প্রকৃত জ্ঞানালোক খুঁজে পাওয়া
প্রকৃত জ্ঞানালোক খুঁজে পাওয়া
সময়টা ছিল ১৮১০ সালের ১৮ই ডিসেম্বর। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল। স্কটল্যান্ডের দক্ষিণপূর্ব সমুদ্রতীর থেকে দূরে উত্তাল সমুদ্রে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস পালেস দিক হারিয়ে ফেলেছিল। অন্ধকার ক্রমান্বয়ে গাঢ় হওয়ায় এবং ঘন তুষারপাতের কারণে নাবিক দলের জন্য বাতিঘর থেকে আলোকসংকেত পাওয়া ক্রমাগত মুশকিল হয়ে উঠেছিল অথচ জাহাজকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে নির্দেশনার জন্য তাদের আলোকসংকেতের প্রয়োজন ছিল। শেষ পর্যন্ত তারা যখন আলো দেখতে পেয়েছিল ও তাদের জাহাজকে সেই দিকে চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, তখন তারা যে-স্বস্তি লাভ করেছিল, সেটা কল্পনা করে দেখুন! কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, এটা সেই আলো ছিল না যা তাদের দিক নির্দেশনা দেবে। এটা আসলে সমুদ্রতীরের কাছাকাছি অবস্থিত চুনভাঁটির আলো ছিল। পালেস অবশেষে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিল এবং পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছিল। ফলে, এগারো জন নাবিক জলে ডুবে মারা যায়। কী এক দুঃখজনক পরিণতি!
একটা ভুল, পালেস জাহাজের ক্ষেত্রে বিপদ ডেকে এনেছিল। কিন্তু, অন্যান্য সময়ে নাবিকরা এর চেয়েও সাংঘাতিক বিপদের—মিথ্যা আলোকসংকেতের—মুখোমুখি হয়ে থাকে। রেকস্, রেকার্স আ্যন্ড রেসকিউয়ার্স বই অনুযায়ী, জাহাজগুলোকে পাথুরে তীরে নিয়ে আসার জন্য প্রলুব্ধ করতে ইচ্ছে করেই এই ধরনের আলো স্থাপন করা হতো, যাতে ভাঙাচোরা জাহাজকে লুঠ করা যেতে পারে।
‘পবিত্র শাস্ত্র যা পরিত্রাণের পথে নিয়ে যেতে পারে’
জ্ঞানালোকের অনুসন্ধান করার সময়, আপনিও নাবিকরা যে-বিপদগুলোর মুখোমুখি হয়েছিল, সেই সমরূপ বিপদগুলোর মুখোমুখি হন। আপনি হয়তো ভুল তথ্যকে মেনে সেই অনুযায়ী চলতে পারেন বা এমনকি আপনি হয়তো পরিকল্পিত প্রতারণার শিকার হতে পারেন। দুটো পথই দুঃখজনক পরিণতির দিকে পরিচালিত করতে পারে। এর থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য আপনি কী করতে পারেন? এই বিষয়টা নিশ্চিত হোন যে, আপনার জ্ঞানালোকের উৎস সঠিক ও নির্ভরযোগ্য। ১২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে, এই পত্রিকা জ্ঞানালোকের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্য, বাইবেলকে ২ তীমথিয় ৩:১৫-১৭, বাংলা ইজি-টু-রিড ভারসন।
সমর্থন জানিয়ে আসছে কারণ এই ‘পবিত্র শাস্ত্র সেই প্রজ্ঞা দেবে যা পরিত্রাণের পথে নিয়ে যায়।’—অবশ্য, এক নির্ভরযোগ্য নির্দেশনাদানকারী আলো হিসেবে বাইবেলের প্রতি আপনার আস্থা গড়ে তোলার জন্য এটা যুক্তিসংগত যে, আপনি এটির সাক্ষ্যপ্রমাণ পরীক্ষা করে দেখেন। (গীতসংহিতা ১১৯:১০৫; হিতোপদেশ ১৪:১৫) বাইবেল যে সত্যিই ঈশ্বরের দ্বারা অনুপ্রাণিত, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে যে-তথ্য লক্ষ লক্ষ লোককে সাহায্য করেছে, সেই তথ্য পাওয়ার জন্য এই পত্রিকার প্রকাশকদের লিখতে দ্বিধাবোধ করবেন না। উদাহরণস্বরূপ, সমস্ত লোকের জন্য একটি পুস্তক (ইংরেজি) শিরোনামের ব্রোশারটি পড়ুন। * এটিতে এমন অনেক তথ্য রয়েছে যেগুলো দেখাবে যে, বাইবেল হল সঠিক, সত্য ও অনুপ্রাণিত।
