“শোন, একটু ব্যথা লাগতে পারে”
“শোন, একটু ব্যথা লাগতে পারে”
আপনি কি কখনও এই কথাগুলো শুনেছেন? প্রস্তাবিত কোন চিকিৎসা শুরু করার আগে একজন ডাক্তার অথবা একজন নার্স হয়তো কথাগুলো বলেছিলেন।
সম্ভবত, শুধু প্রত্যাশিত যন্ত্রণা এড়ানোর জন্য আপনি সেই চিকিৎসাকে প্রত্যাখ্যান করেননি। বরং, ভবিষ্যতে ভাল স্বাস্থ্য থাকার জন্য আপনি কষ্ট সহ্য করেছেন। চরম পরিস্থিতিগুলোতে, কষ্টদায়ক চিকিৎসাকে গ্রহণ করা অথবা প্রত্যাখ্যান করা জীবন ও মৃত্যুর ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে।
যদিও সবসময় আমাদের হয়তো ডাক্তারের দরকার হয় না কিন্তু অসিদ্ধ মানুষ হিসেবে আমাদের সকলেরই শাসনের অথবা সংশোধনের দরকার আর এমনকি কখনও কখনও সেটাও হয়তো কষ্টকর হতে পারে। (যিরমিয় ১০:২৩) সন্তানদের ব্যাপারে এটা যে কতখানি জরুরি তার ওপর জোর দিয়ে বাইবেল বলে: “বালকের হৃদয়ে অজ্ঞানতা বাঁধা থাকে, কিন্তু শাসন-দণ্ড তাহা তাড়াইয়া দিবে।”—হিতোপদেশ ২২:১৫.
এক্ষেত্রে, শাসন-দণ্ড ছেলেমেয়েদের ওপর বাবামাদের কর্তৃত্বকে চিত্রিত করে। এ কথা ঠিক যে খুব অল্প ছেলেমেয়েরাই শাসন করাকে পছন্দ করে। এই শাসন যদি শাস্তির আকারে হয়, তা হলে তারা হয়তো বিরক্ত হয়। কিন্তু, বিজ্ঞ ও প্রেমময় বাবামারা সন্তানদের ব্যথা পাওয়ার অনুভূতিগুলোর চেয়ে বরং তাদের মঙ্গলের কথাই ভাবেন। খ্রীষ্টীয় বাবামারা জানেন যে ঈশ্বরের বাক্য সত্য যখন এটা বলে: “কোন শাসনই আপাততঃ আনন্দের বিষয় বোধ হয় না, কিন্তু দুঃখের বিষয় বোধ হয়; তথাপি তদ্দ্বারা যাহাদের অভ্যাস জন্মিয়াছে, তাহা পরে তাহাদিগকে ধার্ম্মিকতার শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।”—ইব্রীয় ১২:১১; হিতোপদেশ ১৩:২৪.
অবশ্য, কেবল সন্তানদেরই যে শাসনের দরকার তা নয়। বয়স্কদেরও শাসনের দরকার আছে। বয়স্কদেরকে বাইবেল বলে: “উপদেশ ধরিয়া রাখিও, ছাড়িয়া দিও না, তাহা রক্ষা কর, কেননা তাহা তোমার জীবন।” (হিতোপদেশ ৪:১৩) হ্যাঁ, বিজ্ঞ ব্যক্তিরা তা সে যুবক এবং বৃদ্ধ যে-ই হোক না কেন, তারা ঈশ্বরের বাক্য বাইবেলের শাসনকে মেনে নেবেন, কারণ তা করা পরিশেষে তাদের জীবনকে রক্ষা করবে।