কেন বাইবেল পরীক্ষা করবেন?
আপনি কি বাইবেলের সঙ্গে পরিচিত আছেন? এই অদ্বিতীয় বইটি ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বিতরিত বই। সমস্ত সংস্কৃতির লোকেরা এই বইয়ের বার্তাকে সান্ত্বনা ও আশার এক উৎস এবং এর উপদেশকে রোজকার জীবনের জন্য ব্যবহারিক বলে দেখতে পেয়েছে। তা সত্ত্বেও, আজকে অনেকে বাইবেল সম্বন্ধে সামান্যই জানে। আপনি ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি হোন বা না-ই হোন, আপনি হয়তো এই বইয়ের বিষয়ে জানতে চান। আপনাকে বাইবেল সম্বন্ধে এক সারাংশ প্রদান করার জন্য এই ব্রোশারটি তৈরি করা হয়েছে।
একটি বাইবেল নিয়ে পড়তে শুরু করার আগে, এই বইকে কীভাবে বিন্যাস করা হয়েছে, তা জানা আপনার জন্য সাহায্যকারী হবে। এ ছাড়া, পবিত্র শাস্ত্র হিসেবে পরিচিত বাইবেল আসলে ৬৬টি বই অথবা খণ্ডের সমন্বয়, যেটি আদিপুস্তক দিয়ে শুরু হয়ে প্রকাশিত বাক্য বা অ্যাপোক্যালিপ্স্ দিয়ে শেষ হয়েছে।
বাইবেলের গ্রন্থকার কে? এটা এক আগ্রহজনক প্রশ্ন। প্রকৃত বিষয়টা হল, এই শাস্ত্র প্রায় ৪০ জন ব্যক্তির দ্বারা প্রায় ১,৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখা হয়েছিল। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয়টা হল, এই ব্যক্তিরা নিজেদেরকে বাইবেলের গ্রন্থকার বলে দাবি করেনি। তাদের মধ্যে একজন লেখক লিখেছিলেন: “প্রত্যেক শাস্ত্র-লিপি ঈশ্বর-নিশ্বসিত।” (২ তীমথিয় ৩:১৬, পাদটীকা) আরেকজন লেখক বলেছিলেন: “আমার দ্বারা সদাপ্রভুর [“যিহোবার,” NW] আত্মা বলিয়াছেন, তাঁহার বাণী আমার জিহ্বাগ্রে রহিয়াছে।” (২ শমূয়েল ২৩:২) এভাবে লেখকরা দাবি করেছিল যে, নিখিলবিশ্বের সর্বোচ্চ শাসক যিহোবা ঈশ্বর হলেন বাইবেলের গ্রন্থকার। লেখকরা প্রকাশ করে যে, ঈশ্বর চান যেন মানুষ তাঁর নিকটবর্তী হতে পারে।
বাইবেল বোঝার জন্য আরেকটা বিষয় অপরিহার্য। শাস্ত্রের একটি সাধারণ মূলভাব রয়েছে: তাঁর স্বর্গীয় রাজ্যের মাধ্যমে মানবজাতিকে শাসন করার বিষয়ে ঈশ্বরের অধিকারের সত্যতা প্রতিপাদন। পরবর্তী পৃষ্ঠাগুলোতে আপনি দেখতে পাবেন যে, কীভাবে এই মূলভাব আদিপুস্তক থেকে প্রকাশিত বাক্যের প্রতিটা অংশে বিদ্যমান।
ওপরে উল্লেখিত কথাগুলো মনে রেখে, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় বই বাইবেলে প্রাপ্ত বার্তাটি এখন বিবেচনা করুন।
a তারিখ প্রকাশ করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এই ব্রোশারে সা.কা. অর্থ “সাধারণ কাল” এবং সা.কা.পূ. অর্থ “সাধারণ কাল পূর্ব।” আপনি দেখতে পাবেন যে, পৃষ্ঠাগুলোর নীচে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর যে-সময় সারণি রয়েছে, তাতে এই বিষয়টা তুলে ধরা হয়েছে।