শাফন ও তার পরিবারের সঙ্গে আপনি কি পরিচিত?
শাফন ও তার পরিবারের সঙ্গে আপনি কি পরিচিত?
বাইবেল পড়ার সময়, আপনি কি কখনও শাফন ও তার প্রভাবশালী পরিবারের কিছু সদস্যদের বিষয় উল্লেখ পেয়েছেন? তারা কারা ছিল? তারা কী করেছিল? তাদের কাছ থেকে আমরা কী শিখতে পারি?
সাধারণ কাল পূর্ব প্রায় ৬৪২ সালে, যোশিয় যখন সত্য উপাসনা পুনর্স্থাপন করেছিলেন, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাইবেল ‘মশুল্লমের পৌত্ত্র অৎসলিয়ের পুত্ত্র শাফনের’ কথা উল্লেখ করে। (২ রাজাবলি ২২:৩) পরবর্তী ৩৬ বছরের মধ্যে, সা.কা.পূ. ৬০৭ সালে যিরূশালেমের ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত, আমরা তার চার পুত্র, অহীকাম, ইলিয়াসা, গমরিয় ও যাসনিয় এবং তার দুই নাতি মীখায়া ও গদলিয়ের সঙ্গে পরিচিত হই। (তালিকা দেখুন।) এনসাইক্লোপিডিয়া জুডাইকা ব্যাখ্যা করে, “[যিহূদা রাজ্যে] শাফনের পরিবারের আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ ছিল এবং যোশিয়ের সময় থেকে বন্দিত্বে যাওয়া অবধি তারা রাজার লেখকের পদ অধিকার করে রেখেছিল।” শাফন ও তার পরিবার সম্বন্ধে বাইবেল যা বলে তা পুনর্বিবেচনা আমাদের উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে যে, কীভাবে তারা ভাববাদী যিরমিয়কে এবং যিহোবার সত্য উপাসনাকে সমর্থন করেছিল।
শাফন সত্য উপাসনাকে সমর্থন করেন
সাধারণ কাল পূর্ব ৬৪২ সালে, রাজা যোশিয়ের বয়স যখন প্রায় ২৫ বছর, তখন আমরা শাফনকে রাজার সচিব ও নকলনবিশ হিসেবে কাজ করতে দেখতে পাই। (যিরমিয় ৩৬:১০, NW) এই কাজের সঙ্গে কী জড়িত ছিল? ওপরে উল্লেখিত তথ্য গ্রন্থটি জানায় যে, রাজকীয় লেখক ও সচিব ছিল রাজার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতা, অর্থনৈতিক ব্যাপারের দায়িত্বে থাকত, দক্ষ কূটনীতিক হতো এবং পররাষ্ট্র সংক্রান্ত বিষয়ে, আন্তর্জাতিক আইন ও ব্যবসায়িক চুক্তির ক্ষেত্রে জ্ঞানী হতো। অতএব, রাজকীয় সচিব শাফন ছিলেন রাজ্যের সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন।
দশ বছর আগে, অল্পবয়সী যোশিয় “আপন পিতৃপুরুষ দায়ূদের ঈশ্বরের অন্বেষণ করিতে আরম্ভ করিলেন।” শাফন অবশ্যই যোশিয়ের থেকে বয়সে অনেক বড় ছিলেন আর তাই তিনি তার এক উত্তম আধ্যাত্মিক পরামর্শদাতা হতে পেরেছিলেন এবং সত্য উপাসনাকে পুনর্স্থাপন করার বিষয়ে যোশিয়ের প্রথম অভিযানকে তিনি সমর্থন করেছিলেন। *—২ বংশাবলি ৩৪:১-৮.
মন্দির মেরামতের কাজ চলাকালীন “ব্যবস্থাপুস্তকখানি” পাওয়া যায় আর শাফন “রাজার সাক্ষাতে তাহা পাঠ করিতে লাগিলেন।” এর বিষয়বস্তু শুনে যোশিয় মর্মাহত হয়ে গিয়েছিলেন এবং তিনি এই বইটি সম্বন্ধে যিহোবার কাছে জিজ্ঞেস করার জন্য বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের এক প্রতিনিধি দলকে ভাববাদিনী হুল্দার কাছে পাঠান। এই প্রতিনিধি দলের মধ্যে শাফন ও তার পুত্র অহীকামকে অন্তর্ভুক্ত করে রাজা তাদের প্রতি তার আস্থা প্রকাশ করেছিলেন।—২ রাজাবলি ২২:৮-১৪; ২ বংশাবলি ৩৪:১৪-২২.
