বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড ১১:১-২৩

১১  রহবিয়াম যখন জেরুসালেমে পৌঁছোলেন, তখন তিনি সঙ্গেসঙ্গে যিহূদার পরিবার থেকে এবং বিন্যামীন বংশ থেকে ১,৮০,০০০ জন প্রশিক্ষিত* সৈন্যকে একত্রিত করলেন, যাতে তারা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আর রাজ্যটা রহবিয়ামের কাছে ফিরিয়ে আনে। ২  তখন সত্য ঈশ্বরের দাস শময়িয়ের কাছে যিহোবার এই বার্তা এল: ৩  “শলোমনের ছেলে, যিহূদার রাজা রহবিয়ামকে ও সেইসঙ্গে যিহূদার পরিবার এবং বিন্যামীন বংশের সমস্ত ইজরায়েলীয়কে বলো, ৪  ‘যিহোবা এই কথা বলেন: “তোমরা উপরে উঠে তোমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না। তোমরা সবাই নিজের নিজের বাড়ি ফিরে যাও কারণ আমিই এই সমস্ত কিছু করিয়েছি।”’” তারা যিহোবার কথা শুনল আর সবাই নিজের নিজের বাড়ি ফিরে গেল এবং যারবিয়ামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেল না। ৫  রহবিয়াম জেরুসালেমে বাস করতে থাকলেন আর তিনি যিহূদায় প্রাচীর দিয়ে ঘেরা নগর নির্মাণ করলেন। ৬  তিনি বেথলেহেম, ঐটম, তকোয়, ৭  বৈৎ-সূর, সোখো, অদুল্লম, ৮  গাৎ, মারেশা, সীফ, ৯  অদোরয়িম, লাখীশ, অসেকা, ১০  সরা, অয়ালোন ও হিব্রোণ নির্মাণ* করলেন। প্রাচীর দিয়ে ঘেরা এই নগরগুলো যিহূদা ও বিন্যামীনের এলাকায় ছিল। ১১  শুধু তা-ই নয়, তিনি প্রাচীর দিয়ে ঘেরা নগরগুলোকে দৃঢ় করলেন এবং সেগুলোতে সেনাপতি নিযুক্ত করলেন এবং তিনি তাদের খাবারদাবার, তেল ও দ্রাক্ষারস* জোগালেন। ১২  তিনি সমস্ত নগরে প্রচুর পরিমাণে বড়ো ঢাল এবং বর্শা জোগালেন আর সেই নগরগুলোকে সুরক্ষিত করে খুবই দৃঢ় করলেন। যিহূদা ও বিন্যামীনের লোকেরা তার প্রজা হয়েই থাকল। ১৩  পুরো ইজরায়েলে বসবাসরত যাজক ও লেবীয়েরা রহবিয়ামকে সমর্থন করার জন্য নিজের নিজের এলাকা ছেড়ে তার কাছে এল। ১৪  লেবীয়েরা তাদের চারণভূমি* এবং সম্পত্তি ছেড়ে যিহূদা ও জেরুসালেমে চলে এল কারণ যারবিয়াম এবং তার ছেলেরা যিহোবার জন্য তাদের আর যাজক হিসেবে সেবা করতে দেননি। ১৫  তারপর, যারবিয়াম নিজে কয়েক জন ব্যক্তিকে তার নির্মিত উঁচু জায়গাগুলোর জন্য আর ছাগলের মতো দেখতে দেবতাদের* এবং বাছুরের সেবা করার জন্য যাজক হিসেবে নিযুক্ত করলেন। ১৬  ইজরায়েলের সমস্ত বংশের মধ্য থেকে যত লোক ইজরায়েলের ঈশ্বর যিহোবার অনুসন্ধান করার জন্য নিজের হৃদয়ে সংকল্প নিয়েছিল, তারা সেই যাজক ও লেবীয়দের পিছন পিছন জেরুসালেমে চলে এল, যাতে তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর যিহোবার উদ্দেশে বলি উৎসর্গ করতে পারে। ১৭  তারা তিন বছর ধরে যিহূদার রাজত্ব দৃঢ় করল এবং শলোমনের ছেলে রহবিয়ামকে সমর্থন করল কারণ এই তিন বছর ধরে তারা দায়ূদ ও শলোমনের পথে চলল। ১৮  তারপর, রহবিয়াম মহলৎকে বিয়ে করলেন, যিনি দায়ূদের ছেলে যিরীমোতের মেয়ে। মহলতের মা অবীহয়িল, যিনি যিশয়ের ছেলে ইলিয়াবের মেয়ে। ১৯  কিছুসময় পর, মহলৎ রহবিয়ামের এই ছেলেদের জন্ম দিলেন: যিয়ূশ, শমরিয় ও সহম। ২০  তারপর, রহবিয়াম মাখাকে বিয়ে করলেন, যিনি অবশালোমের নাতনি ছিলেন। কিছুসময় পর, মাখা এই ছেলেদের জন্ম দিলেন: অবিয়, অত্তয়, সীষঃ ও শলোমীৎ। ২১  রহবিয়ামের ১৮টি স্ত্রী এবং ৬০টি উপপত্নী ছিল আর তার ২৮টি ছেলে এবং ৬০টি মেয়ে ছিল। কিন্তু, তিনি তার সমস্ত স্ত্রী ও উপপত্নীর মধ্যে অবশালোমের নাতনি মাখাকে বেশি ভালোবাসতেন। ২২  তাই, রহবিয়াম মাখার ছেলে অবিয়কে তার ভাইদের উপর প্রধান ও নেতা হিসেবে নিযুক্ত করলেন কারণ তিনি চেয়েছিলেন, যেন তার পরে অবিয় রাজা হন। ২৩  তবে, রহবিয়াম ভেবে-চিন্তে কাজ করলেন এবং তার কয়েক জন ছেলেকে যিহূদা ও বিন্যামীনের সমস্ত প্রদেশের সমস্ত প্রাচীর দিয়ে ঘেরা নগরে পাঠিয়ে দিলেন এবং তাদের প্রচুর পরিমাণে খাবারদাবার জোগালেন আর অনেক মহিলার সঙ্গে তাদের বিয়ে দিলেন।

পাদটীকাগুলো

আক্ষ., “বেছে নেওয়া।”
বা “দৃঢ়।”
বা “ওয়াইন।”
অর্থাৎ পশু চরানোর মাঠ।
আক্ষ., “আর ছাগলদের।”