বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড ২৩:১-২১
২৩ সপ্তম বছরে যিহোয়াদা সাহসের সঙ্গে কাজ করলেন আর এক-শো জনের দলের এই অধ্যক্ষদের সঙ্গে একটা চুক্তি করলেন: যিরোহমের ছেলে অসরিয়, যিহোহাননের ছেলে ইশ্মায়েল, ওবেদের ছেলে অসরিয়, অদায়ার ছেলে মাসেয় এবং সিখ্রির ছেলে ইলীশাফট।
২ তারপর, তারা পুরো যিহূদায় গেলেন আর যিহূদার সমস্ত নগর থেকে লেবীয়দের এবং ইজরায়েলের বাবার বংশের প্রধান ব্যক্তিদের একত্রিত করলেন। তারা যখন জেরুসালেমে এল,
৩ তখন সত্য ঈশ্বরের গৃহে পুরো মণ্ডলী রাজার সঙ্গে একটা চুক্তি করল। এরপর, যিহোয়াদা তাদের বললেন:
“দেখো! রাজার ছেলে এখন রাজত্ব করবেন, ঠিক যেমনটা যিহোবা দায়ূদের ছেলেদের বিষয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।
৪ তোমরা এই এই কাজ করবে: বিশ্রামবারে যে-যাজকেরা ও লেবীয়েরা কাজ করবে, তাদের মধ্য থেকে এক-তৃতীয়াংশ লোক দারোয়ান হবে,
৫ এক-তৃতীয়াংশ লোক রাজপ্রাসাদে থাকবে আর বাকি এক-তৃতীয়াংশ লোক ভিত্তিমূলদ্বারে থাকবে আর সমস্ত লোক যিহোবার গৃহের প্রাঙ্গণগুলোতে থাকবে।
৬ যে-যাজকেরা ও লেবীয়েরা মন্দিরে সেবা করে, তারা ছাড়া আর কাউকে যিহোবার গৃহের ভিতরে ঢুকতে দেবে না। কেবল যাজকদের ও লেবীয়দের ঢুকতে দেবে কারণ তারা পবিত্র লোকের এক দল আর বাকি সমস্ত লোক যিহোবার প্রতি তাদের কর্তব্য পালন করবে।
৭ লেবীয়েরা নিজেদের হাতে অস্ত্র নিয়ে রাজার চারপাশে থাকবে আর তাকে সুরক্ষিত রাখবে। কেউ যদি গৃহের ভিতরে আসে, তা হলে তোমরা তাকে মেরে ফেলবে। রাজা যেখানেই যান না কেন,* তোমরা তার সঙ্গে থাকবে।”
৮ যাজক যিহোয়াদা তাদের যে-আদেশ দিলেন, লেবীয়েরা এবং পুরো যিহূদার লোকেরা ঠিক তা-ই করল। বিশ্রামবারে প্রত্যেক অধ্যক্ষ নিজের দলের সমস্ত লোককে নিল। যাদের কাজে আসার কথা ছিল, তারা ছাড়া সেই লোকদেরও নেওয়া হল, যাদের কাজে আসার কথা ছিল না। কারণ যাজক যিহোয়াদা কোনো দলকেই ছুটি দেননি।
৯ তারপর, যাজক যিহোয়াদা এক-শো জনের দলের অধ্যক্ষদের বর্শা, ছোটো ঢাল* এবং গোলাকার ঢাল দিলেন। এই অস্ত্রগুলো রাজা দায়ূদের ছিল, যেগুলো সত্য ঈশ্বরের গৃহে ছিল।
১০ তিনি সমস্ত লোককে, যারা হাতে অস্ত্র নিয়ে ছিল, গৃহের ডান দিক থেকে বাঁ-দিক পর্যন্ত দাঁড় করালেন। তিনি তাদের বেদি ও গৃহের কাছে অর্থাৎ রাজার চারিদিকে দাঁড় করালেন।
১১ পরে, তারা রাজার ছেলেকে বাইরে নিয়ে এলেন আর তার মাথায় মুকুট পরালেন এবং তার মাথার উপর সাক্ষ্যপুস্তক* রাখলেন আর তাকে রাজা করলেন। যিহোয়াদা এবং তার ছেলেরা তাকে অভিষেক করলেন। তারপর, তারা বলতে লাগলেন: “রাজা দীর্ঘজীবী হোন! রাজা দীর্ঘজীবী হোন!”
