কিংডম হলগুলো সকলের জন্য খোলা
রাজ্য ঘোষণাকারীরা বিবৃতি দেয়
কিংডম হলগুলো সকলের জন্য খোলা
জনসাধারণ্যে পরিচর্যার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় যীশু খ্রীষ্ট তাঁর শিষ্যদের উৎসাহ দিয়েছিলেন, “ছাদের উপরে প্রচার করিও।” (মথি ১০:২৭) হ্যাঁ, তাদের খ্রীষ্টীয় পরিচর্যা খোলাখুলিভাবে, জনসমক্ষে করতে হতো। এই নীতির পরিপ্রেক্ষিতে যিহোবার সাক্ষিদের কার্যকলাপও প্রকাশ্যে পরিচালিত হয়ে থাকে। এই উন্মুক্ততা সাক্ষিদের বিরোধিতার মোকাবিলা করতে এবং অনেকের অনুগ্রহভাজন হতে সাহায্য করেছে।
যদিও যিহোবার সাক্ষিদের মণ্ডলীর সভাগুলো সকলের জন্য খোলা, তাদের সম্বন্ধে ভুল ধারণার জন্য অনেকে কিংডম হলে প্রবেশ করতে চায় না। এটা ফিনল্যান্ডের ক্ষেত্রে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। আবার অনেকে নতুন জায়গায় যেতে স্বাভাবিকভাবে ভয় পায়। যখন কোন নতুন কিংডম হল তৈরি অথবা যে-হলটি আছে সেটাকে মেরামত করা হয়, তখন সাধারণত একটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রতিবেশীদের কিংডম হলে আমন্ত্রণ জানাতে ও যিহোবার সাক্ষিদের কার্যকলাপের সঙ্গে পরিচিত হতে বিশেষ প্রচেষ্টা করা যেতে পারে।
একটা এলাকায়, সাক্ষিরা তাদের নতুন কিংডম হল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিনেই পত্রিকা বিতরণের আয়োজন করে। দুজন সাক্ষির একজন বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়, যিনি বলেছিলেন যে, প্রহরীদুর্গ ও সচেতন থাক! পত্রিকাগুলো পড়তে তার খুব ভাল লাগে। ভাইয়েরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পর্কে তাকে জানায় এবং তাকে কিংডম হলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করে। ওই ব্যক্তি বলেন যে, তিনি তাদের সঙ্গে একত্রিত হতে পেরে খুবই আনন্দিত হবেন। তার স্ত্রী, এই আলোচনা শুনতে পেয়ে উচ্চস্বরে বলে ওঠেন, “আমাকে ছেড়ে একা যেও না!”
কিংডম হলে প্রবেশ করার পর ভদ্রলোক চারদিক ঘুরে দেখেন আর বলেন: “এখানে তো একেবারেই অন্ধকার নেই। সবকিছুই কেমন সুন্দর ও উজ্জ্বল। আমাকে বলা হয়েছিল যে, কিংডম হল অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকবে!” ওই দম্পতি কিছুক্ষণ সেখানে থাকে এবং প্রদর্শিত সাহিত্যগুলোর মধ্যে থেকে কয়েকটা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়।
একটা মণ্ডলী তাদের কিংডম হলের উৎসর্গীকরণ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্বন্ধে স্থানীয় সংবাদপত্রে ঘোষণা করতে চায়। অনুষ্ঠানের বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার পর, প্রধান সম্পাদিকা প্রস্তাব দেন যেন এই বিষয়টির ওপর একটা প্রবন্ধ লেখা হয়। ভাইয়েরা সম্মত হয় আর অল্প কয়েকদিন পর, আধ-পৃষ্ঠার একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়, যেখানে অনুষ্ঠানের বিষয় এবং যিহোবার সাক্ষিদের স্থানীয় মণ্ডলীর কার্যকলাপের বর্ণনা তুলে ধরা হয়।
প্রবন্ধটি প্রকাশিত হওয়ার পর, একজন বৃদ্ধা সাক্ষির সঙ্গে তার এক প্রতিবেশীর দেখা হয়, যিনি তাকে বলেন: “আজকের খবরের কাগজে যিহোবার সাক্ষিদের সম্বন্ধে অপূর্ব একটা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে!” বোন এই বিষয়ে সাক্ষ্য দেন এবং পরে বিংশ শতাব্দীতে যিহোবার সাক্ষীবৃন্দ নামক ব্রোশারটি সেই মহিলার কাছে অর্পণ করেন।
যিহোবার সাক্ষিদের সম্বন্ধে কিছু মিথ্যা ধারণাকে শুধরে দেওয়া ছাড়াও, উদ্বোধনী ও নতুন কিংডম হলের উৎসর্গীকরণ অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যবস্থাগুলো আরও লোকেদের সভাগুলোতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে প্রকাশকদের উৎসাহিত করেছে। হ্যাঁ, অনেক দেশে, এমনকি ফিনল্যান্ডেও লোকেরা জানতে পেরেছে যে, যিহোবার সাক্ষিদের কিংডম হলগুলো সকলের জন্য খোলা।