জীবনকাহিনি
যিহোবার ওপর নির্ভর করা পরিতৃপ্তিদায়ক হয়েছে
জীবনে কী ঘটবে, তা মাঝে মাঝে আগে থেকে বলা যায় না, জীবন অনিশ্চিত আর এমনকী কষ্টকর। কিন্তু যিহোবা সেই ব্যক্তিদের আশীর্বাদ করেন, যারা তাঁর ওপর নির্ভর করে, নিজেদের বোধগম্যতার ওপর নয়। আমি ও আমার স্ত্রী আমাদের দীর্ঘ এবং পরিতৃপ্তিদায়ক জীবনে এই বিষয়েই অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। এখানে আমাদের জীবনের ছোট্ট ইতিহাস তুলে ধরা হল।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর সিডার পয়েন্টে ১৯১৯ সালে অনুষ্ঠিত বাইবেল ছাত্রদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আমার মায়ের সঙ্গে আমার বাবার দেখা হয়। পরে তারা সেই একই বছর বিয়ে করে। আমি ১৯২২ সালে জন্মগ্রহণ করি এবং আমার ভাই পল এর দুই বছর পর জন্মগ্রহণ করে। আমার স্ত্রী গ্রেস ১৯৩০ সালে জন্মগ্রহণ করে। তার বাবার নাম রয় হাউয়েল এবং মায়ের নাম রুথ হাউয়েল আর তারা ছোটোবেলা থেকেই বাইবেল ছাত্র ছিল এবং তার দাদু-দিদিমাও বাইবেল ছাত্র ও ভাই চার্লস টেজ রাসেলের বন্ধু ছিল।
১৯৪৭ সালে গ্রেসের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয় আর আমরা ১৯৪৯ সালের ১৬ জুলাই বিয়ে করি। বিয়ের আগেই আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করি। আমরা পূর্ণসময়ের পরিচর্যায় অংশগ্রহণ করার এবং কোনো সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ১৯৫০ সালের ১ অক্টোবর আমরা একত্রে অগ্রগামীর কাজ শুরু করি। এরপর, ১৯৫২ সালে আমাদেরকে সীমার কাজের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
ভ্রমণের কাজ এবং গিলিয়েড প্রশিক্ষণ
আমরা দু-জনেই উপলব্ধি করি যে, এই নতুন কার্যভার পালন করার জন্য আমাদের যথেষ্ট সাহায্যের প্রয়োজন। আমি অভিজ্ঞ ভাইদের কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করার পাশাপাশি গ্রেসের জন্যও সাহায্য খুঁজতে থাকি। আমি দীর্ঘসময়ের এক পারিবারিক বন্ধু ও একজন অভিজ্ঞ ভ্রমণ অধ্যক্ষ মারভিন হোলিয়েনের কাছে যাই এবং জিজ্ঞেস করি: “গ্রেসের বয়স এবং অভিজ্ঞতা এখনও অনেক কম। আপনি কি এমন কারো ব্যবস্থা করতে পারেন, যার সঙ্গে গ্রেস কিছু সময় কাজ করার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ লাভ করতে পারে?” “হ্যাঁ,” তিনি উত্তর দেন। “এডনা উইঙ্কেল একজন অভিজ্ঞ অগ্রগামী, যিনি গ্রেসকে অনেক সাহায্য করতে পারবেন।” পরবর্তী সময়ে গ্রেস বোন এডনা সম্বন্ধে বলেছিল: “তিনি আমাকে ঘরে ঘরে প্রচার করার সময় স্বচ্ছন্দ বোধ করতে সাহায্য করেছিলেন, তিনি জানতেন যে, কীভাবে অভিযোগগুলোর উত্তর দেওয়া যায় এবং তিনি আমাকে সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য কীভাবে গৃহকর্তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হয়, সেই বিষয়েও শিক্ষা দিয়েছিলেন। আমার ঠিক তাকেই প্রয়োজন ছিল!”