মৌলিক সত্যগুলো
কয়েকটা মৌলিক সত্য কী, যেগুলো ‘পবিত্র শাস্ত্রে’ পাওয়া যায়? নীচের উদাহরণগুলো বিবেচনা করুন।
একজন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর ও সৃষ্টিকর্তা রয়েছেন, যিনি সমস্তকিছু সৃষ্টি করেছেন। (আদিপুস্তক ১:১) আমরা অস্তিত্বে রয়েছি ‘কেননা [ঈশ্বর] সকলের সৃষ্টি করিয়াছেন’ এবং আমাদের জীবন দিয়েছেন। (প্রকাশিত বাক্য ৪:১১) এইজন্য কেবল তিনিই আমাদের উপাসনা পাওয়ার যোগ্য। সৃষ্টিকর্তা হলেন সমস্ত জ্ঞানালোকের একমাত্র উৎস। (গীতসংহিতা ৩৬:৯; যিশাইয় ৩০:২০, ২১; ৪৮:১৭, ১৮) তাঁর এক ব্যক্তিগত নাম রয়েছে, যেটা আমরা ব্যবহার করি বলে তিনি চান। (যাত্রাপুস্তক ৩:১৫) সেই নামটি ইব্রীয় অক্ষরে লেখা এবং YHWH হিসেবে প্রতিবর্ণীকৃত, যা বাইবেলে প্রায় ৭,০০০ বার পাওয়া যায়। দীর্ঘ সময় ধরে এটি বাংলাতে “যিহোবা” হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।—যাত্রাপুস্তক ৬:২.
যিহোবা নারী-পুরুষদের এই পৃথিবীতেই পরমদেশতুল্য পরিস্থিতিতে চিরকাল বেঁচে থাকার জন্য সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি মানুষকে আধ্যাত্মিক গুণাবলি দিয়ে সৃষ্টি করেছিলেন, যেগুলো তাঁর নিজের গুণগুলোই প্রতিফলিত করেছিল। তিনি তাদেরকে মেধা ও দক্ষতা দিয়েছিলেন, যেগুলো তাদেরকে এই পৃথিবীতে অন্তহীন, পরিতৃপ্তিদায়ক জীবন উপভোগ করার সুযোগ দেবে। (আদিপুস্তক ১:২৬-২৮) পৃথিবীর জন্য তাঁর উদ্দেশ্য কখনোই এমন ছিল না যে, এটা নারী-পুরুষদের জন্য কোনো ধরনের পরীক্ষার জায়গা হবে—স্বর্গে আত্মিক জীবনের জন্য প্রস্তুত করার এক জায়গা, যেন তারা একমাত্র সেখানেই ঈশ্বরের সঙ্গে এক সম্পর্ক উপভোগ করতে পারে।
ঈশ্বরের মানব সৃষ্টির মধ্যে মন্দ কিছুই ছিল না। মন্দতার উদ্ভব একমাত্র তখনই হয়েছিল, যখন ঈশ্বরের কিছু সৃষ্ট প্রাণী—মানুষ ও আত্মিক প্রাণী উভয়ই—তাদের স্বাধীন ইচ্ছার অপব্যবহার করেছিল এবং ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। (দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৫) আমাদের আদি পিতামাতা ধরে নিয়েছিল যে, তারা নিজেরাই কোনটা ভাল এবং কোনটা মন্দ, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। (আদিপুস্তক ২:১৭; ৩:১-৫) এই পদক্ষেপ মানব পরিবারের জন্য মৃত্যু নিয়ে এসেছে। (আদিপুস্তক ৩:১৯; রোমীয় ৫:১২) এই বিদ্রোহের ফলে যে-বিচার্য বিষয়গুলো উত্থাপিত হয়েছিল, সেগুলোর মীমাংসা করতে যিহোবা মন্দতাকে অল্প সময়ের জন্য সহ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু, পৃথিবী ও মানব পরিবারের জন্য তাঁর উদ্দেশ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। (যিশাইয় ৪৫:১৮) এক শুদ্ধ পৃথিবীতে পরমদেশতুল্য অবস্থায় নারী-পুরুষরা ভবিষ্যতে চিরকাল বেঁচে থাকবে।—মথি ৬:১০; প্রকাশিত বাক্য ২১:১-৫.