শাফন নিজে যা করেছিলেন, সেই বিষয়ে শাস্ত্রে একমাত্র এখানেই উল্লেখ রয়েছে। বাইবেলের অন্যান্য পদগুলোতে তাকে শুধু পিতা বা পিতামহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। শাফনের বংশধরেরা ভাববাদী যিরমিয়ের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এসেছিল।
অহীকাম ও গদলিয়
আমরা যেমন ইতিমধ্যেই লক্ষ্য করেছি, ভাববাদিনী হুল্দার কাছে প্রতিনিধি দলকে পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে শাফনের পুত্র অহীকামের নাম প্রথম উল্লেখ করা হয়। একটা তথ্য গ্রন্থ বলে:
“ইব্রীয় বাইবেলে যদিও অহীকামের উপাধি পাওয়া যায় না কিন্তু এটা স্পষ্ট যে, তিনি একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ছিলেন।”সেই ঘটনার প্রায় ১৫ বছর পর, যিরমিয়ের জীবন বিপদের মুখে পড়েছিল। যিরূশালেম ধ্বংসের ব্যাপারে যিহোবার উদ্দেশ্য সম্বন্ধে তিনি যখন লোকেদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন, তখন “যাজকগণ, ভাববাদিগণ ও সমস্ত প্রজা লোক তাঁহাকে ধরিয়া কহিল, তুমি মরিবেই মরিবে।” এর ফলে কী হয়েছিল? বিবরণ আরও বলে: “শাফনের পুত্ত্র অহীকামের হস্ত যিরমিয়ের সপক্ষ থাকায় তিনি নিহত হইবার জন্য লোকদের হস্তে সমর্পিত হইলেন না।” (যিরমিয় ২৬:১-২৪) এটা কী দেখায়? আ্যংকর বাইবেল অভিধান (ইংরেজি) বলে: “এই ঘটনা শুধুমাত্র এটারই প্রমাণ দেয় না যে, অহীকাম তার প্রভাবশালী অধিকারকে ব্যবহার করেছিলেন কিন্তু এই ঘটনাটা এও ইঙ্গিত করে যে, শাফনের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো তারও যিরমিয়ের প্রতি সহানুভূতি ছিল।”
প্রায় ২০ বছর পর, সা.কা.পূ. ৬০৭ সালে বাবিলনীয়রা যিরূশালেমকে ধ্বংস করার এবং অধিকাংশ লোকেদের বন্দিত্বে নিয়ে যাওয়ার পর, শাফনের নাতি অর্থাৎ অহীকামের পুত্র গদলিয়, অবশিষ্ট যিহুদিদের ওপর শাসনকর্তা নিযুক্ত হন। শাফনের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো তিনিও কি যিরমিয়ের জন্য চিন্তা করতেন? বাইবেলের বিবরণ জানায়: “তাহাতে যিরমিয় মিস্পাতে অহীকামের পুত্ত্র গদলিয়ের নিকটে গিয়া দেশে . . . তাঁহার সহিত বাস করিতে লাগিলেন।” কয়েক মাস পরেই, গদলিয়কে হত্যা করা হয় আর অবশিষ্টাংশ যিহুদিরা যখন মিশরে চলে যায়, তখন তারা তাদের সঙ্গে যিরমিয়কে নিয়ে যায়।—যিরমিয় ৪০:৫-৭; ৪১:১, ২; ৪৩:৪-৭.
