এটা কি প্রকৃতই বাইবেলের একটি শিক্ষা?
এটা কি প্রকৃতই বাইবেলের একটি শিক্ষা?
ত্রিত্ব যদি সত্য হত তবে এটা স্পষ্ট এবং সামাঞ্জস্যরূপে বাইবেলে লেখা থাকত। কেন? কারণ প্রেরিতদের কথা মত, বাইবেল মানবজাতির কাছে ঈশ্বরের নিজস্ব প্রকাশ। এবং যেহেতু তাঁকে গ্রহণ যোগ্য উপাসনা দিতে ঈশ্বরকে জানার প্রয়োজন আছে তাই বাইবেলে স্পষ্টরূপে আমাদের বলা উচিৎ তিনি কে।
প্রথম-শতাব্দীর বিশ্বাসীরা শাস্ত্রকে ঈশ্বরের বিশুদ্ধ প্রকাশরূপে গ্রহণ করেছিল। এটা তাদের বিশ্বাসের ভিত্তিস্বরূপ ছিল, শেষ কর্ত্তৃত্ব। উদাহরণ স্বরূপ, প্রেরিত পৌল যখন বিরয়া নগরে প্রচার করছিলেন, “তাহারা সম্পূর্ণ আগ্রহপূর্ব্বক বাক্য গ্রহণ করিল, আর এ সকল বাস্তবিকই এইরূপ কিনা, তাহা জানিবার জন্য প্রতিদিন শাস্ত্র পরীক্ষা করিতে লাগিল।”—প্রেরিত ১৭:১০, ১১
ঐ সময়ে ঈশ্বরের উল্লেখযোগ্য লোকেরা কর্ত্তৃত্বরূপে কি ব্যবহার করত? প্রেরিত ১৭:২, ৩ পদে আমরা পড়ি: “পৌল আপন রীতি অনুসারে . . . শাস্ত্রের কথা লইয়া প্রসঙ্গ করিলেন, অর্থ বুঝাইয়া দিলেন এবং (শাস্ত্র হইতে) দেখাইলেন।”
যীশু নিজে তাঁর শিক্ষার ভিত্তিস্বরূপ শাস্ত্র ব্যবহার করার উদাহরণ স্হাপন করেছেন, বার বার বলেছেন: “ইহা লেখা আছে।” “তিনি সমুদয় শাস্ত্রে তাঁহার বিষয়ে যে সকল কথা আছে তাহা তাহাদিগকে বুঝাইয়া দিলেন।’’—মথি ৪:৪, ৭;লৃক ২৪:২৭।
এইরূপে যীশু, পৌল এবং প্রথম-শতাব্দীর বিশ্বাসীরা তাদের শিক্ষার ভিওরূপে শাস্ত্র ব্যবহার করেছিল। তারা জানত যে “ঈশ্বর নিঃশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্ম্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারি, যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ক, সমস্ত সৎকর্ম্মের জন্য সুসজ্জীভূত হয়।”—২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭; আরো দেখুন ১ করিন্থীয় ৪:৬; ১ থিষলনীকীয় ২:১৩; ২ পিতর ১:২০, ২১।
বাইবেল যেহেতু ‘সংশোধন’ করতে পারে তবে এটা ত্রিত্বের মত ভিত্তিমূলক বিষয়ের উপরে যে দাবী উঠে সে সম্বন্ধে স্পষ্টরূপে সংবাদ প্রকাশ করা উচিৎ। কিন্তু ঈশ্বরতত্ত্ববিদ এবং ঐতিহাসিকেরা কি বলেন যে এটা স্পষ্টতঃই বাইবেলের শিক্ষা?
“ত্রিত্ব” কি বাইবেলে?
