গল্প ৮৪
একজন স্বর্গদূত মরিয়মের কাছে আসেন
এই সুন্দরী মহিলাটি হলেন মরিয়ম। তিনি একজন ইস্রায়েলীয় আর তিনি নাসরৎ নগরে বাস করেন। ঈশ্বর জানেন, তিনি খুবই চমৎকার একজন নারী। তাই, ঈশ্বর তার সঙ্গে কথা বলার জন্য স্বর্গদূত গাব্রিয়েলকে পাঠিয়েছেন। তুমি কি জান, গাব্রিয়েল মরিয়মকে কী বলতে এসেছেন? এসো দেখি।
গাব্রিয়েল তাকে বলেন, ‘হে ঈশ্বরের কৃপাধন্য নারী, তোমার মঙ্গল হোক। যিহোবা তোমার সঙ্গে আছেন।’ মরিয়ম আগে কখনো এই ব্যক্তিকে দেখেননি। তাই, তিনি খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েন কারণ তিনি এর মানে বুঝতে পারছেন না। কিন্তু, ঠিক তখনই গাব্রিয়েল তার ভয় দূর করে তাকে শান্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘ভয় পেও না, মরিয়ম। যিহোবা তোমার ওপর অনেক খুশি হয়েছেন। আর তাই তিনি তোমার প্রতি এক চমৎকার কাজ করতে যাচ্ছেন। খুব শীঘ্র তোমার একটি সন্তান হবে। আর তুমি তাঁকে যিশু বলে ডাকবে।’
গাব্রিয়েল আরও ব্যাখ্যা করেন: ‘এই শিশু মহান হবেন এবং তাঁকে পরাৎপর ঈশ্বরের পুত্র বলা হবে। যিহোবা তাঁকে দায়ূদের মতো রাজা করবেন। কিন্তু, যিশু চিরকালীন রাজা হবেন আর তাঁর রাজ্য কখনো শেষ হবে না!’
‘কীভাবে এসব হবে?’ মরিয়ম জিজ্ঞেস করেন। ‘আমার তো বিয়েই হয়নি। আমি কোনো পুরুষের সঙ্গে থাকিনি, তাহলে কীভাবে আমার সন্তান হতে পারে?’
‘ঈশ্বরের শক্তি তোমার ওপরে আসবে,’ গাব্রিয়েল উত্তর দেন। ‘তাই সেই শিশুকে ঈশ্বরের পুত্র বলা হবে।’ এরপর, তিনি মরিয়মকে বলেন: ‘তোমার আত্মীয় ইলীশাবেতের কথা মনে করে দেখো। লোকেরা বলত যে, তার আর সন্তানের জন্ম দেওয়ার মতো বয়স নেই। কিন্তু, খুব শীঘ্র তার একটি ছেলে হবে। তাই তুমি বুঝতে পারছ, ঈশ্বরের অসাধ্য কিছুই নেই।’
মরিয়ম সঙ্গেসঙ্গে বলেন: ‘আমি যিহোবার দাসী! আপনি আমাকে যা যা বলেছেন, আমার প্রতি তা-ই হোক।’ তখন সেই স্বর্গদূত চলে যান।
মরিয়ম তখন তাড়াতাড়ি ইলীশাবেতের সঙ্গে দেখা করতে যান। ইলীশাবেৎ যখন মরিয়মের গলা শোনেন, তখন তার পেটের মধ্যে শিশুটি আনন্দে নেচে ওঠে। ইলীশাবেৎ তখন ঈশ্বরের আত্মায় পূর্ণ হয়ে ওঠেন এবং মরিয়মকে বলেন: ‘নারীদের মধ্যে তুমি ধন্য।’ মরিয়ম তিন মাস ইলীশাবেতের সঙ্গে থাকেন আর এরপর নাসরতে ফিরে যান।
যোষেফ নামে একজন পুরুষের সঙ্গে মরিয়মের বিয়ে হতে যাচ্ছে। কিন্তু, যোষেফ যখন জানতে পারেন যে, মরিয়মের সন্তান হবে, তখন তিনি মনে করেন, মরিয়মকে তার বিয়ে করা উচিত নয়। তখন ঈশ্বরের স্বর্গদূত তাকে বলেন: ‘মরিয়মকে তোমার স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে ভয় পেও না। কারণ স্বয়ং ঈশ্বরই তাকে সন্তান দিয়েছেন।’ তাই, মরিয়ম ও যোষেফ বিয়ে করে আর তারা যিশুর জন্মের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।