গমরিয় ও মীখায়
যিরমিয় ৩৬ অধ্যায়ে-যে ঘটনাগুলোর বিবরণ পাওয়া যায় সেগুলোতে শাফনের পুত্র গমরিয় ও নাতি মীখায় এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল। সেই সময়টা ছিল সা.কা.পূ. প্রায় ৬২৪ সাল, রাজা যিহোয়াকীমের রাজত্বের পঞ্চম বছর। যিরমিয়ের সচিব বারূক যিহোবার গৃহে, ‘শাফনের পুত্ত্র গমরিয়ের কুঠরীতে’ গিয়ে উচ্চস্বরে সেই পুস্তক থেকে যিরমিয়ের বাক্য পড়ে শোনান। ফলে, “শাফনের পৌত্ত্র গমরিয়ের পুত্ত্র মীখায় সেই পুস্তকে লিখিত সদাপ্রভুর সমস্ত বাক্য শুনিলেন।”—যিরমিয় ৩৬:৯-১১.
মীখায় এই পুস্তক সম্বন্ধে তার পিতা ও অন্যান্য অধ্যক্ষদের জানান আর তারা সকলে শুনতে চায় যে এর মধ্যে কী লেখা আছে। তারা কীরকম প্রতিক্রিয়া দেখায়? “তখন ঐ সকল কথা শুনিয়া তাঁহারা সকলে ভয় প্রযুক্ত পরস্পর তাকাতাকি করিলেন, এবং বারূককে কহিলেন, আমরা এই সকল কথার বিষয় অবশ্য রাজাকে জানাইব।” কিন্তু রাজার সঙ্গে কথা বলার আগে তারা বারূককে পরামর্শ দেয়: “তুমি ও যিরমিয় যাইয়া লুকাইয়া থাক; কেহ যেন তোমাদের সন্ধান না পায়।”—যিরমিয় ৩৬:১২-১৯
ঠিক যেমন আশা করা হয়েছিল, রাজা সেই পুস্তকের সংবাদ অগ্রাহ্য করেন এবং সেটিকে টুকরো টুকরো করে পুড়িয়ে দেন। কয়েকজন অধ্যক্ষ, যাদের মধ্যে ছিলেন শাফনের পুত্র গমরিয়, তারা “পুস্তকখানি যেন পোড়ান না হয়, সে জন্য রাজাকে যিরমিয় ৩৬:২১-২৫) যিরমিয়—প্রত্নতাত্ত্বিক এক সহায়ক (ইংরেজি) নামক বইটি উপসংহারে বলে: “রাজা যিহোয়াকীমের রাজদরবারে গমরিয় ছিলেন যিরমিয়ের একজন অটল সমর্থক।”
বিনয় করিয়াছিলেন, তথাপি তিনি তাঁহাদের কথা শুনিলেন না।” (ইলিয়াসা ও যাসনিয়
বাবিলন সা.কা.পূ. ৬১৭ সালে যিহূদা রাজ্যকে অধিকার করে নিয়েছিল। হাজার হাজার যিহুদি, “সমস্ত প্রধান লোক ও সমস্ত বলবান বীর . . . সমস্ত শিল্পকার ও কর্ম্মকার,” এমনকি ভাববাদী যিহিষ্কেলকেও বন্দিত্বে নিয়ে যাওয়া হয়। মত্তনিয়, যার নামকে পরিবর্তন করে বাবিলনীয়রা সিদিকিয় রেখেছিল, তিনিই নতুন অধীনস্থ রাজা হিসেবে নিযুক্ত হন। (২ রাজাবলি ২৪:১২-১৭) পরে সিদিকিয় বাবিলনে একটা প্রতিনিধি দলকে পাঠান, যার মধ্যে ছিলেন শাফনের পুত্র ইলিয়াসা। যিরমিয়, ইলিয়াসার হাতে একটা চিঠি দিয়েছিলেন যার মধ্যে বন্দিপ্রাপ্ত যিহুদিদের উদ্দেশে যিহোবার কাছ থেকে আসা একটা গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ ছিল।—যিরমিয় ২৯:১-৩.