একটি প্রটেষ্টান্ট প্রকাশনি বলে: “ত্রিত্ব শব্দটি বাইবেলে নেই . . . এটা ৪র্থ শতাব্দী পর্য্যন্ত গির্জ্জার ঈশ্বরতত্ত্বে স্হান পায় নাই।” (দি ইলাসট্রেটেড বাইবেল ডিকসনারী) এবং একটি ক্যাথলিক কর্ত্তৃপক্ষ বলে যে ত্রিত্ব “সরাসরি এবং একেবারেই ঈশ্বরের বাক্য নয়।” নিউ ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া।
দি ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া আরো মন্তব্য করে: “শাস্ত্রে এমন একটি উক্তি নেই যার দ্বারা তিনটি ঐশিক ব্যক্তিকে একসাথে দেখানো হয়েছে। [ট্রায়াস] এই শব্দটি (যার থেকে লাতিন ট্রিনিটাস অনুবাদ হয়েছে) প্রথম ১৮০ খৃষ্টাব্দের কাছাকাছি অ্যান্টিয়কের থিওফিলাসে পাত্তয়া যায় . . . কিছু পরেই তা টারটুলিয়ানে লাতিন ট্রিনিটাস রূপে প্রতীয়মান হয়।”
যাহোক, এটাই প্রমাণ নয় যে টারটুলিয়ান ত্রিত্ব শিক্ষা দিয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ক্যাথলিকদের লিখিত ট্রিনিটাস–এ থিত্তজিকাল এনসাইক্লোপিডিয়া অফ দি হোলি ট্রিনিটি বলে
যে টারটুলিয়ানের কোন কোন শব্দ পরে অন্যরা ত্রিত্বের বর্ণনা করতে ব্যবহার করছে। তারপরে এতে সাবধান করা হয়: “কিন্তু ব্যবহারেই সত্ত্বর সিদ্ধান্তে আসা যায় না, কারণ তিনি ত্রিত্ববাদী ঈশ্বরতত্ত্বের প্রতি শব্দগুলি প্রয়োগ করেন নাই।”ইব্রীয় শাস্ত্রাবলীর প্রমাণ
ত্রিত্ব শব্দ যখন বাইবেলে পাত্তয়া যায় না, তবে কি অন্ততঃ এর ধারনা স্পষ্টভাবে এতে শিক্ষা দেত্তয়া হয়? উদাহরণস্বরূপ, ইব্রীয় শাস্ত্র (“পুরাতন নিয়ম”) কি প্রকাশ করে?
দি এনসাইক্লোপিডিয়া অফ রিলিজিয়ন স্বীকার করে: “ঈশ্বরতত্ত্ববিদরা আজ একমত যে ইব্রীয় বাইবেলে ত্রিত্বের শিক্ষা নেই।” এবং নিউ ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়াও বলে; “পবিত্র ত্রিত্বের মতবাদ [পুরাতন নিয়মে] শেখানো হয় না।”
এইরূপে, জেসুট এডমন্ড ফোর্টম্যান তার বই “দি ট্রায়ূন গডে” স্বীকার করেন: “পুরাতন নিয়ম . . . আমাদের একটি ত্রিত্ব ঈশ্বর যিনি হলেন পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মা সে সম্বন্ধে স্পষ্ট রূপে বা প্রয়োজনীয় কোন ধারনা দেয় না . . . এরকম কোনই প্রমাণ নেই যে কোন পবিত্র লেখক ঈশ্বরত্বে [ত্রিত্বের] অস্তিত্ব এমন কি সন্দেহত্ত করেছিল . . . এমন কি [“পুরাতন নিয়মে”] ত্রিত্বের ব্যক্তিদের প্রস্তাব বা পূবর্বচ্ছায়া বা ‘আচ্ছাদিত ছায়া’ দেখাও হল পবিত্র লেখকদের বাক্য এবং মনোভাবের বাইরে যাত্তয়া।”—আইটালিক আমাদের
ইব্রীয় শাস্ত্রাবলীর পরীক্ষা করলে তারা নিজেরাই এই মন্তব্য করবে। এইরূপে, বাইবেলের প্রথম ৩৯টি পুস্তকে ত্রিত্বের কোন স্পষ্ট শিক্ষা দেত্তয়া হয় না যেগুলি নিয়ে অনুপ্রাণিত ইব্রীয় শাস্ত্র তৈরী হয়েছে।
গ্রীক শাস্ত্রাবলীর প্রমান
উত্তম, তবে কি খৃষ্টীয়ান গ্রীক শাস্ত্র (“নূতন নিয়ম”) একটি ত্রিত্ব সম্বন্ধে স্পষ্ট করে বলে?
