সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ঈশ্বরের কি একটা নাম আছে?

ঈশ্বরের কি একটা নাম আছে?

ঈশ্বরের কি একটা নাম আছে?

প্রচলিত উত্তরগুলো:

◼ “তাঁর নাম হল ঈশ্বর।”

◼ “তাঁর কোনো নাম নেই।”

যিশু কী বলেছিলেন?

◼ “অতএব তোমরা এই মত প্রার্থনা করিও; হে আমাদের স্বর্গস্থ পিতঃ, তোমার নাম পবিত্র বলিয়া মান্য হউক।” (মথি ৬:৯) যিশু বিশ্বাস করতেন যে, ঈশ্বরের একটা নাম আছে।

◼ “আমি ইহাদিগকে তোমার নাম জানাইয়াছি, ও জানাইব; যেন তুমি যে প্রেমে আমাকে প্রেম করিয়াছ, তাহা তাহাদিগেতে থাকে, এবং আমি তাহাদিগেতে থাকি।” (যোহন ১৭:২৬) যিশু ঈশ্বরের নাম জানিয়েছিলেন।

◼ “যে সময় পর্য্যন্ত তোমরা না বলিবে, ‘ধন্য তিনি, যিনি প্রভুর [“যিহোবার,” NW] নামে আসিতেছেন,’ সেই সময় পর্য্যন্ত তোমরা আমাকে আর দেখিতে পাইবে না।” (লূক ১৩:৩৫; গীতসংহিতা ১১৮:২৬, NW) যিশু ঈশ্বরের নাম ব্যবহার করেছিলেন।

 ঈশ্বর নিজে আমাদেরকে তাঁর নাম জানান। এই কথাগুলো বলার দ্বারা তিনি তা লিপিবদ্ধ করেছেন: “আমিই প্রভু, আমার নাম যিহোবা।” * (যিশাইয় ৪২:৮, বাংলা ইজি-টু-রিড ভারসন) ঈশ্বর নিজে তাঁর যে-নাম দিয়েছিলেন, সেটার যে-ইব্রীয় রূপ রয়েছে, তা বাংলায় যিহোবা হিসেবে পরিচিত। এই বিষয়টা হয়তো আপনাকে অবাক করতে পারে যে, প্রাচীন বাইবেল পাণ্ডুলিপিগুলোতে এই অদ্বিতীয় ইব্রীয় নামটা হাজার হাজার বার পাওয়া যায়। বস্তুতপক্ষে, বাইবেলে উল্লেখিত অন্যান্য যেকোনো নামের চেয়ে এটা বেশি বার পাওয়া যায়।

কেউ কেউ হয়তো “ঈশ্বরের নাম কী?” এই প্রশ্নটার উত্তরে বলতে পারে, তাঁর নাম “ঈশ্বর।” কিন্তু, সেভাবে উত্তর দেওয়া আসলে “নির্বাচনে কে জয়ী হয়েছেন?” এইরকম প্রশ্নের উত্তরে “প্রার্থী জয়ী হয়েছেন” বলার চেয়ে বেশি তথ্য প্রদান করবে না। যেহেতু “ঈশ্বর” বা “প্রার্থী” কোনো নাম নয়, তাই এগুলোর একটাও কোনো স্পষ্ট উত্তর প্রদান করে না।

কেন ঈশ্বর আমাদের কাছে তাঁর নাম প্রকাশ করেছিলেন? তিনি তা করেছিলেন যাতে আমরা তাঁকে আরও ভালোভাবে জানতে পারি। উদাহরণস্বরূপ, পরিস্থিতি অনুযায়ী একজন ব্যক্তিকে হয়তো স্যার, বস্‌, বাবা অথবা ঠাকুরদা বলে সম্বোধন করা হতে পারে। এই উপাধিগুলো সেই ব্যক্তির সম্পর্কে কিছু বিষয় জানায়। কিন্তু, তার ব্যক্তিগত নাম আমাদেরকে তার সম্বন্ধে আমরা যা-কিছু জানি, সবই স্মরণ করিয়ে দেয়। একইভাবে প্রভু, সর্বশক্তিমান, পিতা এবং সৃষ্টিকর্তা, এই উপাধিগুলো ঈশ্বরের কাজের বিভিন্ন দিকের প্রতি আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করায়। কিন্তু, একমাত্র তাঁর ব্যক্তিগত নাম যিহোবাই আমাদেরকে তাঁর সম্বন্ধে আমরা যা-কিছু জানি সবই স্মরণ করিয়ে দেয়। তাঁর নাম না জানলে কীভাবে আপনি ঈশ্বরকে প্রকৃতপক্ষে জানতে পারেন?

তবে, যিহোবার নাম জানাই শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয় কিন্তু সেটিকে ব্যবহার করাও গুরুত্বপূর্ণ। কেন? কারণ বাইবেল আমাদের বলে: “যে কেহ প্রভুর [“যিহোবার,” NW] নামে ডাকিবে, সে পরিত্রাণ পাইবে।”—রোমীয় ১০:১৩; যোয়েল ২:৩২, NW. (w০৯ ২/১)

[পাদটীকা]

^ ঈশ্বরের নামের অর্থ ও সেইসঙ্গে কেন কিছু বাইবেল সংস্করণে এটি পাওয়া যায় না, সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা খোঁজার জন্য, আপনি হয়তো যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইয়ের ১৯৫-১৯৭ পৃষ্ঠা পড়ে দেখতে চাইবেন।

[৬ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

একজন ব্যক্তিকে হয়তো স্যার, বস্‌, বাবা অথবা ঠাকুরদা বলে সম্বোধন করা হতে পারে। কিন্তু তার ব্যক্তিগত নাম আমাদেরকে তার সম্বন্ধে আমরা যা-কিছু জানি, সমস্তকিছু স্মরণ করিয়ে দেয়