যিশু খ্রিস্ট সর্বশক্তিমান ঈশ্বর নন কিন্তু ঈশ্বরের পুত্র। যিশু খ্রিস্ট নিজে তাঁর অনুসারীদের প্রার্থনা করতে শিখিয়েছিলেন: “হে আমাদের স্বর্গস্থ পিতঃ, তোমার নাম পবিত্র মথি ৬:৯) তিনি কখনোই নিজেকে ঈশ্বরের সমতুল্য বলে দাবি করেননি। এর পরিবর্তে, তিনি বলেছিলেন: “পিতা আমা অপেক্ষা মহান্।”—যোহন ১৪:২৮.
বলিয়া মান্য হউক।” (যিশু ঈশ্বরের উদ্দেশ্যসাধনে এক মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। ঈশ্বর তাঁকে ‘জ্যোতিঃস্বরূপ এই জগতে’ পাঠিয়েছেন “যেন, যে কেহ [তাঁহাতে] বিশ্বাস করে, সে অন্ধকারে না থাকে।” (যোহন ১২:৪৬) প্রেরিত পিতরের কথা অনুযায়ী, “অন্য কাহারও কাছে পরিত্রাণ নাই।” (প্রেরিত ৪:১২) এটা সত্য কারণ আমাদের পরিত্রাণ খ্রিস্টের বহুমূল্য রক্তের ওপর নির্ভর করে। (১ পিতর ১:১৮, ১৯) আমাদের আদি পিতামাতা আদম ও হবা মানব পরিবারে যে-পাপের সূত্রপাত করেছিল, তা থেকে মানবজাতিকে মুক্ত করার জন্য যিশু খ্রিস্ট তাঁর জীবন মুক্তির মূল্য হিসেবে প্রদান করেছিলেন। (মথি ২০:২৮; ১ তীমথিয় ২:৬) এ ছাড়া, ঈশ্বর যিশুকে তাঁর ইচ্ছা ও উদ্দেশ্য প্রকাশ করার জন্য ব্যবহার করেছিলেন।—যোহন ৮:১২, ৩২, ৪৬, ৪৭; ১৪:৬; প্রেরিত ২৬:২৩.