দি এনসাইক্লোপিডিয়া অফ রিলিজিয়ন বলে: “ঈশ্বরতত্ত্ববিদরা মেনে নেয় যে নূতন নিয়মেও ত্রিত্বের স্পষ্ট শিক্ষা নেই।”
জেসুট ফোর্টম্যান মন্তব্য করেন: “নূতন নিয়ম লেখকেরা . . . আমাদিগকে ত্রিত্বের মতবাদ লিখিত ভাবে বা স্পষ্টরূপে জানায় না, কোন পরিস্কার শিক্ষা নাই যে এক ঈশ্বরে তিনজন সম-কক্ষ ঐশিক ব্যক্তি আছেন . . . কোথাও আমরা একই ঈশ্বরত্বে ঐশিক জীবন এবং কাজের তিনজন আলাদা ব্যক্তির কোন ত্রিত্ব শিক্ষা পাই না।”
দি নিউ এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা মন্তব্য করে: “ত্রিত্ব শব্দ বা মতবাদটির স্পষ্টতা নূতন নিয়মে পাত্তয়া যায় না।”
র্বানহার্ড লোসি এ সর্ট হিসটরি অফ খৃষ্টীয়ান ডকট্রিনে বলেনঃ “নূতন নিয়মের কথা বললে সেখানে ত্রিত্বের প্রকৃত মতবাদ একজন খুঁজে পায় না।”
একইরূপে দি নিউ ইন্টারন্যাশনাল ডিকসনারী অফ নিউ টেস্টামেন্ট থিত্তলজী মন্তব্য করে: “[নূতন নিয়মে] ত্রিত্বের শিক্ষাকে বাড়ানো হয় নাই। ‘পিতা; পুত্র, এবং পবিত্র আত্মা সমান সত্তার এই সম্বন্ধে বাইবেল ঘোষনা করে না’ (বলেন প্রটেষ্টান্ট ঈশ্বরতত্ত্ববিদ কার্ল বার্থ)।”
ওয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ই. ওয়াসবার্ন হপকিনস্ সমর্থন করেন: “যীশু এবং পৌলের কাছে ত্রিত্বের মতবাদ অপরিচিত ছিল; . . . তারা এ সম্বন্ধে কিছু বলে না।”—অরিজিন এন্ড ইভলিউসান অফ রিলিজিয়ন।
ঐতিহাসিক আর্থার ওয়েগল বলেন: “যীশু খৃষ্ট এরকম কিছুর কথা কখনও উল্লেখ করেন নাই এবং নূতন নিয়মের কোথাও ‘ত্রিত্ব’ শব্দ পাওয়া যায় না। ধারনাটি আমাদের প্রভুর মৃত্যুর তিনশত বৎসর পরে কেবল মাত্র গির্জ্জাতে গ্রহণ করা হয়।”—দি পেগানিজম ইন আওয়ার খৃষ্টীয়ানিটী।
এইরূপে, না ইব্রীয় শাস্ত্রাবলীর ৩৯টি পুস্তক না খৃষ্টীয় গ্রীক শাস্ত্রাবলীর প্রামাণ্য ২৭টি অনুপ্রাণিত পুস্তকে ত্রিত্বের কোন স্পষ্ট শিক্ষা দেয়।
প্রাথমিক খৃষ্টীয়ানরা কি শিখিয়েছিল?
