বংশাবলির প্রথম খণ্ড ২৩:১-৩২

২৩  দায়ূদ যখন অনেক বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন এবং তার মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছিল, তখন তিনি তার ছেলে শলোমনকে ইজরায়েলের রাজা করলেন। ২  তিনি ইজরায়েলের সমস্ত অধ্যক্ষ, যাজক ও লেবীয়কে একত্রিত করলেন। ৩  যে-সমস্ত লেবীয়ের বয়স ৩০ বা তার চেয়ে বেশি ছিল, তাদের সংখ্যা গোনা হল। সেই পুরুষদের সংখ্যা ৩৮,০০০। ৪  এদের মধ্যে ২৪,০০০ জন লেবীয় যিহোবার গৃহের কাজের দেখাশোনা করত, ৬,০০০ জন আধিকারিক* ও বিচারক ছিল, ৫  ৪,০০০ জন দারোয়ান ছিল আর ৪,০০০ জন পুরুষ সেই বাদ্যযন্ত্রগুলো বাজিয়ে যিহোবার প্রশংসা করত, যেগুলোর বিষয়ে দায়ূদ বলেছিলেন, “আমি এগুলো ঈশ্বরের প্রশংসা করার জন্য তৈরি করেছি।” ৬  তারপর, লেবির যে যে ছেলের বংশ থেকে তারা এসেছিল, সেই অনুযায়ী দায়ূদ তাদের আলাদা আলাদা দলে ভাগ* করলেন: গের্শোন, কহাৎ ও মরারি। ৭  গের্শোনীয়দের মধ্য থেকে লাদন ও শিমিয়ি। ৮  লাদনের তিনটি ছেলে: যিহীয়েল, যে প্রধান ছিল, সেথম ও যোয়েল। ৯  শিমিয়ির তিনটি ছেলে: শলোমোৎ, হসীয়েল ও হারণ। এরা সেই বাবার বংশগুলোর প্রধান ব্যক্তি, যাদের লাদনের বংশে গোনা হত। ১০  শিমিয়ির ছেলেরা যহৎ, সীন, যিয়ূশ ও বরিয়। এই চার জন শিমিয়ির ছেলে। ১১  যহৎ প্রধান ছিল আর দ্বিতীয় স্থানে ছিল সীষ। কিন্তু, যিয়ূশ ও বরিয়ের বেশি ছেলে ছিল না, তাই তাদের একটাই বাবার বংশ হিসেবে গোনা হল আর তাদের একটাই কাজ দেওয়া হল। ১২  কহাতের চারটি ছেলে: অম্রম, যিষ্‌হর, হিব্রোণ ও উষীয়েল। ১৩  অম্রমের ছেলেরা হারোণ ও মোশি। কিন্তু, হারোণ এবং তার ছেলেদের চিরকালের জন্য আলাদা করা হয়েছিল, যাতে তারা মহাপবিত্র স্থানকে পবিত্র রাখে, যিহোবার সামনে বলি উৎসর্গ করে, তাঁর সেবা করে এবং তাঁর নামে লোকদের সবসময় আশীর্বাদ করে। ১৪  সত্য ঈশ্বরের দাস মোশির ছেলেদের নাম লেবীয়দের বংশের মধ্যে গোনা হল। ১৫  মোশির ছেলেরা গের্শোম ও ইলীয়েষর। ১৬  গের্শোমের ছেলেদের মধ্য থেকে শবূয়েল প্রধান ছিল। ১৭  ইলীয়েষরের বংশধরদের* মধ্য থেকে তার ছেলে রহবিয় প্রধান ছিল। রহবিয় ছাড়া তার আর কোনো ছেলে ছিল না। কিন্তু, রহবিয়ের অনেক ছেলে ছিল। ১৮  যিষ্‌হরের ছেলেদের মধ্য থেকে শলোমীৎ প্রধান ছিল। ১৯  হিব্রোণের ছেলেদের মধ্যে প্রধান ছিল যিরিয়, দ্বিতীয় স্থানে অমরিয়, তৃতীয় স্থানে যহসীয়েল এবং চতুর্থ স্থানে যিকমিয়াম। ২০  উষীয়েলের ছেলেদের মধ্যে মীখা প্রধান