গল্প ১১
প্রথম রংধনু
তুমি কি জান, নোহ ও তার পরিবার জাহাজ থেকে বের হয়েই সবচেয়ে প্রথমে কোন কাজটা করেছিল? তিনি ঈশ্বরের উদ্দেশে বলি উৎসর্গ করেছিলেন অথবা বলতে পারো এক উপহার দিয়েছিলেন। তুমি নীচের ছবিতে তাকে সেটা করতে দেখতে পাচ্ছ। ঈশ্বর মহাপ্লাবন থেকে তার পরিবারকে রক্ষা করেছেন বলে নোহ তাঁকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য এই পশুগুলো উপহার হিসেবে উৎসর্গ করেছিলেন।
তোমার কি মনে হয় যে, যিহোবা এই উপহারের জন্য খুশি হয়েছিলেন? হ্যাঁ, তিনি খুশি হয়েছিলেন। আর তাই তিনি নোহের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তিনি আর কখনো এই জগৎকে জলপ্লাবন দ্বারা ধ্বংস করবেন না।
খুব শীঘ্র ভূমি শুকিয়ে গিয়েছিল আর নোহ ও তার পরিবার জাহাজের বাইরে এক নতুন জীবন আরম্ভ করেছিল। ঈশ্বর তাদেরকে আশীর্বাদ করেছিলেন এবং বলেছিলেন: ‘তোমাদের অবশ্যই অনেক সন্তান হবে। তোমাদের সংখ্যা অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না পুরো পৃথিবীতে মানুষ বাস করে।’
কিন্তু পরে, যখন লোকেরা সেই মহাপ্লাবনের কথা শুনবে, তখন তারা হয়তো ঠিক একইরকম জলপ্লাবন আবারও ঘটবে বলে ভয় পেতে পারে। তাই, ঈশ্বর এমন কিছু দিয়েছিলেন, যা লোকেদেরকে তাঁর এই প্রতিজ্ঞার বিষয়ে মনে করিয়ে দেবে যে, তিনি আর কখনো পুরো পৃথিবীতে জলপ্লাবন আনবেন না। তুমি কি জান, তাদের সেই বিষয়ে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি কী দিয়েছিলেন? সেটা ছিল এক রংধনু।
বৃষ্টির পর যখন রোদ ওঠে, তখন আকাশে প্রায়ই রংধনু দেখা যায়। রংধনুতে নানারকম সুন্দর রং থাকে। তুমি কি কখনো রংধনু দেখেছ? তুমি কি ছবির রংধনুটা দেখতে পাচ্ছ?
ঈশ্বর এই কথা বলেছিলেন: ‘আমি প্রতিজ্ঞা করছি, পৃথিবীর সমস্ত মানুষ ও পশুপাখি আর কখনো জলপ্লাবন দ্বারা ধ্বংস হবে না। আমি মেঘে আমার রংধনু দিলাম। আর যখনই রংধনু দেখা যাবে, তখনই আমি এটা দেখব ও আমার এই প্রতিজ্ঞা স্মরণ করব।’
তাই, যখনই তুমি কোনো রংধনু দেখবে, তখন তা তোমাকে কোন বিষয়টা মনে করিয়ে দেবে? হ্যাঁ, ঈশ্বরের এই প্রতিজ্ঞা যে, তিনি আর কখনো মহাপ্লাবন দ্বারা এই জগৎকে ধ্বংস করবেন না।
আদিপুস্তক ৮:১৮-২২; ৯:৯-১৭.