গ্রেস ও আমি মিনেসোটা এবং দক্ষিণ ডাকোটার কিছু অংশ-সহ আইওয়া রাজ্যের দুটো সীমায় কাজ করি। এরপর, আমাদেরকে নিউ ইয়র্কের ১ নম্বর সীমায় বদলি করা হয় আর ব্রুকলিন ও কুইন্সের পৌরসভাগুলো এই সীমার অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই কার্যভারে আমরা নিজেদের কতটা অযোগ্য মনে করেছিলাম, তা আমরা কখনোই ভুলব না। এই সীমার অন্তর্ভুক্ত ছিল ব্রুকলিন হাইটস্ মণ্ডলী এবং এই মণ্ডলী বেথেলে অবস্থিত কিংডম হলে মিলিত হতো আর সেখানে
বেথেল পরিবারের অনেক অভিজ্ঞ সদস্য ছিল। সেই মণ্ডলীতে আমার প্রথম পরিচর্যা বক্তৃতার পর, ভাই নেথেন নর আমার কাছে এগিয়ে আসেন এবং এই কথাগুলো বলেন: “ম্যালকম, আপনি আমাদেরকে কিছু বিষয়ের ওপর কাজ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন আর এটা একেবারে উপযুক্ত ছিল। মনে রাখবেন, আপনি যদি আমাদেরকে সদয়ভাবে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য না করেন, তাহলে সংগঠনে আপনার বেশি মূল্য থাকবে না। এভাবেই কাজ চালিয়ে যান।” সভার পর আমি গ্রেসকে এই কথাগুলো বলি। এরপর, আমরা ওপরে আমাদের বেথেল রুমে যাই। চিন্তা করে করে আমরা এতটা ক্লান্ত হয়ে পড়ি যে, আমরা কেঁদে ফেলি।“আপনি যদি আমাদেরকে সদয়ভাবে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য না করেন, তাহলে সংগঠনে আপনার বেশি মূল্য থাকবে না। এভাবেই কাজ চালিয়ে যান”
কয়েক মাস পর, আমাদেরকে গিলিয়েড স্কুলের ২৪তম ক্লাসে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে একটা চিঠি প্রদান করা হয়, যেখানে ১৯৫৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্র্যাজুয়েশন প্রদান করা হবে। সেই স্কুলে যোগ দেওয়ার আগে আমাদের জানানো হয়, এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য যে আমাদেরকে মিশনারি হিসেবে প্রস্তুত করা এমন নয়। বরং, এটা আমাদেরকে ভ্রমণের কাজে আরও কার্যকারী হওয়ার জন্য সজ্জিত করবে। এই স্কুলে যোগ দেওয়া আমাদের জন্য এক চমৎকার সুযোগ ছিল আর এর পাশাপাশি এটা আমাদের নম্র হতেও সাহায্য করেছিল।
এই কোর্স শেষ করার পর, আমাদেরকে জেলার কাজে সেবা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমাদের জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল ইন্ডিয়ানা, মিশিগান এবং ওহাইও রাজ্য। এর পর, ১৯৫৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ভাই নরের কাছ থেকে একটা চিঠি পেয়ে আমরা অবাক হয়ে যাই, যেখানে এই কথাগুলো লেখা ছিল: “আমাকে সত্যি করে বলবেন যে, আপনাদের ইচ্ছা কী। আপনারা যদি বলেন, আপনারা বেথেলে আসতে এবং এখানেই থাকতে চান . . . অথবা বেথেলে কিছু সময় থাকার পর বিদেশে কোনো কার্যভার লাভ করতে চান, তাহলে তা আমাকে জানান। কিংবা আপনারা যদি জেলা এবং সীমার কাজ চালিয়ে যেতে চান, তাহলে সেটাও আমাকে জানান।” আমরা উত্তর দিই যে, আমাদেরকে যে-কার্যভারই দেওয়া হোক না কেন, আমরা তা খুশিমনে পালন করব। প্রায় সঙ্গেসঙ্গেই আমাদেরকে বেথেলে আসার কথা বলা হয়!
