সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

পাঠ ৫৮

যিহোবার প্রতি অনুগত থাকুন

যিহোবার প্রতি অনুগত থাকুন

সত্য খ্রিস্টানেরা যেকোনো পরিস্থিতিতে যিহোবার প্রতি অনুগত থাকতে চায়। তারা এই বিষয়ে দৃঢ় যে, পরিস্থিতি যাই আসুক না কেন, তারা যিহোবাকে সেবা করা বন্ধ করবে না। আমরা নিশ্চিত যে, আপনিও তা-ই চান। যিহোবা আপনার আনুগত্যকে অনেক মূল্যবান হিসেবে দেখে থাকেন। (পড়ুন, ১ বংশাবলি ২৮:৯.) কিন্তু প্রশ্ন হল, এমন কোন কোন পরিস্থিতি রয়েছে, যেখানে অনুগত থাকা আপনার জন্য কঠিন বলে মনে হতে পারে? আর এই পরিস্থিতিগুলোতে আপনি কী করতে পারেন? আসুন তা জানি।

১. কীভাবে কিছু ব্যক্তি যিহোবার প্রতি অনুগত থাকাকে কঠিন করে তুলতে পারে?

কিছু ব্যক্তি চেষ্টা করবে যেন আমরা যিহোবাকে সেবা করা বন্ধ করে দিই। এটা কারা করতে পারে? কিছু ব্যক্তি রয়েছে, যারা সত্য ছেড়ে চলে গিয়েছে আর তারা এখন অন্যদের বিশ্বাস নষ্ট করে দিতে চায়। তাই, তারা সংগঠনের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা ছড়িয়ে থাকে। এই ব্যক্তিদের ধর্মভ্রষ্ট বলা হয়। আবার কিছু ধর্মগুরু রয়েছে, যারা সাক্ষিদের সম্বন্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে থাকে, যাতে মণ্ডলীতে থাকা ব্যক্তিরা সেগুলো বিশ্বাস করে আর সত্য ছেড়ে চলে যায়। আমরা যদি এই ধরনের ব্যক্তিদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক করি, তাদের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা অথবা ব্লগ পড়ি, তাদের ওয়েবসাইটে যাই কিংবা তাদের কোনো ভিডিও দেখি, তা হলে এটা আমাদের জন্য খুবই বিপদজনক হতে পারে। যিশুর দিনেও কিছু ধর্মগুরু লোকদের যিহোবাকে সেবা করার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছিল। যিশু তাদের সম্বন্ধে বলেছিলেন, “তাদের নিজেদের মতো থাকতে দাও। তারা তো অন্ধ পথ প্রদর্শক। কোনো অন্ধ যদি অন্ধকে পথ দেখায়, তা হলে উভয়েই গর্তে পড়বে।”মথি ১৫:১৪.

২. কীভাবে আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত দেখাতে পারে, আমরা যিহোবার প্রতি অনুগত রয়েছি?

আমরা যদি যিহোবাকে ভালোবাসি, তা হলে আমরা মিথ্যা ধর্মের সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্ক রাখব না। তাই, আমাদের চিন্তা করতে হবে, আমরা যে-চাকরি করি অথবা যে-সংগঠন বা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি কিংবা অন্য যা-কিছুই করি না কেন, সেটার সঙ্গে মিথ্যা ধর্মের কি কোনো সম্পর্ক রয়েছে? যিহোবা আমাদের সাবধান করে বলেন, “হে আমার লোকেরা, তোমরা [মহতী বাবিলের] মধ্য থেকে বের হয়ে এসো।”প্রকাশিত বাক্য ১৮:২, ৪.

গভীরভাবে গবেষণা করুন

আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে যিহোবার প্রতি অনুগত থাকতে চাই। কিন্তু, আমরা কী করতে পারি, যাতে কেউ আমাদের এই ইচ্ছাকে দুর্বল করে দিতে না পারে? আর কীভাবে আমরা মহতী বাবিল থেকে বেরিয়ে এসে দেখাতে পারি যে, আমরা যিহোবার প্রতি অনুগত রয়েছি? আসুন তা জানি।

৩. মিথ্যা শিক্ষকদের কাছ থেকে সাবধান থাকুন

যিহোবার সংগঠন সম্বন্ধে কেউ যখন আমাদের কোনো খারাপ কথা বলে, তখন আমাদের কী করা উচিত? হিতোপদেশ ১৪:১৫ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:

  • কেন আমাদের সমস্ত কথা অন্ধের মতো বিশ্বাস করা উচিত নয়?

২ যোহন ৯-১১ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করুন:

  • ধর্মভ্রষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আমাদের কেমন আচরণ করা উচিত?

  • ধর্মভ্রষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আমরা হয়তো সরাসরি কথা বলি না। কিন্তু, কীভাবে তাদের শিক্ষা আমাদের কাছে পৌঁছে যেতে পারে?

  • যিহোবা এবং তাঁর সংগঠনের বিরুদ্ধে যে-মিথ্যা কথাগুলো ছড়ানো হয়, সেগুলোর প্রতি আপনি যদি মনোযোগ দেন, তা হলে যিহোবার কেমন লাগবে?