ছিল আর দ্বিতীয় স্থানে ছিল যিশিয়। ২১  মরারির ছেলেরা মহলি ও মূশি। মহলির ছেলেরা ইলিয়াসর ও কীশ। ২২  ইলিয়াসর যখন মারা গেলেন, তখন তার কোনো ছেলে ছিল না, শুধু মেয়ে ছিল। তাই, তাদের আত্মীয়েরা* অর্থাৎ কীশের ছেলেরা তাদের বিয়ে করল। ২৩  মূশির তিনটি ছেলে: মহলি, এদর ও যিরেমোৎ। ২৪  এরা সবাই লেবির ছেলে, যাদের নাম তাদের বাবার বংশের এবং বাবার বংশের প্রধান ব্যক্তিদের নাম অনুযায়ী লেখা হয়েছিল। তারা যিহোবার গৃহের সেবাকাজ করত। তাদের সবার বয়স ২০ বছর বা তার চেয়ে বেশি ছিল। ২৫  দায়ূদ বললেন: “ইজরায়েলের ঈশ্বর যিহোবা তাঁর লোকদের রেহাই দিয়েছেন আর তিনি জেরুসালেমে চিরকাল থাকবেন। ২৬  লেবীয়দের পবিত্র তাঁবু* বা সেটার সেবায় ব্যবহৃত কোনো জিনিসই বইতে হবে না।” ২৭  দায়ূদের শেষ নির্দেশনা অনুযায়ী সেই লেবীয়দের গোনা হল, যাদের বয়স ২০ বছর বা তার চেয়ে বেশি ছিল। ২৮  তাদের কাজ ছিল যিহোবার গৃহের সেবাকাজে হারোণের ছেলেদের সাহায্য করা, প্রাঙ্গণগুলোর, খাওয়ার ঘরগুলোর ও সেইসঙ্গে প্রতিটা পবিত্র জিনিস শুচি করার কাজের দেখাশোনা করা আর সত্য ঈশ্বরের গৃহের সেবাকাজের প্রয়োজনীয় যেকোনো কাজ করা। ২৯  তারা এগুলো প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে সাহায্য করত: রুটির সারি,* শস্য নৈবেদ্যের* জন্য ময়দা, খামিরবিহীন* পাতলা রুটি, তাওয়ায় রান্না করা পিঠে আর তেল দিয়ে মাখা ময়দা। আর সেইসঙ্গে তারা মাপার সমস্ত কাজে সাহায্য করত। ৩০  তাদের প্রতি সকালে এবং প্রতি সন্ধ্যায় দাঁড়িয়ে যিহোবাকে ধন্যবাদ দিতে এবং তাঁর প্রশংসা করতে হত। ৩১  বিশ্রামবারে, নতুন চাঁদের দিনে* এবং বছরের আলাদা আলাদা উৎসবের সময় যখনই যিহোবার উদ্দেশে হোমবলি উৎসর্গ করা হত, তখনই তারা সাহায্য করত। তাদের বিষয়ে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী যত জন লোকের প্রয়োজন ছিল, তত জন লোক নিয়মিতভাবে যিহোবার সামনে সেবা করত। ৩২  তারা সাক্ষাৎ করার তাঁবু অর্থাৎ পবিত্র জায়গার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সেবাকাজ করত এবং তাদের ভাইদের অর্থাৎ হারোণের ছেলেদের সাহায্য করত। যিহোবার গৃহে তাদের এই দায়িত্বগুলো ছিল।

পাদটীকাগুলো

বা “কর্মকর্তা।”
বা “সংগঠিত।”
আক্ষ., “ছেলেদের।”
আক্ষ., “ভাইয়েরা।”
বা “লেবীয়দের আবাস।”
অর্থাৎ দর্শন-রুটি।
বা “ভক্ষ্য নৈবেদ্যের।”
অর্থাৎ ইস্ট অথবা ইস্ট-জাতীয় দ্রব্যবিহীন। শব্দকোষ দেখুন।
যে-দিন চাঁদের প্রথম ফালি দেখা যায়।