ঈশ্বর এক স্বর্গীয় রাজ্য বা সরকার স্থাপন করেছেন, যেটা যিশু খ্রিস্ট এবং মানবজাতির মধ্যে থেকে মনোনীত লোকেদের দ্বারা সংগঠিত। পুরো বাইবেল জুড়ে ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধীয় বার্তা পুনরাবৃত্ত হয়েছে। ঈশ্বর এই সরকারকে তাঁর ইচ্ছা যেমন স্বর্গে তেমনই পৃথিবীতে পূর্ণ হওয়ার বিষয়টা নিশ্চিত করার দায়িত্বভার দিয়েছেন। (মথি ৬:১০) ঈশ্বরের আদি উদ্দেশ্যের মধ্যে এই বিষয়টা অন্তর্ভুক্ত ছিল না যে, মানবজাতির মধ্যে থেকে কাউকে স্বর্গে নিয়ে যাওয়া হবে। এই পৃথিবীই হতো তাদের গৃহ। কিন্তু মানুষের পাপে পতনের পর, ঈশ্বর নতুন কিছুর উদ্দেশ্য করেছিলেন। তিনি “সমুদয় বংশ ও ভাষা ও জাতি ও লোকবৃন্দ হইতে” সেই লোকেদের মনোনীত করার ব্যবস্থা করেছিলেন, যারা এক স্বর্গীয় সরকার ব্যবস্থায় খ্রিস্টের সঙ্গে “রাজত্ব করিবে।” (প্রকাশিত বাক্য ৫:৯, ১০) সেই রাজ্য সরকার শীঘ্রই সমস্ত ধরনের মানব শাসনকে “চূর্ণ ও বিনষ্ট” করবে, যেগুলো মানব পরিবারের মধ্যে প্রচণ্ড দুর্দশা ও কষ্ট নিয়ে এসেছে।—দানিয়েল ২:৪৪.
মানুষের কোনো অংশই অমর নয়। বাইবেলের এই মৌলিক সত্যটি মানুষ ও তার ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে অনেক বিষয় স্পষ্ট করে দেয়। এ ছাড়া, এটা ভুলবোঝাবুঝি দূর করে এবং ভুল তথ্যকে স্পষ্ট করে যেগুলো মৃতদের অবস্থা সম্বন্ধে লোকেদের ভ্রান্ত করে রেখেছে।
বাইবেলের বই উপদেশক ৯:৫, ১০ পদ আমাদের জানায়: “কারণ জীবিত লোকেরা জানে যে, তাহারা মরিবে; কিন্তু মৃতেরা কিছুই জানে না, . . . তুমি যে স্থানে যাইতেছ, সেই পাতালে কোন কার্য্য কি সঙ্কল্প, কি বিদ্যা কি প্রজ্ঞা, কিছুই নাই।” আপনি কি বুঝতে পারছেন যে, এই কথাগুলোর অর্থ কী? মৃত্যুর পর মানুষের কোনো অংশই বেঁচে থাকে না। মানুষ যখন মারা যায়, তখন সে ‘মৃত্তিকায় প্রতিগমন করিবে।’—আদিপুস্তক ৩:১৯.
যারা মারা গিয়েছে, তারা পুনরুত্থানের দ্বারা জীবন ফিরে পেতে পারে। ঈশ্বর যে অল্প সময় মন্দতা থাকতে দিয়েছেন, সেই সময়টা শেষ হয়ে গেলে পর “কবরস্থ সকলে [যিশুর] রব শুনিবে, এবং যাহারা সৎকার্য্য করিয়াছে, তাহারা জীবনের পুনরুত্থানের জন্য, ও যাহারা অসৎকার্য্য করিয়াছে, তাহারা বিচারের পুনরুত্থানের জন্য বাহির হইয়া আসিবে।” যোহন ৫:২৮, ২৯; প্রেরিত ২৪:১৫) এক পরমদেশ পৃথিবীতে পুনরুত্থানের দ্বারা লোকেরা তাদের জীবন ফিরে পাবে, এমন এক জীবন যেটা তাঁর মানব পরিবারের জন্য ঈশ্বরের আদি উদ্দেশ্য ছিল।
(প্রতিদিন মনোযোগ দিয়ে শাস্ত্র পরীক্ষা করুন
আপনি কি দেখতে পারছেন যে, এই মৌলিক সত্যগুলো সম্বন্ধে জ্ঞান কীভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারে? এই সংকটপূর্ণ, অশান্ত সময়ে এই ধরনের জ্ঞান আপনাকে শয়তান দিয়াবলের দ্বারা প্রচারিত “অযথারূপে বিদ্যা নামে আখ্যাত” বিদ্যা বা জ্ঞান থেকে রক্ষা করবে। সে “দীপ্তিময় দূতের” বেশ ধরে এবং তার প্রতিনিধিরা “ধার্ম্মিকতার পরিচারকদের” মতো ভান করে। (১ তীমথিয় ৬:২০; ২ করিন্থীয় ১১:১৩-১৫) বাইবেলের সঠিক জ্ঞান, আপনাকে জগতের সেইসব ‘বিজ্ঞ ও বুদ্ধিমান’ লোকেদের দর্শনবিদ্যার ওপর ভিত্তি করা তথাকথিত জ্ঞানালোক থেকে রক্ষা করবে, যারা “সদাপ্রভুর বাক্য অগ্রাহ্য করিয়াছে।”—মথি ১১:২৫; যিরমিয় ৮:৯.
