সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ঈশ্বর কে?

ঈশ্বর কে?

ঈশ্বরের বাক্য থেকে শিখুন

ঈশ্বর কে?

এই প্রবন্ধ আপনি হয়তো জিজ্ঞেস করেছেন এমন প্রশ্নগুলোকে তুলে ধরে ও আপনার বাইবেলে কোথায় আপনি উত্তরগুলো পেতে পারেন তা দেখায়। যিহোবার সাক্ষিরা আপনার সঙ্গে এই উত্তরগুলো আলোচনা করতে পেরে খুশি হবে।

১. ঈশ্বর কে?

সত্য ঈশ্বর হলেন সমস্তকিছুর সৃষ্টিকর্তা। বাইবেল তাঁকে “যুগপর্য্যায়ের রাজা” বলে সম্বোধন করে, যেটার অর্থ হল তাঁর কোনো শুরু ছিল না আর কোনো শেষও থাকবে না। (১ তীমথিয় ১:১৭) যেহেতু ঈশ্বর হলেন জীবনের উৎস, তাই একমাত্র তাঁকেই আমাদের উপাসনা করা উচিত।—পড়ুন, প্রকাশিত বাক্য ৪:১১.

২. ঈশ্বর কেমন?

কেউ কখনোই ঈশ্বরকে দেখেনি কারণ তিনি হলেন আত্মা, যেটার অর্থ হল পৃথিবীতে বাস করে এমন মাংসিক প্রাণীদের চেয়ে তাঁর এক উচ্চতর জীবন রয়েছে। (যোহন ১:১৮; ৪:২৪) তিনি যে-বিষয়গুলো সৃষ্টি করেছেন, সেগুলোর মধ্যে ঈশ্বরের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আমরা যখন ফল ও ফুলের নকশা ও বৈচিত্র্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করি, তখন আমরা ঈশ্বরের প্রেম ও প্রজ্ঞা বুঝতে পারি। নিখিলবিশ্বের বিশালতা আমাদেরকে ঈশ্বরের শক্তির বিষয়ে জানায়।—পড়ুন, রোমীয় ১:২০.

আমরা বাইবেল থেকে ঈশ্বরের ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে এমনকী আরও বেশি শিখতে পারি। উদাহরণস্বরূপ, এটি আমাদের জানায় যে, ঈশ্বর কী পছন্দ করেন ও কী পছন্দ করেন না, তিনি লোকেদের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করেন এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তিনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান।—পড়ুন, গীতসংহিতা ১০৩:৭-১০.

৩. ঈশ্বরের কি একটা নাম আছে?

যিশু বলেছিলেন: “হে আমাদের স্বর্গস্থ পিতঃ, তোমার নাম পবিত্র বলিয়া মান্য হউক।” (মথি ৬:৯) যদিও ঈশ্বরের অনেক উপাধি রয়েছে কিন্তু তাঁর একটাই নাম রয়েছে। প্রতিটা ভাষায় এটাকে ভিন্নভাবে উচ্চারণ করা হয়। বাংলায় আমরা সাধারণত “যিহোবা” বলে থাকি।—পড়ুন, যাত্রাপুস্তক ৩:১৫.

অনেক বাইবেল থেকে ঈশ্বরের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে ও এটার স্থানে প্রভু অথবা ঈশ্বর উপাধিগুলো ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু যখন বাইবেল লেখা হয়েছিল, তখন এটিতে প্রায় ৭,০০০ বার ঈশ্বরের নাম পাওয়া যেত। লোকেদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য ব্যাখ্যা করার সময়, যিশু ঈশ্বরের নাম ব্যবহার করার দ্বারা তা জানিয়েছিলেন। ঈশ্বরকে জানার জন্য তিনি লোকেদের সাহায্য করেছিলেন।—পড়ুন, যোহন ১৭:২৬.

৪. যিহোবা কি আমাদের জন্য চিন্তা করেন?

যিহোবা ব্যক্তিগতভাবে আমাদের প্রার্থনা শোনার দ্বারা আমাদের প্রতি আগ্রহ দেখান। (গীতসংহিতা ৬৫:২) যেহেতু আমাদেরকে অনেক দুঃখকষ্ট ভোগ করতে হয়, তাই এর অর্থ কি এই যে, ঈশ্বর আমাদের জন্য চিন্তা করেন না? কিছু লোক বলে থাকে যে, আমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য ঈশ্বর আমাদের দুঃখকষ্ট ভোগ করতে দেন, কিন্তু তা সত্য নয়। বাইবেল বলে: “ইহা দূরে থাকুক যে, ঈশ্বর দুষ্কার্য্য করিবেন।”—ইয়োব ৩৪:১০; পড়ুন, যাকোব ১:১৩.

ঈশ্বর মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছা দিয়ে সম্মানিত করেছেন। ঈশ্বরকে সেবা করার ব্যাপারে আমাদের বেছে নেওয়ার স্বাধীনতাকে আমরা কি উপলব্ধি করি না? (যিহোশূয়ের পুস্তক ২৪:১৫) অনেকে অন্যদের প্রতি খারাপ কাজগুলো করে বলে দুঃখকষ্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ধরনের অবিচার দেখা যিহোবাকে দুঃখ দেয়।—পড়ুন, আদিপুস্তক ৬:৫, ৬.

শীঘ্র দুঃখকষ্ট এবং যারা তা ঘটায় তাদেরকে নির্মূল করার জন্য যিহোবা যিশুকে ব্যবহার করবেন। এই সময়ের মধ্যে, সাময়িকভাবে দুঃখকষ্ট থাকতে দেওয়ার পিছনে যিহোবার উত্তম কারণ রয়েছে। এই ধারাবাহিক প্রবন্ধের পরবর্তী একটি পাঠ ব্যাখ্যা করবে যে, কেন ঈশ্বর দুঃখকষ্ট থাকতে দিয়েছেন।—পড়ুন, যিশাইয় ১১:৪.

৫. আমরা কী করি বলে ঈশ্বর চান?

তাঁকে জানতে পারার এবং প্রেম করার ক্ষমতা দিয়ে যিহোবা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি চান আমরা যেন তাঁর সম্বন্ধে সত্য শিখি। (১ তীমথিয় ২:৪) আমরা যদি বাইবেল অধ্যয়ন করি, তাহলে আমরা ঈশ্বরকে একজন বন্ধু হিসেবে জানতে পারব।—পড়ুন, হিতোপদেশ ২:৪, ৫.

যেহেতু যিহোবা আমাদেরকে জীবন দিয়েছেন, তাই অন্য যেকাউকে আমরা ভালোবাসি, তার চেয়ে আমাদের তাঁকে আরও বেশি করে ভালোবাসা উচিত। প্রার্থনায় তাঁর সঙ্গে কথা বলার এবং তিনি যা বলেন তা করার দ্বারা আমরা ঈশ্বরকে দেখাতে পারি যে, আমরা তাঁকে ভালোবাসি। (হিতোপদেশ ১৫:৮) যিহোবা আমাদেরকে অন্যদের সঙ্গে ভালোবেসে আচরণ করতে বলেন।—পড়ুন, মার্ক ১২:২৯, ৩০; ১ যোহন ৫:৩. (w১১-E ০২/০১)

আরও তথ্যের জন্য যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? এই বইয়ের ১ অধ্যায় দেখুন।

[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

সাময়িকভাবে দুঃখকষ্ট থাকতে দেওয়ার পিছনে কি কোনো উত্তম কারণ থাকতে পারে?