বেথেলের রোমাঞ্চকর বছরগুলো
আমার বেথেল পরিচর্যার রোমাঞ্চকর বছরগুলোর অন্তর্ভুক্ত ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মণ্ডলী এবং সম্মেলনগুলোতে বক্তৃতা দেওয়া। আমি এমন অনেক যুবককে প্রশিক্ষণ এবং সাহায্য প্রদান করেছি, যারা পরবর্তী সময়ে যিহোবার সংগঠনে আরও বড়ো বড়ো দায়িত্ব লাভ করেছে। এরপর, আমি ভাই নরের অফিসে একজন সচিব হিসেবে কাজ করি, যে-অফিস বিশ্বব্যাপী প্রচার কাজকে সংগঠিত করত।
বিশেষভাবে সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট-এ সেবা করার বছরগুলো আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দদায়ক ছিল। সেখানে আমি ভাই টি. জে. (বাড) সুলিভানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাই। তিনি বহু বছর ধরে সেই ডিপার্টমেন্টের অধ্যক্ষ হিসেবে সেবা করেছেন। কিন্তু, সেখানকার অন্যান্য ব্যক্তির কাছ থেকেও আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। তাদের মধ্যে একজন হলেন ফ্রেড রাস্ক, যাকে আমার প্রশিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। আমার এখনও মনে আছে যে, আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, “ভাই ফ্রেড, কেন আপনি আমার কিছু কিছু
চিঠিতে রদবদল করেন?” তিনি হেসে আমাকে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা বলেছিলেন, “ম্যালকম, আপনি যখন মুখে কিছু বলেন, তখন সেটাকে বিভিন্ন শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, কিন্তু আপনি যখন কিছু লেখেন, বিশেষভাবে এখান থেকে, তখন সেটাকে যতটা সম্ভব যুক্তিযুক্ত এবং সঠিক হতে হবে।” এরপর, তিনি সদয়ভাবে বলেছিলেন, “ভয় নেই—আপনি অনেক ভালো করছেন এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও ভালো করবেন।”বেথেলে থাকার বছরগুলোতে, গ্রেস বিভিন্ন কার্যভার লাভ করেছে, যার অন্তর্ভুক্ত হল হাউসকিপার হিসেবে কাজ করা অর্থাৎ আবাসিক রুমগুলোর যত্ন নেওয়া। সেই কাজ সে উপভোগ করত। সেই সময় যুবক ছিল এমন ভাইদের সঙ্গে এখনও যখন আমাদের মাঝে মাঝে দেখা হয়, তখন তারা হেসে গ্রেসকে বলে, “কীভাবে বিছানা গোছাতে হয়, সেই সম্বন্ধে আপনি আমাকে অনেক ভালো প্রশিক্ষণ দিয়েছেন আর আমার মা এর অনেক প্রশংসা করেছে।” এ ছাড়া, গ্রেস ম্যাগাজিন, কোরেস্পনডেন্স এবং টেপ ডুপ্লিকেট করার ডিপার্টমেন্টেও কাজ করেছে এবং সেগুলোও সে উপভোগ করেছে। বিভিন্ন কার্যভারে সেবা করার মাধ্যমে সে এই বিষয়টা উপলব্ধি করার ব্যাপারে সাহায্য লাভ করেছে যে, যিহোবার সংগঠনে আমরা যে-কাজই করি না কেন বা যেখানেই সেবা করি না কেন, সেটা হল এক বিশেষ সুযোগ এবং আশীর্বাদ। এখনও সে একইরকম অনুভব করে।
আমরা যে-রদবদলগুলো করেছি
১৯৭০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে আমরা উপলব্ধি করতে শুরু করি যে, আমাদের বয়স্ক বাবা-মায়ের দেখাশোনা করা প্রয়োজন। অবশেষে, আমাদেরকে এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমরা বেথেল এবং যিহোবার এই সহদাসদের ছেড়ে যেতে চাইনি, যাদেরকে আমরা অত্যন্ত ভালোবাসতাম। কিন্তু, আমি এও বুঝতে পারি যে, আমাকেই আমার বাবা-মায়ের যত্ন নিতে হবে। তাই, পরবর্তী সময়ে আমরা বেথেল ছেড়ে যাই কিন্তু এই আশা নিয়ে যে, আমাদের পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে আমরা হয়তো আবার ফিরে আসতে পারি।
নিজেদের ভরণ-পোষণের খরচ জোগানোর জন্য আমি ইন্সিয়োরেন্স বিক্রি করা শুরু করি। আমি যখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলাম, তখন একজন ম্যানেজার আমাকে যে-কথাগুলো বলেছিলেন, সেগুলো আমার সবসময় মনে থাকবে: “এই ব্যাবসার ভিত্তি হল বিকেলে লোকেদের সঙ্গে দেখা করা। সেই সময়টাতেই আপনি তাদেরকে ঘরে পাবেন। প্রতিদিন বিকেলে লোকেদের সঙ্গে দেখা করার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নেই।” সেই সময় আমি এই উত্তর দিয়েছিলাম, “কোনো সন্দেহ নেই যে, আপনি আপনার অভিজ্ঞতা থেকে এই কথাগুলো বলছেন এবং আমি এটাকে সম্মান করি। কিন্তু, আমাকে আধ্যাত্মিক বিষয়ের যত্নও নিতে হয়, যেটা আমি কখনো অবহেলা করিনি এবং এখনও করতে চাই না। আমি অবশ্যই বিকেলে লোকেদের সঙ্গে দেখা করব, কিন্তু মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে আমাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সভাগুলোতে যোগ দিতে হবে।” জাগতিক কাজের কারণে সভা বাদ না দেওয়ার জন্য যিহোবা সত্যিই আমাকে আশীর্বাদ করেছেন।
