরকে তার ইচ্ছামতো চালাতে পারে। পুরনো দিনের গল্পগুলোতে আমরা যেমন শুনি যে লোকেদের ভুতে ধরেছে, তা পুরোপুরি সত্যি।”
বাইবেলের সময়ে মন্দ আত্মারা লোকেদের ওপর বিভিন্নভাবে মথি ৯:৩২; ১২:২২; ১৭:১৫, ১৮; মার্ক ৫:২-৫; লূক ৮:২৯; ৯:৪২; ১১:১৪; প্রেরিত ১৯:১৬) কখনও কখনও অনেক মন্দ আত্মা একসঙ্গে একটা লোকের মধ্যে ঢুকে তাকে খুবই কষ্ট দিত। (লূক ৮:২, ৩০) তাই যিহোবা আমাদের ভালর জন্যই নিয়ম দিয়েছিলেন যে তাঁর লোকেদের জাদু ও তন্ত্রমন্ত্র থেকে দূরে থাকা উচিত।
অত্যাচার করত। কিছু লোকেদের তারা বোবা করে দিত, কিছুজনকে অন্ধ করে দিত, কিছু লোকেদের পাগল করে দিত। কিছু লোকেদের মধ্যে যখন মন্দ আত্মারা ঢুকত তখন তারা এমন এক শক্তি পেত, যা মানুষের শক্তির চেয়ে অনেক বেশি। (সত্য ধর্ম
আজকে অনেকে জাদুবিদ্যার দিকে ঝোঁকে কারণ তারা মনে করে যে এটা একেবারেই বিপদজনক নয়, এটা করা খারাপ কিছু নয়। তারা মনে করে যে জাদুবিদ্যা একটা ধর্ম যাতে শুধু প্রকৃতির শক্তিকে পুজো করা হয়। কিছু সমাজে লোকেরা জাদুবিদ্যাকে খুব সাধারণ ব্যাপার বলে মনে করে। এটাকে ভয় করার কোন কারণ আছে বলে তারা মনে করে না। তারা এটাকে খুবই হালকাভাবে নেয়। যে সমাজে সব ধর্ম মানার স্বাধীনতা আছে সেইসব জায়গায় লোকেরা উদ্ভট যে কোন কিছুতে বিশ্বাস করতে শুরু করে আর এইসব জায়গায় জাদুবিদ্যা একেবারে জাঁকিয়ে বসেছে।
এটা ঠিক যে আজ জগতে ধর্ম একটা খোলা বাজারের মতো হয়ে গিয়েছে যেখান থেকে যে কেউ নিজের ইচ্ছা মতো আর সুবিধা মতো ধর্ম বেছে নিতে পারে, ঠিক যেমন লোকেরা বাজার থেকে তাদের পছন্দ মতো জুতো কেনেন। কিন্তু যীশু বলেছিলেন যে ধর্মের শুধু দুটো রাস্তা আছে। তিনি বলেছিলেন: “সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়া প্রবেশ কর, কেননা সর্ব্বনাশে যাইবার দ্বার প্রশস্ত ও পথ পরিসর, এবং অনেকেই তাহা দিয়া প্রবেশ করে; কেননা জীবনে যাইবার দ্বার সঙ্কীর্ণ ও পথ দুর্গম, এবং অল্প লোকেই তাহা পায়।” (মথি ৭:১৩, ১৪) এ কথা ঠিক যে আমাদের নিজেদের রাস্তা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আছে কিন্তু আমাদের খুব সাবধানে এটা বেছে নেওয়া দরকার, কারণ এর সঙ্গেই আমাদের চিরকালীন মঙ্গল জড়িয়ে আছে। ঈশ্বরের বিষয়ে জ্ঞান পাওয়ার জন্য আমাদের সত্যের রাস্তায় চলা দরকার আর এই সত্য শুধু ঈশ্বরের বাক্য বাইবেলে দেওয়া আছে।
[পাদটীকাগুলো]
^ ১৯৯৩ সালের ৮ই সেপ্টেম্বরের সচেতন থাক! (ইংরেজি) পত্রিকার ২৬ পৃষ্ঠায় “জাদুবিদ্যা অভ্যাস করা কি বিপদজনক?” প্রবন্ধটা দেখুন।
[৫ পৃষ্ঠার চিত্র]
আজকে অনেকে মনে করে যে জাদুবিদ্যা শুধু প্রকৃতির পুজো আর এটা একেবারেই বিপদজনক নয়
[৬ পৃষ্ঠার চিত্র]
তন্ত্রমন্ত্র ছাড়া জাদু হয় না
[৬ পৃষ্ঠার চিত্র]
যারা জাদুবিদ্যা অভ্যাস করে তারা কি নিজেদের অজান্তে শয়তানের ইচ্ছা মতোই চলছে না?
[৭ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]
বাইবেল সত্যের পথ দেখায়