ইয়োব ৩৭:১-২৪
৩৭ “এতে আমার হৃদয় কেঁপে উঠলএবং বুক ধুকধুক করতে লাগল।
২ ঈশ্বরের জোরালো কণ্ঠস্বরএবং তাঁর মুখ থেকে যে-গর্জন বের হচ্ছে,তা মন দিয়ে শুনুন!
৩ আকাশের নীচে সমস্ত জায়গায় তাঁর আওয়াজ শোনা যায়,তিনি পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত বিদ্যুৎ চমকান।
৪ তারপর, ভয়ংকর আওয়াজ শোনা যায়।
ঈশ্বরের জোরালো কণ্ঠস্বর মেঘগর্জনের মতো।
যখন তাঁর কণ্ঠস্বর শোনা যায়,তখন বিদ্যুৎ চমকাতে থাকে।
৫ ঈশ্বর আশ্চর্যজনক উপায়ে নিজের গর্জন শোনান,তিনি এমন মহৎ মহৎ কাজ করেন, যেগুলো বোঝার ক্ষমতা আমাদের নেই।
৬ তিনি তুষারকে বলেন, ‘পৃথিবীতে পড়ো’আর বৃষ্টিকে বলেন, ‘মুষলধারে পড়ো।’
৭ এভাবে ঈশ্বর সমস্ত মানুষের কাজ থামিয়ে দেন,*যাতে প্রত্যেক মরণশীল মানুষ তাঁর কাজ সম্বন্ধে জানতে পারে।
৮ বন্যপশুরাও নিজেদের গুহায় পালিয়ে যায়এবং নিজেদের গর্তে থাকে।
৯ একদিকে ঝোড়ো বাতাস নিজের জায়গা থেকে বের হয়,অন্যদিকে উত্তরের বাতাস কনকনে ঠাণ্ডা নিয়ে আসে।
১০ ঈশ্বরের নিঃশ্বাসে জল বরফ হয়ে যায়,অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত জলও জমে যায়।
১১ তিনি মেঘে জলের বিন্দু ভরেনএবং মেঘের মধ্যে বিদ্যুৎ ছড়িয়ে দেন।
১২ তাঁর পরিচালনায় মেঘ ঘুরে বেড়ায়,তিনি তাদের পৃথিবীতে যে-কাজ দেন, তারা সেই কাজ সম্পন্ন করে।
১৩ কাউকে শাস্তি দেওয়ার জন্য হোক,মাটিকে ভেজানোর জন্য হোক কিংবা কারো প্রতি অটল প্রেম দেখানোর জন্য হোক,ঈশ্বর যেভাবে চান, তিনি সমস্ত কিছু সেভাবেই ঘটান।
১৪ হে ইয়োব, শুনুন!
একটু থেমে ঈশ্বরের আশ্চর্যজনক কাজগুলো নিয়ে ভালোভাবে চিন্তা করুন!
১৫ আপনি কি জানেন, কীভাবে ঈশ্বর মেঘকে নিয়ন্ত্রণ করেন*আর কীভাবে তিনি মেঘ থেকে বিদ্যুৎ চমকান?
১৬ আপনি কি জানেন, আকাশে কীভাবে মেঘ ভেসে বেড়ায়?
এই সমস্ত কিছুই তাঁর আশ্চর্যজনক কাজ, যাঁর কাছে সমস্ত বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান রয়েছে।
১৭ যখন দক্ষিণের বাতাস বয়, তখন কেন পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে যায়?
বলুন, কেন আপনার পোশাক গরম হয়ে যায়?
১৮ আপনি কি ঈশ্বরের সঙ্গে আকাশকে বিস্তৃত করতে পারেন?
সেটাকে ধাতব আয়নার মতোই মজবুত করতে পারেন?
১৯ আপনিই বলুন, আমরা ঈশ্বরকে কী বলব?আমরা তো কিছুই জানি না, তাই কিছুই বলতে পারি না।
২০ কেউ কি তাঁকে বলতে পারে, আমি কিছু বলতে চাই?
বা কারো কাছে কি এমন কোনো তথ্য রয়েছে, যেটা তাঁকে জানানো উচিত?
২১ আকাশ যতই উজ্জ্বল হোক না কেন,যতক্ষণ না বাতাস মেঘের পর্দা সরিয়ে দেয়,ততক্ষণ পর্যন্ত আলো* দেখা যায় না।
২২ উত্তর দিক থেকে যখন সোনালি আলোর ছটা এসে পড়ে,তখন ঈশ্বরের মহিমা দেখে সবাই অবাক হয়ে যায়।
২৩ সর্বশক্তিমানকে বোঝা আমাদের সাধ্যের বাইরে,তিনি খুবই শক্তিশালী,তিনি কখনো অবিচার করেন না,তিনি সবসময় সঠিক কাজ করেন।
২৪ তাই, লোকদের তাঁকে ভয় করা উচিত।
কিন্তু, যারা নিজেদের বিজ্ঞ বলে মনে করে, তিনি তাদের প্রতি অনুগ্রহ দেখান না।”
পাদটীকাগুলো
^ আক্ষ., “তিনি প্রত্যেক মানুষের হাতে সিলমোহর লাগিয়ে দেন।”
^ বা “মেঘকে আদেশ দেন।”
^ অর্থাৎ সূর্যের আলো।