হিতোপদেশ ৩:১-৩৫

৩  ছেলে আমার, আমার শেখানো বিষয়গুলো* ভুলে যেয়ো নাআর আমার আজ্ঞাগুলো সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে পালন কোরো।  ২  তখন তোমার জীবনে অনেকগুলো দিন যুক্ত হবেআর তুমি বছরের পর বছর ধরে শান্তিতে থাকবে।  ৩  অটল প্রেম এবং বিশ্বস্ততাকে* নিজের কাছ থেকে দূরে চলে যেতে দিয়ো না। সেগুলোকে তোমার গলায় বেঁধে রাখোআর তোমার হৃদয়ের ফলকে লিখে রাখো।  ৪  তখন তুমি ঈশ্বর ও মানুষের চোখে অনুগ্রহ পাবেআর তাঁরা বুঝবেন যে, তোমার মধ্যে বোঝার ক্ষমতা রয়েছে।  ৫  তুমি নিজের বুদ্ধির উপর নির্ভর কোরো নাবরং সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে যিহোবার উপর আস্থা রাখো।  ৬  সমস্ত কাজ করার সময় তাঁর চিন্তাভাবনার বিষয়ে খেয়াল রেখো,তখন তিনি তোমাকে সঠিক পথ দেখাবেন।*  ৭  নিজেকে বেশি বিজ্ঞ বলে মনে কোরো না। যিহোবাকে ভয় করো আর মন্দতা থেকে সরে যাও।  ৮  এতে তোমার শরীর* সুস্থসবল হবেআর তোমার হাড়গুলো সতেজ হবে।  ৯  তোমার মূল্যবান জিনিস দিয়ে যিহোবাকে সমাদর করো,তোমার সমস্ত ফসলের* প্রথম ফল* উৎসর্গ করে তাঁকে সমাদর করো, ১০  তা হলে তোমার ভাণ্ডার ঘরগুলো সম্পূর্ণরূপে ভরতি থাকবেআর তোমার আঙুর পেষাই করার গর্তগুলো নতুন দ্রাক্ষারসে* উপচে পড়বে। ১১  ছেলে আমার, যিহোবার শাসনকে প্রত্যাখ্যান কোরো না,তিনি যখন ধমক দেন, তখন সেটাকে ঘৃণা কোরো না ১২  কারণ যিহোবা যাদের ভালোবাসেন, তাদের ধমক দেন,ঠিক যেমন বাবা তার ছেলেকে ধমক দেন, যে তার কাছে খুবই প্রিয়। ১৩  সুখী সেই ব্যক্তি, যে প্রজ্ঞা খুঁজে পায়,সুখী সেই ব্যক্তি, যে বিচক্ষণতা অর্জন করে। ১৪  প্রজ্ঞা পাওয়া রুপো পাওয়ার চেয়েও বেশি ভালোআর প্রজ্ঞা লাভ করা* সোনা পাওয়ার চেয়েও বেশি ভালো। ১৫  এটা প্রবালের* চেয়েও বেশি মূল্যবান,তুমি যা-কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কর,সেগুলোর কোনো কিছুর সঙ্গেই এর তুলনা হয় না। ১৬  এর ডান হাতে রয়েছে দীর্ঘ জীবনআর বাঁ-হাতে রয়েছে ধনসম্পদ ও গৌরব। ১৭  এর পথ মনোরম,এর সমস্ত পথে শান্তি রয়েছে। ১৮  যারা প্রজ্ঞাকে ধরে রাখে, তাদের কাছে এটা জীবনবৃক্ষ,যারা এটাকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখে, তাদের সুখী হিসেবে গণ্য করা হবে। ১৯  যিহোবা প্রজ্ঞার দ্বারা পৃথিবীর ভিত্তি স্থাপন করলেন। তিনি বিচক্ষণতার দ্বারা আকাশকে দৃঢ়ভাবে স্থাপন করলেন। ২০  তাঁর জ্ঞানের দ্বারা গভীর জলাশয়গুলো ভাগ হয়ে গেলআর মেঘলা আকাশ থেকে শিশির ঝরে পড়ল। ২১  ছেলে আমার, এগুলো* ভুলে যেয়ো না। উপকারজনক প্রজ্ঞা এবং চিন্তা করার ক্ষমতাকে রক্ষা করো। ২২  এগুলো তোমাকে জীবন দেবেআর এগুলো তোমার গলার হার হয়ে উঠবে। ২৩  তখন তুমি তোমার পথে নিরাপদে চলবেআর তোমার পায়ে হোঁচট লাগবে না। ২৪  তুমি যখন শোবে, তখন তোমার কোনো ভয় থাকবে না,তুমি শোবে আর তোমার খুব ভালো ঘুম হবে। ২৫  তুমি হঠাৎ করে আসা বিপর্যয়কেকিংবা মন্দ ব্যক্তিদের উপর আসা ঝড়কে ভয় পাবে না। ২৬  কারণ যিহোবার উপর তোমার আস্থা থাকবে,তিনি তোমার পা ফাঁদে আটকে পড়তে দেবেন না। ২৭  যাদের উপকার করা উচিত,*তাদের উপকার করার ক্ষমতা যদি তোমার থাকে, তা হলে তা করা থেকে পিছিয়ে যেয়ো না। ২৮  যদি তোমার কোনো প্রতিবেশীকে এখনই কিছু দেওয়ার ক্ষমতা তোমার থাকে,তা হলে তুমি তাকে এই কথা বোলো না, “এখন যাও, কাল এসো, কাল আমি তোমাকে দেব।” ২৯  তোমার প্রতিবেশী যদি তোমার উপর আস্থা রাখে,তা হলে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কোরো না। ৩০  কোনো ব্যক্তি যদি তোমার কোনো ক্ষতি না করে থাকে,তা হলে বিনা কারণে তার সঙ্গে ঝগড়া কোরো না। ৩১  হিংস্র ব্যক্তিকে হিংসা কোরো নাকিংবা তার পথে চোলো না ৩২  কারণ যিহোবা ভণ্ড ব্যক্তিকে ঘৃণা করেন,কিন্তু সৎ ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব রয়েছে। ৩৩  মন্দ ব্যক্তিদের বাড়ির উপর যিহোবার অভিশাপ থাকে,কিন্তু যে সঠিক কাজ করে, তার বাড়িকে তিনি আশীর্বাদ করেন। ৩৪  কারণ তিনি উপহাসকারীদের নিয়ে ঠাট্টা করেন,কিন্তু মৃদুশীল ব্যক্তিদের প্রতি অনুগ্রহ দেখান। ৩৫  বিজ্ঞ ব্যক্তিরা সম্মান পাবে,কিন্তু মূর্খ ব্যক্তিরা এমন বিষয়গুলো নিয়ে গর্ব করে,যেগুলোর মাধ্যমে তারা অপমানিত হয়।

পাদটীকাগুলো

বা “আমার আইন।”
বা “সত্যকে।”
আক্ষ., “তোমার পথ সোজা করবেন।”
আক্ষ., “নাভি।”
বা “উপার্জনের।”
বা “ফসলের সর্বোত্তম অংশ।”
বা “ওয়াইনে।”
বা “আর লাভ হিসেবে প্রজ্ঞা পাওয়া।”
শব্দকোষ দেখুন।
স্পষ্টতই, আগের পদগুলোতে উল্লেখিত ঈশ্বরের গুণগুলোকে নির্দেশ করছে।
বা “তোমার কর্তব্য।”