সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

তিনি যিহোবার ব্যবস্থায় আমোদ করতেন

তিনি যিহোবার ব্যবস্থায় আমোদ করতেন

তিনি যিহোবার ব্যবস্থায় আমোদ করতেন

 যিহোবার সাক্ষিদের পরিচালক গোষ্ঠীর একজন সদস্য আ্যলবার্ট ডি. শ্রোডার, ২০০৬ সালের ৮ই মার্চ বুধবার তার পার্থিব জীবন শেষ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর এবং তিনি পূর্ণসময়ের পরিচর্যায় ৭৩ বছরেরও বেশি সময় ব্যয় করেছেন।

ভাই শ্রোডার ১৯১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের সাগেনঅতে জন্মগ্রহণ করেন। * ছেলেবেলায় তিনি তার দিদিমার কাছ থেকে বাইবেল সম্বন্ধে অনেক কিছু শেখেন, যিনি তার মধ্যে যিহোবার বাক্য পড়ার প্রতি ভালবাসাও গেঁথে দিয়েছিলেন। তিনি মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাটিন, জার্মান ভাষার ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর পড়াশোনা করেন। কিন্তু, শাস্ত্রের প্রতি তার উপলব্ধিবোধ বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি পূর্ণসময়ের রাজ্য প্রচার কাজ গ্রহণ করার জন্য পড়াশোনা বন্ধ করে দেন। ১৯৩২ সালে, তিনি নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন বেথেল পরিবারের একজন সদস্য হন।

১৯৩৭ সালে ২৬ বছর বয়সে ভাই শ্রোডারকে ব্রিটেনে যিহোবার সাক্ষিদের কাজ তত্ত্বাবধান করার জন্য নিযুক্ত করা হয়। প্রচার কাজের প্রতি তার উদ্যোগ, সেখানে অনেককে পূর্ণসময়ের সেবা গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছিল। একজন যুবক, যার সঙ্গে তিনি লন্ডন বেথেলে মেলামেশা করতেন, তিনি ছিলেন জন ই. বার। পরবর্তী সময়ে, তারা পরিচালক গোষ্ঠীতে অনেক বছর ধরে একসঙ্গে সেবা করে।

যুদ্ধের বছরগুলোতে যিহোবার সাক্ষিদের জন্য ভাই শ্রোডার যে-কাজ করেছিলেন, তা অলক্ষিত ছিল না। ১৯৪২ সালের আগস্ট মাসে তাকে ব্রিটেন থেকে বহিষ্কার করা হয়। যুদ্ধের সময়ে আটলান্টিক মহাসাগরে এক দুঃসহ সমুদ্রযাত্রা শেষে তিনি সেপ্টেম্বরে ব্রুকলিনে ফিরে আসেন।

সেই সময়ে, যিহোবার দাসেরা ইতিমধ্যেই অনুমান করতে পারছিল যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এক ব্যাপক কাজ করার প্রয়োজন হবে। ভাই শ্রোডার তার পরবর্তী কার্যভার পেয়ে অনেক অবাক ও আনন্দিত হয়েছিলেন, যা ছিল ওয়াচটাওয়ার বাইবেল স্কুল অভ্‌ গিলিয়েড এর পাঠ্যসূচি তৈরি করতে সাহায্য করা। কয়েক বছর ধরে তিনি সেখানে একজন নির্দেশক হিসেবে সেবা করেন, মিশনারিদের প্রশিক্ষণ দিতে সাহায্য করেন। গিলিয়েডে এবং পরবর্তী সময়ে কিংডম মিনিস্ট্রি স্কুল-এ তিনি যে-ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দিয়েছিলেন, তাদের তার ক্লাসের বিষয়ে অনেক আনন্দের স্মৃতি রয়েছে। তিনি তার ছাত্রদের মধ্যে ঈশ্বরের আইনগুলোর জন্য ভালবাসা গেঁথে দেওয়ায় আনন্দ লাভ করতেন এবং যিহোবাকে জানার গুরুত্বের ওপর জোর দিতেন।

ভাই শ্রোডার ১৯৫৬ সালে শারলট বোউইনকে বিয়ে করেছিলেন এবং ১৯৫৮ সালে তাদের ছেলে জুডা বেনের জন্ম হয়। ভাই শ্রোডার একজন চমৎকার খিস্টান স্বামী ও বাবা ছিলেন। ১৯৭৪ সালে তিনি পরিচালক গোষ্ঠীতে সেবা করতে শুরু করেন, যেখানে তার অন্তর্দৃষ্টিকে অনেক উপলব্ধি করা হতো। তিনি একজন দয়ালু ও নম্র ব্যক্তি ছিলেন, যিনি সমস্তকিছুর ঊর্ধ্বে যিহোবার মহান নামকে মহিমান্বিত করতে চেয়েছিলেন। আমরা নিশ্চিত যে, একজন অভিষিক্ত খ্রিস্টান হিসেবে ভাই শ্রোডার তার স্বর্গীয় পুরস্কার লাভ করেছেন, যিনি সত্যিই “সদাপ্রভুর ব্যবস্থায় আমোদ” করতেন।—গীতসংহিতা ১:২.

[পাদটীকা]

^ ভাই শ্রোডারের জীবন কাহিনী ১৯৮৮ সালের ১লা মার্চ প্রহরীদুর্গ (ইংরেজি) পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।