“জাগিয়া থাকিও”
“জাগিয়া থাকিও”
প্রাচীনকালে দ্বাররক্ষীরা নগর ও মন্দিরের প্রবেশদ্বারে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাড়ির প্রবেশপথে কার্যরত থাকত। রাতের বেলা দ্বারগুলো বন্ধ রয়েছে কি না, সেই বিষয়টা নিশ্চিত করা ছাড়াও দ্বাররক্ষীরা প্রহরী হিসেবেও কার্যরত থাকত। এটা ছিল এক গুরু দায়িত্ব কারণ যেকোনো আসন্ন বিপদ সম্বন্ধে লোকেদের সতর্ক করে দেওয়ার জন্য তাদের আহ্বানের ওপর নগরের নিরাপত্তা নির্ভর করত।
যিশু খ্রিস্ট দ্বাররক্ষীদের ভূমিকা সম্বন্ধে জানতেন। একবার তিনি তাঁর শিষ্যদের দ্বাররক্ষীদের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন এবং তাদেরকে যিহুদি বিধিব্যবস্থার শেষের বিষয়ে জেগে থাকতে উৎসাহিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন: “সাবধান, তোমরা জাগিয়া থাকিও ও প্রার্থনা করিও; কেননা সে সময় কবে হইবে, তাহা জান না। কোন ব্যক্তি যেন আপন বাটী ছাড়িয়া বিদেশে গিয়া প্রবাস করিতেছেন; আর . . . দ্বারীকে জাগিয়া থাকিতে আদেশ করিয়াছেন। অতএব তোমরা জাগিয়া থাকিও, কেননা গৃহের কর্ত্তা কখন আসিবেন, . . . তোমরা তাহা জান না।”—মার্ক ১৩:৩৩-৩৫.
একইভাবে, ১২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই প্রহরীদুর্গ পত্রিকা ‘জাগিয়া থাকিবার’ বিষয়ে যিশুর দেওয়া উৎসাহ জানিয়ে এসেছে। কীভাবে? এই পত্রিকার ২য় পৃষ্ঠায় যেমন বলা আছে: “এটি জগতের ঘটনাগুলোর ওপর নজর রাখে কারণ এগুলো বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীকে পূর্ণ করে। এটি সমস্ত লোককে এই সুসমাচার জানিয়ে সান্ত্বনা দেয় যে, ঈশ্বরের রাজ্য শীঘ্রই সেই লোকেদের ধ্বংস করবে, যারা তাদের সহমানবদের কষ্ট দেয় আর এরপরই সেই রাজ্য পৃথিবীকে এক পরমদেশে পরিণত করবে।” সারা বিশ্বে ১৫০টা ভাষায় ২,৬০,০০,০০০রও বেশি কপি বিতরিত হওয়া এই প্রহরীদুর্গ পত্রিকা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বিতরিত ধর্মীয় পত্রিকা। এই পত্রিকার মাধ্যমে যিহোবার সাক্ষিরা প্রাচীনকালের দ্বাররক্ষীদের মতো সমস্ত জায়গার লোকেদের আধ্যাত্মিকভাবে ‘জাগিয়া থাকিতে’ অনুরোধ জানাচ্ছে কারণ প্রভু যিশু খ্রিস্ট ফিরে আসতে এবং এই বিধিব্যবস্থার ওপর বিচার আনতে চলেছেন।—মার্ক ১৩:২৬, ৩৭.