প্রাথমিক খৃষ্টীয়ানেরা কি ত্রিত্বের শিক্ষা দিয়েছিল? ঐতিহাসিকগণ এবং ঈশ্বরতত্ত্ববিদদের নিচের কথাগুলি শুনুন:
“পুরাকালীন খৃষ্টধর্ম্মে ত্রিত্বের কোন স্পষ্ট শিক্ষা দেওয়া হত না যেমন নাকি পরবর্ত্তীকালে ক্রীডগুলিতে বড় করে দেখানো হয়েছে।”—দি নিউ ইন্টারন্যাশ্যনাল ডিকসেনারী অফ নিউ টেস্টামেন্ট থিওলজি।
“প্রাথমিক খৃষ্টীয়ানেরা প্রথমে [ত্রিত্বকে] তাদের বিশ্বাসে আনার কথা ভাবে নাই। তারা পিতা ঈশ্বর এবং ঈশ্বরের পুত্র, যীশুখৃষ্টকে তাদের ভক্তি দিত এবং তারা পবিত্র আত্মাকে . . . স্বীকার করেছিল; কিন্তু এই তিনটি যে প্রকৃতই ত্রিত্ব, সম--কক্ষ এবং একব্যক্তিতে একতাবদ্ধ এই ধারনার লেশ ছিল না।”—দি পেগানিজম ইন আওয়ার খৃষ্টীয়ানিটি।
“প্রথমে খৃষ্টীয়ান বিশ্বাসে ত্রিত্ব ছিল না . . . এটা প্রেরিত এবং প্রেরিতদের পরবর্ত্তী যুগে ছিল না, যেমন [নূতন নিয়ম] এবং অন্যান্য প্রাথমিক খৃষ্টীয়ান
লেখাতে প্রতিফলিত হয়।”—এনসাইক্লোপিডিয়া অফ রিলিজিয়ন এন্ডএথিকস।“৪র্থ শতাব্দীর শেষের পূর্ব্বে ‘তিন ব্যক্তিতে এক ঈশ্বর’ এই শিক্ষা দৃঢ়রূপে প্রতিষ্ঠিত হয় নাই; খৃষ্টীয় জীবন এবং বিশ্বাসে অবশ্যই সম্পূর্ণরূপে প্রবেশ করে নাই . . . প্রেরিতদের শিক্ষাপ্রাপ্ত প্রাচীন খৃষ্টায়ানদের মধ্যে এই ধরনের মনোভাব বা দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষীনতম রেখাও ছিল না।”—নিউ ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া।
নাইসিন–পুর্ব্ব ধর্ম্মীয় শিক্ষকরা কি শিক্ষা দিয়েছিল
খৃষ্টের জন্মের পরে প্রথম শতাব্দীগুলিতে নাইসিন-পূর্ব্ব ধর্ম্মীয় শিক্ষকরা ধর্ম্মীয় শিক্ষা পরিচালিত করত বলে স্বীকার করা হয়। তারা যা শিক্ষা দিত তা আগ্রহজনক।
জাসটিন মার্টার, ১৬৫ খৃষ্টাব্দের কাছাকাছি মারা যান। তিনি মনুষ্যপূর্ব্ব যীশুকে একজন সৃষ্টি দূত বলেছিলেন যিনি “সমস্ত সৃষ্টির স্রষ্টা ঈশ্বর থেকে আলাদা”। তিনি বলেছিলেন যে যীশু ঈশ্বর থেকে নিকৃষ্ট ছিলেন এবং “কখনও স্রষ্টার . . . ইচ্ছা ব্যতিরেকে কিছু করতেন না এবং বলতেন না।”
আইরেনিয়াস, যিনি ২০০ খৃষ্টাব্দের কাছাকাছি মারা যান, বলেন যে মনুষ্যপূর্ব্ব যীশুর ঈশ্বর থেকে আলাদা অস্তিত্ব ছিল এবং তাঁর থেকে নিকৃষ্ট ছিলেন। তিনি দেখান যে যীশু “একমাত্র সত্য ঈশ্বরের” সমান নন যিনি “সর্ব্বশ্রেষ্ঠ এবং সব।”