১৯৮৭ সালের জুলাই মাসে আমার মা যখন একটা নার্সিং হোমে মারা যান, তখন আমরা তার পাশেই ছিলাম। প্রধান নার্স গ্রেসের কাছে এসে বলেছিলেন: “মিসেস অ্যালেন, বাড়ি গিয়ে একটু বিশ্রাম নিন। আপনি তো সর্বক্ষণ আপনার শাশুড়ির পাশে পাশেই ছিলেন। ভেঙে পড়বেন না।”
১৯৮৭ সালের ডিসেম্বর মাসে, আমরা আবারও আমাদের প্রিয় জায়গা বেথেলে সেবা করার জন্য আবেদনপত্র জমা দিই। কিন্তু, অল্প
কিছুদিন পরেই গ্রেসের কোলোন ক্যান্সার ধরা পড়ে। অপারেশন করার এবং ভালোভাবে সুস্থ হওয়ার পর বলা হয় যে, সে এখন ক্যান্সারমুক্ত। সেই সময়, আমরা বেথেল থেকে একটা চিঠি পাই, যেখানে আমাদেরকে স্থানীয় মণ্ডলীর সঙ্গে পরিচর্যা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। আমরা রাজ্যের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ ছিলাম।একসময়, আমি টেক্সাসে চাকরি করার একটা সুযোগ পাই। আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে, সেখানকার উষ্ণ আবহাওয়া আমাদের জন্য ভালো হবে এবং ঠিক তা-ই হয়েছে। টেক্সাসে এখন আমরা প্রায় ২৫ বছর ধরে আছি আর আমাদের চারপাশে সেই যত্নশীল ভাই-বোনেরা রয়েছে, যারা আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠেছে।
আমরা যে-শিক্ষাগুলো লাভ করেছি
গ্রেস পর পর কয়েকটা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় যেমন, কোলোন, থাইরয়েড এবং সম্প্রতি ব্রেস্ট ক্যান্সার। কিন্তু, সে কখনোই তার জীবনের পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করেনি অথবা মস্তকপদের নীতির বিরোধিতা করেনি এবং সহযোগিতা করা বন্ধ করে দেয়নি। তাকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করা হয় যে, “এক দম্পতি হিসেবে আপনাদের সাফল্যের এবং আপনাদের উভয়ের সুখের রহস্যটা কী?” সে চারটে বিষয় উল্লেখ করে: “আমরা পরস্পরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ভাববিনিময় করি। আমরা প্রতিদিন একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসি। আর আমরা কখনোই দিনের শেষে পরস্পরের সঙ্গে রাগান্বিত অবস্থায় ঘুমাতে যাই না।” এটা ঠিক যে, মাঝেমধ্যে আমরা একে অন্যের সঙ্গে ভুলভাবে আচরণ করে ফেলি কিন্তু আমরা পরস্পরকে ক্ষমা করি এবং তা ভুলে যাই আর এটা সত্যিই অনেক কার্যকরী।
“সবসময় যিহোবার ওপর নির্ভর করুন এবং তিনি যা অনুমোদন করেন, তা মেনে নিন”
আমাদের জীবনে যে-সমস্ত পরীক্ষা এসেছে, সেগুলো থেকে আমরা বিভিন্ন উত্তম শিক্ষা লাভ করেছি:
-
আপনার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করবেন না।—হিতো. ৩:৫, ৬; যির. ১৭:৭.
-
যিহোবা এবং তাঁর আইনের প্রতি বাধ্য থাকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যবর্তী কোনো স্থান নেই—হয় আপনি বাধ্য নতুবা অবাধ্য।—রোমীয় ৬:১৬; ইব্রীয় ৪:১২.
-
তাঁর ইচ্ছাকে প্রথমে রাখুন, বস্তুগত ধনসম্পদ লাভের চেষ্টাকে নয়।—হিতো. ২৮:২০; উপ. ৭:১; মথি ৬:৩৩, ৩৪.
-
আপনি যা করতে পারেন, সেটার ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করুন, যা করতে পারেন না, সেটার ওপর নয়।—মথি ২২:৩৭; ২ তীম. ৪:২.
গ্রেস ও আমি উভয়েই আলাদা আলাদাভাবে ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে যিহোবার সেবা করেছি এবং বিবাহিত দম্পতি হিসেবে প্রায় ৬৫ বছর ধরে তাঁর সেবা করেছি। এই বছরগুলোতে আমরা একত্রে যিহোবার সেবায় প্রকৃতই এক চমৎকার সময় কাটিয়েছি। আমরা এই আশা রাখি এবং প্রার্থনা করি, যেন আমাদের সমস্ত ভাই ও বোন, যিহোবার ওপর নির্ভর করলে জীবন কতটা পরিতৃপ্তিদায়ক হতে পারে, সেই সম্বন্ধে একই অভিজ্ঞতা লাভ করে।