এভাবে বাইবেলের নথি ইঙ্গিত করে যে, শাফন ও তার তিন পুত্র এবং তার দুই নাতি সত্য উপাসনা এবং বিশ্বস্ত ভাববাদী যিরমিয়কে সমর্থন করার জন্য তাদের প্রভাবশালী অধিকারকে ব্যবহার করেছিল। শাফনের পুত্র যাসনিয়ের সম্বন্ধে কী বলা যায়? শাফনের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিপরীতে, তিনি স্পষ্টতই প্রতিমাপূজার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সা.কা.পূ. প্রায় ৬১২ সালে, বাবিলে বন্দি থাকার ষষ্ঠতম বছরে যিহিষ্কেল ভাববাদী একটা দর্শন পান, যেখানে তিনি ৭০ জন পুরুষকে যিরূশালেমের মন্দিরে প্রতিমার সামনে ধূপ জ্বালাতে দেখেন। তাদের মধ্যে ছিলেন যাসনিয়, শুধু তারই নাম নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটা হয়তো ইঙ্গিত করতে পারে যে তিনি সেই দলের একজন বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন। (যিহিষ্কেল ৮:১, ৯-১২) যাসনিয়ের উদাহরণ দেখায় যে, ঈশ্বরীয় পরিবারে বড় হয়ে ওঠার মানে নয় যে একজন যিহোবার বিশ্বস্ত উপাসক হবে। প্রতিটি ব্যক্তি তাদের নিজস্ব কর্মের জন্য দায়বদ্ধ।—২ করিন্থীয় ৫:১০.
শাফন ও তার পরিবারের ঐতিহাসিক বংশাবলি
যিরূশালেমে ঘটা সমস্ত ঘটনায় শাফন ও তার পরিবার ভূমিকা পালন করার সময় যিহূদাতে সিলমোহরের ব্যবহার খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছিল। সিলমোহরগুলোকে ব্যবহার করা হতো সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য অথবা কোন তথ্যের ওপর সই করার জন্য আর এগুলো মূল্যবান পাথর, ধাতু, গজদন্ত অথবা কাচ দিয়ে তৈরি করা হতো। সাধারণত, সেগুলোর ওপর যার সিলমোহর তার নাম, তার পিতার নাম এবং অনেকসময় যার সিলমোহর সেই ব্যক্তির উপাধিও খোদাই করা থাকত।
মাটির ওপর খোদাই করা হাজার হাজার ইব্রীয়
সিলমোহর পাওয়া গেছে। প্রাচীন খোদিত লিপি অধ্যয়ন অর্থাৎ ইব্রীয় লিপি-উৎকিরণবিদ্যার পণ্ডিত, অধ্যাপক নামান আভিগাদ মন্তব্য করেছিলেন: “সিলমোহরে খোদাই করা লিপিগুলোই হল একমাত্র ইব্রীয় লিপি-উৎকিরণবিদ্যার উৎস, যেখানে সেইসব ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করা আছে যাদের সম্বন্ধে বাইবেলে উল্লেখ রয়েছে।” এমন কোন সিলমোহরের লিপি কি পাওয়া গেছে যেখানে শাফন অথবা তার পরিবারের সদস্যদের কথা উল্লেখ করা আছে? হ্যাঁ, ১৯ ও ২১ পৃষ্ঠায় দেখানো সিলমোহরের ওপর শাফন ও তার পুত্র গমরিয়ের নাম আছে।পণ্ডিত ব্যক্তিরা আরও বলে যে, খুব সম্ভবত পরিবারের আরও চারজন সদস্যদের উল্লেখ সেই সিলমোহর লিপির ওপর পাওয়া যায় যেমন, শাফনের পিতা অৎসলিয়; শাফনের পুত্র অহীকাম; শাফনের পুত্র গমরিয়; এবং গদলিয় যার সম্বন্ধে একটা সিলমোহরের লিপিতে উল্লেখ আছে যে তিনি “গৃহধ্যক্ষ।” এই সিলমোহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ সিলমোহরটি ছিল শাফনের নাতি গদলিয়ের, যদিও তার পিতা অহীকামের নাম উল্লেখ করা নেই। সিলমোহরের লিপির ওপর উল্লেখিত তার উপাধি দেখায় যে, তিনি ছিলেন রাষ্ট্রের সবচাইতে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে একজন।
আমরা কী শিখতে পারি?
