এক পরিদর্শন, যা মনোভাবকে পালটে দিয়েছিল
এক পরিদর্শন, যা মনোভাবকে পালটে দিয়েছিল
“ঈশ্বর আমার কাছে যে-দুজন ‘স্বর্গদূতকে’ পাঠিয়েছিলেন, তাদের সম্বন্ধে আমার পরিবারকে না বলে থাকতে পারলাম না।” একজন ভদ্রলোক এই কথা লিখেছিলেন, যার কাছে দুজন যিহোবার সাক্ষি তরুণী এসেছিল। তারা সেই ভদ্রলোকের কাছে আসার কয়েক সপ্তাহ আগে, তিনি তার ৪৫ বছরের বিবাহিত জীবনের স্ত্রীকে মৃত্যুতে হারিয়েছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুতে তিনি একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন। তার প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েরা তাকে সান্ত্বনা দিয়েছিল কিন্তু তারা তার কাছ থেকে অনেক দূরে বাস করত। কোনো বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশী তাকে দেখতে আসেনি।
“আমি এখন আর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি না,” সেই ভদ্রলোক তার কাছে আসা দুজন তরুণীকে বলেছিলেন। তবে, তারা খুবই সহানুভূতিশীল ছিল ও তাকে মৃত প্রিয়জনদের জন্য কী আশা? শিরোনামের বাইবেলভিত্তিক ছোট্ট একটি ট্র্যাক্ট দিয়ে গিয়েছিল। সেদিন সন্ধ্যায় তিনি সেটি পড়েছিলেন আর তা থেকে সান্ত্বনা পেয়েছিলেন।
এর অল্প কিছুদিন পর, সেই দুজন যিহোবার সাক্ষি তার কাছে ফিরে এসেছিল। তারা মনে রেখেছিল যে, আগেরবার তারা যখন এসেছিল, তখন তিনি কত শোকার্ত ছিলেন আর তাই এখন তিনি কেমন আছেন, তা তারা দেখতে এসেছিল। “আমি খুবই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম,” সেই ব্যক্তি পরে লিখেছিলেন, “সম্পূর্ণ অপরিচিত দুজন মেয়ে আমার মঙ্গলের বিষয়ে চিন্তা করেছিল।” তারা বাইবেল থেকে তাকে যে-বিষয়গুলো জানিয়েছিল, তা শুনে তিনি খুবই উৎসাহ পেয়েছিলেন। সেই দুজন তরুণী তাকে বলেছিল যে, তারা আবারও আসবে। ভদ্রলোক এতে খুশি হয়েছিলেন এবং যিহোবার সাক্ষিদের এক স্থানীয় কিংডম হলে পাঠানো একটা চিঠিতে তিনি ওপরে উল্লেখিত মন্তব্যটা লিখতে পরিচালিত হয়েছিলেন।
সেই ভদ্রলোক তার এক ছেলের কাছাকাছি একটা জায়গায় থাকার জন্য চলে যাওয়ার আগে, খ্রিস্টীয় এক সভাতে যোগ দিয়েছিলেন এবং ওই দুজন তরুণীর মধ্যে একজনের পরিবারের সঙ্গে একবেলা খাওয়াদাওয়া করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন: “যদিও আমি এই এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছি কিন্তু সেই দুটি মেয়ে ও আপনাদের গির্জার কথা সবসময় আমার হৃদয়ে ও আমার প্রার্থনায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। হ্যাঁ, এখন আমি প্রার্থনা করি—বেশ অনেকবারই করি। আমার মনোভাব সম্পূর্ণ পালটে গিয়েছে। ওই দুজন তরুণী এই ক্ষেত্রে এক বিরাট ভূমিকা রেখেছে আর আমি চিরকাল তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।”