প্রেরিত যোহনের দিনে যেহেতু বহু ভ্রান্ত শিক্ষা ও দর্শনবিদ্যা ছিল, তাই তিনি প্রথম শতাব্দীর খ্রিস্টানদের সাবধান করে দিয়েছিলেন যেন তারা সমস্তকিছু বিশ্বাস না করে কিন্তু যেগুলো তারা শোনে, সেগুলো প্রকৃতই ঈশ্বর থেকে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখে। (১ যোহন ৪:১) বিষয়টা এভাবে চিন্তা করুন। আপনি যদি এমন কোনো বার্তা পেয়ে থাকেন, যেটা আপনার জীবনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে, তা হলে আপনি কি সেটা শুধুমাত্র এক নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে এসেছে বলে কোনোকিছু না ভেবেই গ্রহণ করে নেবেন? অবশ্যই না। আপনি সেটার উৎসকে যাচাই করে দেখবেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার আগে এর বিষয়বস্তু পরীক্ষা করে দেখবেন।
মৌলিক সত্যগুলো রয়েছে এমন এক অনুপ্রাণিত লিখিত নথি জোগানোর দ্বারা ঈশ্বর আপনাকে ঠিক তা-ই করার সুযোগ করে দিয়েছেন—এটা ‘পরীক্ষা করিতে’ বা নিশ্চিত হতে যে, আপনি যে-নির্দেশনাদানকারী আলো বা আলোকসংকেত অনুসরণ করছেন, সেগুলো হচ্ছে সঠিক। (১ থিষলনীকীয় ৫:২১) প্রথম শতাব্দীর ভদ্র বা উদারমনা লোকেরা যা শিখছিল, সেগুলো আসলেই সত্য ছিল কি না, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে তারা ‘প্রতিদিন শাস্ত্র পরীক্ষা করিত’ বলে তাদের প্রশংসা করা হয়েছিল। (প্রেরিত ১৭:১১) আপনিও তা-ই করতে পারেন। বাইবেল যেন আপনাকে ‘অন্ধকারময় স্থানে দীপ্তি দিয়া’ নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য “প্রদীপের তুল্য” হয়। (২ পিতর ১:১৯-২১) আপনি যদি তা হতে দেন, তা হলে ‘ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান প্রাপ্ত হইবেন,’ যা প্রকৃত জ্ঞানালোক প্রদান করবে।—হিতোপদেশ ২:৫.
[পাদটীকা]
^ যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত।
[৪ পৃষ্ঠার চিত্র]
ঈশ্বরের বাক্য প্রদীপের মতো
[৫ পৃষ্ঠার চিত্র]
ঈশ্বরের নাম কী?
[৫ পৃষ্ঠার চিত্র]
মানবজাতির ভবিষ্যৎ কী?
[৬ পৃষ্ঠার চিত্র]
যিশু কি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর?
[৬ পৃষ্ঠার চিত্র]
মৃতেরা কোথায় রয়েছে?
[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]
বাইবেলে শেখানো মৌলিক সত্যগুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে মৃতদের পুনরুত্থান