সত্য উপাসনা ও বিশ্বস্ত যিরমিয়কে সমর্থন করার ক্ষেত্রে তাদের প্রভাবশালী অধিকারকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে শাফন ও তার পরিবার কতই না এক আদর্শ উদাহরণ রেখেছে! আমরাও আমাদের সম্পত্তি ও প্রভাবকে যিহোবার সংগঠন ও আমাদের সহ উপাসকদের সমর্থন করার জন্য কাজে লাগাতে পারি।
শুধুমাত্র নিয়মিত বাইবেল পড়লেই আমরা নিজেদের সমৃদ্ধশালী করতে ও বিশ্বাসকে দৃঢ় করতে পারব তা নয় কিন্তু সেইসঙ্গে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তা পরীক্ষা করতে এবং শাফন ও তার পরিবারের সদস্যদের মতো যিহোবার প্রাচীন সাক্ষিদের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। এরাও “বৃহৎ সাক্ষিমেঘে”-র অন্তর্ভুক্ত, যাদের উদাহরণ আমরা অনুকরণ করতে পারি।—ইব্রীয় ১২:১.
[পাদটীকা]
^ শাফন নিশ্চয়ই যোশিয়ের থেকে বয়সে অনেক বড় ছিলেন কারণ যোশিয়ের যখন প্রায় ২৫ বছর বয়স, তখন শাফনের পুত্র অহীকাম একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন।—২ রাজাবলি ২২:১-৩, ১১-১৪.
[২২ পৃষ্ঠার বাক্স]
হুল্দা—এক প্রভাবশালী ভাববাদিনী
মন্দিরে পাওয়া “ব্যবস্থাপুস্তকখানি”-র পাঠ শুনে রাজা যোশিয়, শাফন ও আরও চারজন উচ্চপদস্থ আধিকারিককে সেই পুস্তক সম্বন্ধে ‘সদাপ্রভুকে জিজ্ঞাসা করিতে’ আদেশ দেন। (২ রাজাবলি ২২:৮-২০) প্রতিনিধিদের দল এর উত্তর কোথায় পেতে পারত? যিরমিয় এবং সম্ভবত সেই সময়ে যিহূদাতে বসবাসকারী নহূম ও সফনিয় আর সমস্ত ভাববাদী ও বাইবেল লেখকদের কাছে। কিন্তু প্রতিনিধি দল ভাববাদিনী হুল্দার কাছে যায়।
যিরূশালেম—এক প্রত্নতাত্ত্বিক জীবনী (ইংরেজি) বইটি মন্তব্য করে: “এই ঘটনার উল্লেখযোগ্য বিষয়টা হল যে, এখানে পুরুষ ও নারীর বিষয়টা একেবারে সাধারণভাবে ধরা হয়েছে। কেউ এটাকে অনুপযুক্ত বলে মনে করেনি যে পুরুষদের নিয়ে গঠিত দলটা ব্যবস্থাপুস্তকটির বিষয়ে জানার জন্য একজন স্ত্রীলোকের কাছে গিয়েছিল। যখন তিনি এটিকে প্রভুর বাক্য বলে ঘোষণা করেছিলেন, তখন কেউই সেই বিষয়টা নিশ্চিত করার জন্য তার অধিকার সম্বন্ধে প্রশ্ন তোলেনি। প্রাচীন ইস্রায়েলে নারীদের ভূমিকা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেই সম্বন্ধে এই ঘটনাটিকে প্রায়ই পণ্ডিত ব্যক্তিরা উপেক্ষা করে থাকে।” অবশ্য যে-সংবাদটি পাওয়া গিয়েছিল, তা যিহোবার কাছ থেকেই এসেছিল।
[২১ পৃষ্ঠার ডায়াগ্রাম/চিত্র]
(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)
শাফনের বংশাবলি
মশুল্লম
↓
অৎসলিয়
↓
শাফন
↓ ↓ ↓ ↓
অহীকাম ইলিয়াসা গমরিয় যাসনিয়
↓ ↓
গদলিয় মীখায়া
[২০ পৃষ্ঠার চিত্র]
গমরিয় এবং অন্যান্যরা যিহোয়াকীমকে যিরমিয়ের পুস্তকটি পুড়িয়ে না ফেলার জন্য বিনতি করেছিল
[২২ পৃষ্ঠার চিত্র]
যাসনিয় যদিও শাফনের পরিবারের একজন সদস্য ছিলেন কিন্তু প্রতিমাপূজার এক দর্শনে তাকে দেখা গিয়েছিল
[১৯ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]
Courtesy Israel Antiquities Authority
[২১ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]
Courtesy Israel Antiquities Authority