বংশাবলির প্রথম খণ্ড ৫:১-২৬

 ইজরায়েলের প্রথমজাত ছেলে রূবেণের ছেলেদের নাম নীচে দেওয়া হয়েছে। রূবেণ প্রথমজাত ছিলেন, কিন্তু তিনি যেহেতু তার বাবার শয্যা অশুচি করেছিলেন, তাই তার প্রথমজাত হওয়ার অধিকার ইজরায়েলের ছেলে যোষেফের ছেলেদের দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এইজন্য তাদের পরিবারের বংশাবলিতে রূবেণের নাম প্রথমজাত হিসেবে নথিভুক্ত করা হল না। ২  যদিও যিহূদা তার ভাইদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ছিলেন আর তার বংশ থেকেই ভাবী নেতা এসেছিলেন, তারপরও প্রথমজাত ছেলের অধিকার যোষেফের ছিল। ৩  ইজরায়েলের প্রথমজাত ছেলে রূবেণের ছেলেরা হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্মি। ৪  এরা হল যোয়েলের বংশধর: যোয়েলের ছেলে শময়িয়, শময়িয়ের ছেলে গোগ, গোগের ছেলে শিমিয়ি, ৫  শিমিয়ির ছেলে মীখা, মীখার ছেলে রায়া, রায়ার ছেলে বাল ৬  আর বালের ছেলে বেরা, যাকে অশূরের রাজা তিল্‌গৎ-পিল্‌নেষর বন্দি করে নিয়ে গিয়েছিলেন। বেরা রূবেণীয়দের একজন অধ্যক্ষ ছিল। ৭  তাদের পরিবারগুলোর বংশাবলি অনুসারে তার ভাইয়েরা ছিল যিয়ীয়েল, যে প্রধান ছিল, সখরিয় ৮  আর যোয়েলের ছেলে শেমার ছেলে আসসের ছেলে বেলা। বেলা অরোয়ের থেকে শুরু করে নবো ও বাল্‌-মিয়োন পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় থাকত। ৯  সে পূর্ব দিকে দূরে অবস্থিত সেই এলাকা পর্যন্ত বাস করল, যেখান থেকে ইউফ্রেটিস* নদীর পাশে অবস্থিত প্রান্তর শুরু হয় কারণ গিলিয়দের এলাকায় তাদের পশুপালের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। ১০  শৌলের দিনে তারা হাগরীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল এবং তাদের পরাজিত করল। তাই, তারা গিলিয়দের পূর্ব দিকে অবস্থিত পুরো এলাকায় হাগরীয়দের তাঁবুতে থাকতে লাগল। ১১  তাদের পাশে গাদের বংশধরেরা বাস করত। তারা বাশনের এলাকায় দূরে অবস্থিত সল্‌খা পর্যন্ত বাস করত। ১২  বাশনে যোয়েল প্রধান ছিল, তারপর শাফম আর যানয় ও শাফটও নেতা ছিল। ১৩  তাদের বাবার বংশগুলোতে তাদের ভাইয়েরা ছিল মীখায়েল, মশুল্লম, শিবা, যোরায়, যাকন, সীয় ও এবর, মোট সাত জন। ১৪  এরা অবীহয়িলের ছেলে: অবীহয়িল হূরির ছেলে, হূরি যারোহের ছেলে, যারোহ গিলিয়দের ছেলে, গিলিয়দ মীখায়েলের ছেলে, মীখায়েল যিশীশয়ের ছেলে, যিশীশয় যহদোর ছেলে এবং যহদো বূষের ছেলে। ১৫  তাদের বাবার বংশের প্রধান ছিল অহি, যে অব্দিয়েলের ছেলে এবং গূনির নাতি। ১৬  তারা গিলিয়দ ও বাশনে এবং সেগুলোর আশেপাশের নগরে আর শারোণের সমস্ত চারণভূমির* সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় থাকত। ১৭  তাদের সবার নাম যিহূদার রাজা যোথম এবং ইজরায়েলের রাজা যারবিয়ামের* সময়ে বংশাবলিতে লেখা হয়েছিল। ১৮  রূবেণীয়, গাদীয় এবং মনঃশির অর্ধেক বংশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ৪৪,৭৬০ জন বীরযোদ্ধা ছিল, যারা ঢাল, তলোয়ার ও ধনুক বহন করত এবং যাদের যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ১৯  তারা হাগরীয়দের বিরুদ্ধে এবং যিটূর, নাফীশ ও নোদবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। ২০  তারা যুদ্ধের সময় ঈশ্বরের কাছে সাহায্য চেয়েছিল আর ঈশ্বর তাদের অনুরোধ শুনে তাদের সাহায্য করেছিলেন কারণ তারা তাঁর উপর আস্থা রেখেছিল। ঈশ্বর হাগরীয়দের এবং তাদের সঙ্গে থাকা সমস্ত লোককে তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ২১  তারা তাদের সমস্ত পশুপাল নিয়ে নিয়েছিল—৫০,০০০টা উট, ২,৫০,০০০টা মেষ এবং ২,০০০টা গাধা। আর সেইসঙ্গে তারা তাদের ১,০০,০০০ লোককে বন্দি করে নিয়েছিল। ২২  অনেক লোক মারা পড়েছিল কারণ এই যুদ্ধ সত্য ঈশ্বরের পক্ষ থেকে হয়েছিল আর তারা বন্দিত্বের সময় পর্যন্ত তাদের এলাকাতেই ছিল। ২৩  মনঃশির অর্ধেক বংশের লোকেরা বাশন থেকে বাল্‌-হর্মোণ পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় আর সনীরের এবং হর্মোণ পর্বতের এলাকায় থাকত। তাদের জনসংখ্যা অনেক বেশি ছিল। ২৪  এরা ছিলেন তাদের বাবার বংশের প্রধান ব্যক্তি: এফর, যিশী, ইলীয়েল, অস্রীয়েল, যিরমিয়, হোদবিয় ও যহদীয়েল। তারা বীরযোদ্ধা এবং বিখ্যাত লোক ছিলেন আর তাদের বাবার বংশের প্রধান ব্যক্তি ছিলেন। ২৫  কিন্তু, তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল আর ঈশ্বর তাদের সামনে থেকে দেশের যে-লোকদের ধ্বংস করে দিয়েছিলেন, তারা তাদের দেবতাদের উপাসনা* করল। ২৬  তাই, ইজরায়েলের ঈশ্বর অশূরের রাজা পূলকে (অর্থাৎ অশূরের রাজা তিল্‌গৎ-পিল্‌নেষর) প্ররোচিত করলেন আর পূল রূবেণীয়দের, গাদীয়দের এবং মনঃশির অর্ধেক বংশকে বন্দি করে হলহ, হাবোর, হারা ও গোষণ নদীর এলাকায় নিয়ে গেলেন। আজও তারা সেই জায়গাগুলোতেই থাকে।

পাদটীকাগুলো

বা “ফরাৎ।”
অর্থাৎ পশু চরানোর মাঠ।
অর্থাৎ যারবিয়াম ২য়।
বা “দেবতাদের সঙ্গে বেশ্যাদের মতো খারাপ কাজ।”