৪. কোনো ভাই অথবা বোন যখন পাপ করেন, তখনও যিহোবার প্রতি অনুগত থাকুন

আমরা যদি জানতে পারি যে, মণ্ডলীতে কেউ গুরুতর পাপ করেছে, তা হলে আমাদের কোন দায়িত্ব রয়েছে? এটা জানার জন্য এই নীতিটা লক্ষ করুন। লেবীয় পুস্তক ৫:১ পদ পড়ুন।

এই শাস্ত্রপদ অনুযায়ী, আমরা যদি কোনো ব্যক্তির গুরুতর পাপ সম্বন্ধে জানি, তা হলে আমরা যা জানি, তা মণ্ডলীর প্রাচীনদের কাছে গিয়ে জানানো উচিত। তবে, তার আগে সেই ব্যক্তিকে আমাদের বলা উচিত, যাতে তিনি প্রাচীনদের কাছে গিয়ে নিজের পাপ স্বীকার করেন। তিনি যদি তা না করেন, তা হলে আমাদের কী করা উচিত? প্রাচীনদের কাছে গিয়ে আমরা সমস্ত কিছু বলে দেব কারণ আমরা যিহোবার প্রতি অনুগত থাকতে চাই। এই পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে কীভাবে আমরা নীচে দেওয়া ব্যক্তিদের প্রতি অনুগত প্রেমের প্রমাণ দিচ্ছি . . .

  • যিহোবা ঈশ্বরের প্রতি?

  • যে-ব্যক্তি পাপ করেছেন, তার প্রতি?

  • মণ্ডলীর ভাই-বোনদের প্রতি?

একজন ভাই যদি ভুল পথে চলতে শুরু করেন, তা হলে তাকে দ্রুত সাহায্য করুন!

৫. মহতী বাবিল থেকে দূরে থাকুন

লূক ৪:৮ এবং প্রকাশিত বাক্য ১৮:৪, ৫ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করুন:

  • আমি কি এখনও কোনো মিথ্যা ধর্মের সংগঠনের সদস্য আর সেই সংগঠনে কি এখনও আমার নাম রয়েছে?

  • আমি কি এমন কোনো সংগঠনের সদস্য, যেটার সঙ্গে মিথ্যা ধর্মের সম্পর্ক রয়েছে?

  • আমি কি এমন কোনো চাকরি করি, যেখানে আমাকে এমন কাজ করতে হয়, যেটা মিথ্যা ধর্মকে সমর্থন করে?

  • এইরকম আরও ক্ষেত্র কি রয়েছে, যেখানে আমাকে মিথ্যা ধর্ম থেকে আলাদা থাকতে হবে?

  • এর মধ্যে কোনো একটার উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তা হলে আমাকে কোন পরিবর্তন করতে হবে?

এই সমস্ত ক্ষেত্রে আমরা এমন সিদ্ধান্তগুলো নিতে চাই, যাতে আমাদের বিবেক শুদ্ধ থাকে আর লোকেরা যেন এটা দেখতে পায় যে, আমরা যিহোবার প্রতি অনুগত রয়েছি।

যদি কোনো সংগঠন অথবা সংস্থা (চ্যারিটি) প্রয়োজন রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য সাহায্য চায়, কিন্তু তাদের সঙ্গে মিথ্যা ধর্মের সম্পর্ক রয়েছে, তা হলে আপনি কি তাদের সাহায্য করবেন?

কেউ কেউ বলে থাকে: “আমি যদি না-ই জানতে পারি, ধর্মভ্রষ্ট ব্যক্তিরা কী শেখায়, তা হলে কীভাবে তাদের ভুল বলে প্রমাণ করব?”

  • এইরকম চিন্তা করা কি বুদ্ধিমানের কাজ হবে? কেন আপনি তা মনে করেন?

সারাংশ

যিহোবার প্রতি অনুগত থাকার জন্য আমরা সেই ব্যক্তিদের সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্ক রাখব না, যারা আমাদের ভ্রান্ত করে।

পুনরালোচনা

  • কেন ধর্মভ্রষ্ট ব্যক্তিদের কথা শোনা আমাদের উচিত নয়?

  • আমরা যদি জানতে পারি, আমাদের কোনো ভাই অথবা বোন গুরুতর পাপ করেছে, তখন আমাদের কী করা উচিত?

  • কীভাবে আমরা মিথ্যা ধর্ম থেকে বেরিয়ে আসার সাবধানবাণীর প্রতি মনোযোগ দিতে পারি?

লক্ষ্য

আরও জানুন

যিহোবার সাক্ষিদের সম্বন্ধে লোকেরা যখন মিথ্যা কথা ছড়ায়, তখন আমরা কী করতে পারি? আসুন তা জানি।

“আপনার কাছে কি সঠিক তথ্য রয়েছে?” (প্রহরীদুর্গ, আগস্ট, ২০১৮)

আপনি কীভাবে জানতে পারবেন, কিছু নির্দিষ্ট কাজ অথবা সংগঠন মহতী বাবিলকে সমর্থন করে? আসুন তা জানি।

“‘শেষ কালের’ এই শেষ সময়ে ক্রমাগত ব্যস্ত থাকুন” (প্রহরীদুর্গ, অক্টোবর ২০১৯, অনু ১৬-১৮)

আমাদের বিশ্বাস দুর্বল করে দেওয়ার জন্য কিছু বিরোধী কী করেছিল?

প্রতারিত হবেন না (৯:৩২)

“আমি ছোটো থেকেই ঈশ্বরকে খুঁজছিলাম,” এই জীবনকাহিনীতে এমন একজন ব্যক্তি সম্বন্ধে বলা হয়েছে, যিনি শিন্টো ধর্মের পুরোহিত ছিলেন। কিন্তু, পরে তিনি মিথ্যা ধর্ম থেকে পুরোপুরিভাবে বেরিয়ে এসেছিলেন। আসুন তার সম্বন্ধে জানি।

“বাইবেল জীবনকে পরিবর্তন করে” (প্রহরীদুর্গ, জুলাই ১, ২০১১)