আলেকজান্দ্রিয়ার ক্লিমেন্ট, যিনি ২১৫ খৃষ্টাব্দের কাছাকাছি মারা যান, যীশুকে তাঁর মনুষ্যপূর্ব্ব অস্তিত্বে “এক সৃষ্টি” বলেন কিন্তু ঈশ্বরকে “অসৃষ্ট এবং ধ্বংসহীন এবং একমাত্র সত্য ঈশ্বর” বলে আখ্যাত করেন। তিনি বলেন যে পুত্র “একমাত্র সর্ব্বশক্তিমান পিতার পরে” কিন্তু তাঁর সমান নন
টারটুলিয়ান, যিনি ২৩০ খৃষ্টাব্দের কাছাকাছি মারা যান, ঈশ্বর সর্ব্বশক্তিমান এই শিক্ষা দেন। তিনি মন্তব্য করেন: “পিতা পুত্র (অপরজন) হতে আলাদা, কারণ তিনি মহান; কারণ যিনি জন্মদেন তিনি জাত থেকে আলাদা, যিনি প্রেরণ করেন তিনি প্রেরিত ব্যক্তি থেকে আলাদা।” তিনি আরো বলেন: “সময় ছিল যখন পুত্র ছিল না. . . সব কিছুর পূর্ব্বে ঈশ্বর একা ছিলেন।”
হিপোলাইটাস, ২৩৫ খৃষ্টাব্দের কাছাকাছি মারা যান। তিনি বলেন যে “ঈশ্বর হলেন এক ঈশ্বর, প্রথম এবং একমাত্র ব্যক্তি, সবকিছুর স্রষ্টা এবং প্রভু,” যার “সমকালীন বা [সমবয়স্ক] কিছু নেই। . . . কিন্তু তিনি একা ছিলেন, স্বয়ং একাকী ছিলেন, যার ইচ্ছাহেতু সবকিছু অস্তিত্ব প্রাপ্ত হয়েছে”, যেমন সৃষ্ট মনুষ্য পূর্ব্ব যীশু।
অরিগান, যিনি ২৫০ খৃষ্টাব্দের কাছাকাছি মারা যান, বলেন যে “পিতা এবং পূত্র বাস্তবে দুই জন . . . তাদের গুণও দুইরকম” এবং “পিতার সাথে তুলনাতে [পুত্র] খুব ক্ষুদ্র আলো।”
ঐতিহাসিক প্রমাণাদি একযোগ করে, এলভান ল্যামসন দি চার্চ্চ অফ দি র্ফাষ্ট থ্রি সেনচুরিতে বলেন: “অধুনা জনপ্রিয় ত্রিত্ব শিক্ষাকে. . . জাসটিন [মার্টার] সমর্থন করেন নি এবং নাইসিন-পুর্ব্ব সমস্ত ধর্ম্ম শিক্ষাকেরাও করেন নি অর্থাৎ খৃস্টের জন্মের পরে তিন শতাব্দী পর্যন্ত সমস্ত খৃস্টীয়ান লেখকরা। এটা সত্য যে, তারা পিতা, পুত্র এবং . . . পবিত্র আত্মা সম্বন্ধে বলেছেন, কিন্তু আজ ত্রিত্ববাদীরা যেমন স্বীকার করেন তারা সম-কক্ষ, একে বহুর আধার, একে তিন এরূপ ভাবে নয়। বরং উল্টোটাই সত্য।”
এইরূপে, বাইবেল এবং ইতিহাস প্রমাণ করে যে ত্রিত্ব সমগ্র বাইবেল সময়ে এবং পরবর্ত্তী বহু শতাব্দীতে অজ্ঞাত ছিল।
[৭ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]
“কোন পবিত্র লেখক ঈশ্বরত্বে (ত্রিত্বের) অস্তিত্ব সম্বন্ধে এমনকি সন্দেহ করেছে এরকম কোন প্রমাণ নেই।”--দি ট্রায়ুন গড।