১২ অথলিয়া যখন শুনল, লোকেরা দৌড়োদৌড়ি করছে এবং রাজার প্রশংসা করছে, তখন সে সঙ্গেসঙ্গে যিহোবার গৃহের সেই জায়গায় এল, যেখানে লোকেরা একত্রিত হয়েছিল।
১৩ সে দেখল, রাজা গৃহের প্রবেশস্থানে নিজের স্তম্ভের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এবং তার সঙ্গে অধ্যক্ষেরা ও তূরীবাদকেরা রয়েছে আর দেশের সমস্ত লোক আনন্দ করছে এবং তূরী বাজাচ্ছে আর গায়কেরা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সেই লোকদের নেতৃত্ব দিচ্ছে, যারা প্রশংসাগান গাইছে। যেই-না অথলিয়া এই সমস্ত কিছু দেখল, অমনি সে নিজের পোশাক ছিঁড়ে বলল: “এটা একটা ষড়যন্ত্র! ষড়যন্ত্র!”
১৪ তখন যাজক যিহোয়াদা এক-শো জনের দলের অধ্যক্ষদের এই বলে বাইরে পাঠালেন: “এই মহিলাকে সৈন্যদের মধ্য থেকে বাইরে নিয়ে যাও। যদি কেউ এর পিছন পিছন যায়, তা হলে তাকে তলোয়ার দিয়ে মেরে ফেলো!” যাজক তাদের বলেছিলেন: “সেই মহিলাকে যিহোবার গৃহে হত্যা করবে না।”
১৫ তাই, তারা তাকে ধরে নিয়ে গেল আর যখন সে রাজপ্রাসাদের অশ্বদ্বারের প্রবেশস্থানে গিয়ে পৌঁছোল, তখন তারা সঙ্গেসঙ্গে তাকে মেরে ফেলল।
১৬ তারপর, যিহোয়াদা একটা চুক্তি করলেন যে, তিনি, সমস্ত লোক এবং রাজা যিহোবার লোক হয়ে থাকবেন।
১৭ এরপর, সমস্ত লোক গিয়ে বালের মন্দির ভেঙে দিল, তার বেদিগুলো ও মূর্তিগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল এবং বেদিগুলোর সামনেই বালের যাজক মত্তনকে মেরে ফেলল।
১৮ তারপর, যিহোয়াদা যিহোবার গৃহের দেখাশোনা করার দায়িত্ব যাজকদের ও লেবীয়দের দিলেন। দায়ূদ তাদের আলাদা আলাদা দলে ভাগ করে যিহোবার গৃহের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, যাতে তারা দায়ূদের নির্দেশ অনুযায়ী আনন্দ করতে করতে এবং গান গাইতে গাইতে মোশির ব্যবস্থায় লেখা কথা অনুসারে যিহোবার উদ্দেশে হোমবলি উৎসর্গ করে।
১৯ এ ছাড়া, যিহোয়াদা যিহোবার গৃহের দরজায় দারোয়ানদের দাঁড় করালেন, যাতে কোনো ধরনের অশুচি লোক ভিতরে ঢুকতে না পারে।
২০ এরপর, তিনি এক-শো জনের দলের অধ্যক্ষদের, উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের, লোকদের শাসকদের এবং দেশের সমস্ত লোককে সঙ্গে নিলেন আর তারা সবাই রাজাকে যিহোবার গৃহের বাইরে নিয়ে গেলেন। তারা উপরের দরজা দিয়ে রাজপ্রাসাদের ভিতরে এলেন এবং রাজাকে সিংহাসনে বসালেন।
২১ দেশের সমস্ত লোক আনন্দ করল আর নগরে শান্তি নেমে এল কারণ অথলিয়াকে তলোয়ার দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।
পাদটীকাগুলো
^ আক্ষ., “রাজা যখন বাইরে যাবেন এবং তিনি যখন ভিতরে আসবেন, তখন।”
^ প্রায়ই তিরন্দাজেরা এই ঢাল বহন করত।
^ সম্ভবত, একটা গোটানো পুস্তক, যেটার মধ্যে ঈশ্বরের ব্যবস্থা ছিল।